‘চাকরিটা পুলিশের হলেও মূল পেশা ছিল ডাকাতি’

সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শাহীনসহ গ্রেপ্তার ৫

বরগুনার আমতলীর কলাগাছিয়া গ্রামের আবদুল আজিজ ঘরামির ছেলে গোলাম মোস্তফা শাহীন পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পায়। চাকরির শুরুতে ভালো থাকলেও অর্থলোভে জড়িয়ে পড়েন ডাকাতিতে। কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে প্রায়ই ডাকাতি করতেন। কয়েকবার ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত চাকরিও হারান। কিন্তু স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেননি। চাকরি হারিয়ে ডাকাতির পথ থেকে সরে আসার পরিবর্তে উল্টো গড়ে তোলেন ভুয়া পুলিশের টিম। আর এ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি।

পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ২০ লাখ টাকা লুট করার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। টিমের প্রধান অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মিশু বিশ^াসের নেতৃত্বে চক্রের হোতা গোলাম মোস্তফা শাহিনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে টাকা লুটের ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটন করে ডিবি রমনা বিভাগ।

গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা, কলাবাগান ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালায় ডিবির রমনা ডিবিশন। গ্রেপ্তর করা হয় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত চক্রের দলনেতা গোলাম মোস্তফা শাহিন, তার সহযোগী মো. সাহাদৎ হোসেন, সাইদ মনির আল মাহামুদ, মো. রুবেল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে। তবে এ গ্রুপের আরও ৩ থেকে ৪ জন রয়েছে যাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে গ্রেপ্ততারের সময় শাহিন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছিনতাই-ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাডো গাড়ি, ছিনতাই করা নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, দুটি কালো কটি, একটি স্টিলের লাঠি, হাতুড়ি, প্লাস, স্পার্কার (পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু) ও একটি র‌্যাত উদ্ধার করা হয়।

ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনকে তুলে নিয়ে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। মাইক্রোবাসের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীকে হান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর মারধর করে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ২০ লাখ নিয়ে তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ফেলে চলে যায় পুলিশ পরিচয় দেয়া ব্যক্তিরা। ওই ব্যবসায়ী সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে শাহবাগ থানায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি মামলা করেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির রমনা বিভাগ ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে। ঘটনার ১৮ দিনের মধ্যে ক্লু উদ্ঘাটন ও ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুনের ভাষ্য, এ চক্রের মূল হোতা গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে শাহীন পুলিশ এক সময় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ২০০৬ সালে অনৈতিক কাজের অভিযোগে চাকরি হারিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতিতে লিপ্ত হন। তার নেতৃত্বে রাজধানীতে সংঘটিত হয় ডাকাতি।

অনেক সময় ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ছিনিয়ে নিতেন শাহীনের লোকেরা। কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হতেন, তখন শাহীনের লোকেরা মোটরসাইকেলে করে তাকে ফলো করতেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে সর্বস্ব লুটে নিতেন।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুনের দাবি, চক্রটি ডাকাতিতে একটি প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করত। গাড়িটিতে একেক সময় একেক নম্বরপ্লেট ব্যবহার হতো। আবার কখনো কখনো একই গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রঙ করিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে চলতো ছিনতাই-ডাকাতি। যে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে ওই গাড়ি একজন প্রকৌশলীর। প্রকৌশলীর গাড়ি এদের কাছে কিভাবে এলো সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

এই চক্রে আর কোন পুলিশ জড়িত কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, এখনও কোন পুলিশের নাম পাওয়া যায়নি। শাহীন চাকরিচ্যুত হওয়ার পর চুরি-ছিনতাইকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২০টি। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্য ডাকাতদের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিনটি করে মামলা রয়েছে।

ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মূলত পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় ভুয়া পুলিশ টিম গড়ে তোলে শাহিন। তাদের দিয়ে ডাকাতি করাতো ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলায়। নেতৃত্ব দেয়া শাহিন তার সহযোগীদের কিভাবে পুলিশের মতো করে কথাবার্তা বলতে হয়, কিভাবে গাড়িতে তুলতে হয় এর সবকিছুই প্রশিক্ষণ দিতো।

শাহিন গ্রুপকে ধরতে গিয়ে অন্য গ্রুপও ধরা পড়ে

এদিকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে অন্য একটি গ্রুপের সন্ধায় পায় ডিবি। ওই গ্রুপও রাজধানী ও আশপাশে ডাকাতি করতো। এ গ্রুপের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ইমরান হোসেন শাহীদ, হিরা ব্যাপারী, জাবেদ আহমেদ বাবু, আরিফ ইকবাল ও আবুল খায়ের রানা। তাদর কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, একটি ছুরি, একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। গত বুধবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানার জোনাকি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সবাই সাবেক কনস্টেবল শাহীনের গ্রুপের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে আরও ৬/৭ জন রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৭ আশ্বিন ১৪২৯ ২৫ সফর ১৪৪৪

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২০ লাখ টাকা লুট

‘চাকরিটা পুলিশের হলেও মূল পেশা ছিল ডাকাতি’

সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শাহীনসহ গ্রেপ্তার ৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বরগুনার আমতলীর কলাগাছিয়া গ্রামের আবদুল আজিজ ঘরামির ছেলে গোলাম মোস্তফা শাহীন পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পায়। চাকরির শুরুতে ভালো থাকলেও অর্থলোভে জড়িয়ে পড়েন ডাকাতিতে। কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে প্রায়ই ডাকাতি করতেন। কয়েকবার ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত চাকরিও হারান। কিন্তু স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেননি। চাকরি হারিয়ে ডাকাতির পথ থেকে সরে আসার পরিবর্তে উল্টো গড়ে তোলেন ভুয়া পুলিশের টিম। আর এ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি।

পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে ২০ লাখ টাকা লুট করার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। টিমের প্রধান অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মিশু বিশ^াসের নেতৃত্বে চক্রের হোতা গোলাম মোস্তফা শাহিনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে টাকা লুটের ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটন করে ডিবি রমনা বিভাগ।

গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা, কলাবাগান ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালায় ডিবির রমনা ডিবিশন। গ্রেপ্তর করা হয় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত চক্রের দলনেতা গোলাম মোস্তফা শাহিন, তার সহযোগী মো. সাহাদৎ হোসেন, সাইদ মনির আল মাহামুদ, মো. রুবেল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে। তবে এ গ্রুপের আরও ৩ থেকে ৪ জন রয়েছে যাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে গ্রেপ্ততারের সময় শাহিন ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে ছিনতাই-ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাডো গাড়ি, ছিনতাই করা নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, দুটি কালো কটি, একটি স্টিলের লাঠি, হাতুড়ি, প্লাস, স্পার্কার (পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু) ও একটি র‌্যাত উদ্ধার করা হয়।

ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ক্লাবের সামনে থেকে পুলিশ পরিচয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনকে তুলে নিয়ে মাইক্রোবাসে তোলা হয়। মাইক্রোবাসের মধ্যে ওই ব্যবসায়ীকে হান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর মারধর করে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ২০ লাখ নিয়ে তাকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে ফেলে চলে যায় পুলিশ পরিচয় দেয়া ব্যক্তিরা। ওই ব্যবসায়ী সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে শাহবাগ থানায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একটি মামলা করেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির রমনা বিভাগ ঘটনার ছায়া তদন্তে নামে। ঘটনার ১৮ দিনের মধ্যে ক্লু উদ্ঘাটন ও ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান হারুনের ভাষ্য, এ চক্রের মূল হোতা গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে শাহীন পুলিশ এক সময় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ২০০৬ সালে অনৈতিক কাজের অভিযোগে চাকরি হারিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতিতে লিপ্ত হন। তার নেতৃত্বে রাজধানীতে সংঘটিত হয় ডাকাতি।

অনেক সময় ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ছিনিয়ে নিতেন শাহীনের লোকেরা। কেউ যদি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হতেন, তখন শাহীনের লোকেরা মোটরসাইকেলে করে তাকে ফলো করতেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে সর্বস্ব লুটে নিতেন।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুনের দাবি, চক্রটি ডাকাতিতে একটি প্রাডো গাড়ি ব্যবহার করত। গাড়িটিতে একেক সময় একেক নম্বরপ্লেট ব্যবহার হতো। আবার কখনো কখনো একই গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রঙ করিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে চলতো ছিনতাই-ডাকাতি। যে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে ওই গাড়ি একজন প্রকৌশলীর। প্রকৌশলীর গাড়ি এদের কাছে কিভাবে এলো সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

এই চক্রে আর কোন পুলিশ জড়িত কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, এখনও কোন পুলিশের নাম পাওয়া যায়নি। শাহীন চাকরিচ্যুত হওয়ার পর চুরি-ছিনতাইকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২০টি। এছাড়া গ্রেপ্তার অন্য ডাকাতদের বিরুদ্ধে দুই থেকে তিনটি করে মামলা রয়েছে।

ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মূলত পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় ভুয়া পুলিশ টিম গড়ে তোলে শাহিন। তাদের দিয়ে ডাকাতি করাতো ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলায়। নেতৃত্ব দেয়া শাহিন তার সহযোগীদের কিভাবে পুলিশের মতো করে কথাবার্তা বলতে হয়, কিভাবে গাড়িতে তুলতে হয় এর সবকিছুই প্রশিক্ষণ দিতো।

শাহিন গ্রুপকে ধরতে গিয়ে অন্য গ্রুপও ধরা পড়ে

এদিকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে অন্য একটি গ্রুপের সন্ধায় পায় ডিবি। ওই গ্রুপও রাজধানী ও আশপাশে ডাকাতি করতো। এ গ্রুপের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ইমরান হোসেন শাহীদ, হিরা ব্যাপারী, জাবেদ আহমেদ বাবু, আরিফ ইকবাল ও আবুল খায়ের রানা। তাদর কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, একটি ছুরি, একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। গত বুধবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানার জোনাকি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সবাই সাবেক কনস্টেবল শাহীনের গ্রুপের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে আরও ৬/৭ জন রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।