ডিম আমদানি হবে না : কৃষিমন্ত্রী

কোন ক্রমেই দেশে ডিম আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা একটু কষ্ট করি তারপরও আমরা ডিম আমদানি করব না।’

গতকাল সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নতুন করে ডিমের দাম বেড়েছে, এক্ষেত্রে আপনাদের নজরদাড়ি বাড়াবেন কি না জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম চাহিদার ওপর নির্ভর করে। তবে একজন কৃষিবিদ হিসেবে বলতে পারি যাই দাম বাড়ুক দুই-তিন মাস পরে আমি লিখে দিতে পারি ডিম তারা বেচতেই পারবে না। এটা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই।’

এর আগে ডিমের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে।’ এরপরই ডিমের দাম কমে যায়। এতে বিষয়টি স্পষ্ট ডিমের দাম বাড়ার পেছনে কিছু একটা আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কোন ক্রমেই যেন ডিম আমদানি করা না হয়। আমরা একটু কষ্ট করি তারপরও আমরা ডিম আমদানি করবো না।’

কিসের ভিত্তিতে বলছেন দুই-তিন মাস পর ডিম বিক্রি করতে পারবে না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যখন দাম বাড়ছে সবাই বাচ্চা তুলছে। কয়েকদিন আগেই ডিম বিক্রি করতে পারছিল না, আবার ব্রয়লার মুরগি ৯০-১০০ টাকা। গত তিন বছর ধরে এটা চলছে। পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা লস করতে করতে আর লস করতে রাজি না।’

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বলেছেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের অসযোগিতার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।’ এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আলোচনা হয়নি। অসহযোগিতার কিছু নেই। তবে আমি আবারও বলছি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে বাস্তবায়ন করা কঠিন। এটা বড় চ্যালেঞ্জ, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে। বিশেষ করে কাঁচা পণ্য চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।’

আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়নমারের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কোন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্সের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। মায়ানমারের মতো দেশকে আমরা অবশ্যই মোকাবিলা করতে পারব। আর জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।’

যেকোন দেশ রক্ষায় জাতিরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারকে সহযোগিতা করবে। তবে আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করছি। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব যারা মানবতার কথা বলে, তারা তো কাউকে জায়গা দিচ্ছে না। বাংলাদেশ লাখ-লাখ রোহিঙ্গা জায়গা, খাবার দিচ্ছে। এখন আমাদের ঝুঁকি হলো নিরাপত্তার। তারপরও আমরা চাই না যে যুদ্ধ হোক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নটাকে সামনে নিয়ে যেতে চাই। উন্নয়নের যে ধারা বইছে সেটা যুদ্ধ দিয়ে দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চাই না। আমাদের সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে। তারাও বার বার আশ্বস্ত করেছে, এগুলো অভ্যন্তরীণ বিষয়, মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ইনসিডেন্ট হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ যুদ্ধ হবে না। আর মায়ানমারও সে অবস্থায় নেই।’

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ০৭ আশ্বিন ১৪২৯ ২৫ সফর ১৪৪৪

ডিম আমদানি হবে না : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কোন ক্রমেই দেশে ডিম আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আমরা একটু কষ্ট করি তারপরও আমরা ডিম আমদানি করব না।’

গতকাল সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নতুন করে ডিমের দাম বেড়েছে, এক্ষেত্রে আপনাদের নজরদাড়ি বাড়াবেন কি না জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দাম চাহিদার ওপর নির্ভর করে। তবে একজন কৃষিবিদ হিসেবে বলতে পারি যাই দাম বাড়ুক দুই-তিন মাস পরে আমি লিখে দিতে পারি ডিম তারা বেচতেই পারবে না। এটা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই।’

এর আগে ডিমের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে।’ এরপরই ডিমের দাম কমে যায়। এতে বিষয়টি স্পষ্ট ডিমের দাম বাড়ার পেছনে কিছু একটা আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কোন ক্রমেই যেন ডিম আমদানি করা না হয়। আমরা একটু কষ্ট করি তারপরও আমরা ডিম আমদানি করবো না।’

কিসের ভিত্তিতে বলছেন দুই-তিন মাস পর ডিম বিক্রি করতে পারবে না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘যখন দাম বাড়ছে সবাই বাচ্চা তুলছে। কয়েকদিন আগেই ডিম বিক্রি করতে পারছিল না, আবার ব্রয়লার মুরগি ৯০-১০০ টাকা। গত তিন বছর ধরে এটা চলছে। পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা লস করতে করতে আর লস করতে রাজি না।’

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বলেছেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের অসযোগিতার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।’ এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোন আলোচনা হয়নি। অসহযোগিতার কিছু নেই। তবে আমি আবারও বলছি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে বাস্তবায়ন করা কঠিন। এটা বড় চ্যালেঞ্জ, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে। বিশেষ করে কাঁচা পণ্য চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।’

আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়নমারের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কোন উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্সের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। মায়ানমারের মতো দেশকে আমরা অবশ্যই মোকাবিলা করতে পারব। আর জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।’

যেকোন দেশ রক্ষায় জাতিরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারকে সহযোগিতা করবে। তবে আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করছি। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব যারা মানবতার কথা বলে, তারা তো কাউকে জায়গা দিচ্ছে না। বাংলাদেশ লাখ-লাখ রোহিঙ্গা জায়গা, খাবার দিচ্ছে। এখন আমাদের ঝুঁকি হলো নিরাপত্তার। তারপরও আমরা চাই না যে যুদ্ধ হোক।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নটাকে সামনে নিয়ে যেতে চাই। উন্নয়নের যে ধারা বইছে সেটা যুদ্ধ দিয়ে দেশটাকে পিছিয়ে দিতে চাই না। আমাদের সরকারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে। তারাও বার বার আশ্বস্ত করেছে, এগুলো অভ্যন্তরীণ বিষয়, মোকাবিলা করতে গিয়ে কিছু ইনসিডেন্ট হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ যুদ্ধ হবে না। আর মায়ানমারও সে অবস্থায় নেই।’