ব্যাংক ও আর্র্থিক খাতের অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ হলে বিরক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই যেসব সূত্র থেকে রিপোর্টগুলো করা হয়েছে সেসব সম্ভাব্য পদে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর গতকাল এই কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আবার সুর নরম করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নোটিস দেয়া হয়েছে, তা জবাব দিলেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। ব্যাংকিং সংক্রান্ত যেকোন তথ্য ওই বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও পাওয়ার সুযোগ আছে। তাই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই গেছে, এটা বলা যাবে না।’ অর্থাৎ এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, ব্যাংকখাতের বিভিন্ন অনিয়মের নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। জেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকয়েকজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।
অনিয়মের তথ্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি উপপরিচালক থেকে পরিচালক মর্যাদার অন্তত ১০ কর্মকর্তাকে এসব নোটিস দেয়া হয়। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক মর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে ডেকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার অভিযোগও উঠেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব নোটিস দেয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন একজন ডেপুটি গভর্নর। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনের জেরে এসব শোকজের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এক ধরনের ‘ভীতিকর’ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে কেউ নাম প্রকাশ করে কোন মন্তব্য করতে চান না।
ডলার সংকট, ডলারের অস্বাভাবিক মুনাফায় জড়িত ব্যাংকের নাম, ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের সরিয়ে দেয়া, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নোটিস, ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সীমার অতিরিক্ত ডলার ব্যয়, ঋণ কেলেঙ্কারি, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের শোকজের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০ আশ্বিন ১৪২৯ ২৮ সফর ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
ব্যাংক ও আর্র্থিক খাতের অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ হলে বিরক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই যেসব সূত্র থেকে রিপোর্টগুলো করা হয়েছে সেসব সম্ভাব্য পদে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর গতকাল এই কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আবার সুর নরম করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘নোটিস দেয়া হয়েছে, তা জবাব দিলেই নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। ব্যাংকিং সংক্রান্ত যেকোন তথ্য ওই বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও পাওয়ার সুযোগ আছে। তাই তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই গেছে, এটা বলা যাবে না।’ অর্থাৎ এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, ব্যাংকখাতের বিভিন্ন অনিয়মের নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। জেরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেশকয়েকজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে।
অনিয়মের তথ্য সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি উপপরিচালক থেকে পরিচালক মর্যাদার অন্তত ১০ কর্মকর্তাকে এসব নোটিস দেয়া হয়। এছাড়া নির্বাহী পরিচালক মর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে ডেকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার অভিযোগও উঠেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব নোটিস দেয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন একজন ডেপুটি গভর্নর। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনের জেরে এসব শোকজের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এক ধরনের ‘ভীতিকর’ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে কেউ নাম প্রকাশ করে কোন মন্তব্য করতে চান না।
ডলার সংকট, ডলারের অস্বাভাবিক মুনাফায় জড়িত ব্যাংকের নাম, ছয়টি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের সরিয়ে দেয়া, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কারণ দর্শানোর নোটিস, ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সীমার অতিরিক্ত ডলার ব্যয়, ঋণ কেলেঙ্কারি, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের শোকজের ঘটনা ঘটেছে।