রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্র প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চান না। শান্তিই তাদের আরাধ্য। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনো যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোর মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন, ঘর-বাড়ি হারাচ্ছেন অনেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে লাখো মানুষকে বেছে নিতে হচ্ছে শরণার্থীর জীবন।
যুদ্ধ শুধু বিবদমান দেশগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এর মন্দ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কম-বেশি পুরো বিশ্বেই পড়েছে। তাদের যুদ্ধের খেসারত শুধু ইউরোপকেই দিতে হচ্ছে না, বাংলাদেশের মানুষকেও এর মাশুল গুনতে হচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
আমরা যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব দেখতে চাই। মানবতার বিজয় হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। যুদ্ধে টেকসই কোন সমাধান মেলে না। অতীতে আমরা দেখেছি যে, ইরাক বা আফগানিস্তান যুদ্ধে কোন সমাধান মেলেনি।
দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। তবে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা হলে সমাধান মিলতে পারে, শান্তির পথ সুগম হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে। বাকি বিশ্বকে এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। যুদ্ধকে জিইয়ে রাখা বা এতে ইন্ধন দেয়া কাম্য নয়। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিগুলো যে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে সুফল মেলেনি। বরং মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হয়েছে।
মানুষ যুদ্ধ চান না, শান্তি চান। মানুষের শান্তির আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। বিশ্বনেতাদের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করতে হবে। সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের কাজ করতে হবে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১০ আশ্বিন ১৪২৯ ২৮ সফর ১৪৪৪
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্র প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চান না। শান্তিই তাদের আরাধ্য। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনো যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোর মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন, ঘর-বাড়ি হারাচ্ছেন অনেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে লাখো মানুষকে বেছে নিতে হচ্ছে শরণার্থীর জীবন।
যুদ্ধ শুধু বিবদমান দেশগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এর মন্দ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কম-বেশি পুরো বিশ্বেই পড়েছে। তাদের যুদ্ধের খেসারত শুধু ইউরোপকেই দিতে হচ্ছে না, বাংলাদেশের মানুষকেও এর মাশুল গুনতে হচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।
আমরা যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব দেখতে চাই। মানবতার বিজয় হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। যুদ্ধে টেকসই কোন সমাধান মেলে না। অতীতে আমরা দেখেছি যে, ইরাক বা আফগানিস্তান যুদ্ধে কোন সমাধান মেলেনি।
দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। তবে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা হলে সমাধান মিলতে পারে, শান্তির পথ সুগম হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে। বাকি বিশ্বকে এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। যুদ্ধকে জিইয়ে রাখা বা এতে ইন্ধন দেয়া কাম্য নয়। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিগুলো যে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে সুফল মেলেনি। বরং মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হয়েছে।
মানুষ যুদ্ধ চান না, শান্তি চান। মানুষের শান্তির আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। বিশ্বনেতাদের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করতে হবে। সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের কাজ করতে হবে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।