অসাধু কাজিদের দৌরাত্ম্যে বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিয়ে

কেরানীগঞ্জে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ ছাত্রী। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতেও ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে। আর এই বাল্য বিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার মূলে রয়েছে কাজি ও মসজিদের ইমাম। না বালিকা মেয়েদের মসজিদের ইমামরা কবুল বলিয়ে ও কাজিরা বিবাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে বিয়ে না পড়াতো তাহলে বাল্য বিয়ে থাকতো না। কাজিরা তাদের একাধিক অফিসে একাধিক সহকারীর মাধ্যমে টাকার লোভে নকল জন্ম সনদসহ বিভিন্ন কাগজ তৈরী করে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা করছে। আবার মসজিদের ইমামরাও কবুলের মাধ্যমে না বালিকা মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছে। কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজি মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি অধিক অর্থের লোভে শুভাঢ্যা ইউনিয়নে একাধিক অফিসের মাধ্যমে একাধিক সহকারীর মাধ্যম্যে বিয়ে পড়ান। সহকারীরা অনেক সময় রেজিস্টার খাতা না নিয়ে অন্য খাতায় তথ্যতুলে না বালিকা মেয়েদের বিয়ে পরিয়ে দেন। বিয়ের বয়েস না হওয়ার করনে রেজিস্টার খাতায় বিয়ের তথ্য তুলতে সমস্যা হয়। এতে করে আনেক সময় বর-কনেকে আইনের জটিলতায় পড়তে হয় । বাল্য বিয়ের প্রভাবে শুধু এবছরই শুভাঢ্যা ইউনিয়নে মাধ্যমিক স্তরে শতাধিক ছাত্রী শিক্ষা গ্রহন থেকে ঝরে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ১২ আগষ্ট শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার কামুচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর রিয়া নামের এক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশ বিয়ে ভেঙ্গে দেন। পরে পুলিশ চলে য্ওায়ার পর ঐদিন রাতেই গোপনে এ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন মেয়ের বাবা-মা। এ ক্ষেত্রে পুলিশের নমনিয়তার কারনে নাবালিকা রিয়ার বিয়ে হয়ে গেল। পুলিশ যদি বাল্য বিয়ের ব্যাপারে আরো কঠোরতা অবলম্বন করে বর-কনের বাবা- মাসহ বেশ কয়েকজনকে কে আটক করে থানায় নিয়ে আসতো তাহলে ১২ বছরের মেয়ে রিয়া হয়তো আজ স্বামীর ঘরে না থেকে লেখা- পড়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকত। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. শাহ জামান বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ যেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে সদ্য বিবাহিত নাবালিকা রিয়ার মা বুলবুলি জানান, আমরা খুবই গরীব। ভালো একটা ছেলে পেলাম তাই টাকা -পয়সা ধার করে আমার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়ায় আমরা বিপদে পরে যাই। তাই পুলিশ চলে গেলে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই।

কামুচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা জানান, এবছরেই তার স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সুমনা, ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী নূপুর, নূর জাহান, উম্মে হাবিবা ও সৃতি রানী মন্ডল, ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমানা ও সুমাইয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি মেয়ের বিয়ে হয়। শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সোহেল জানান, তার বিদ্যালয়ে এবছর ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৬ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে ও অন্যান্য কারনে অনুপস্থিত। এদের মধ্যে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান,মীম আক্তার,সুমাইয়া আক্তার ও ১০ শ্রেনীর ছাত্রী মালা আক্তার,লামিয়া আক্তার,সুবর্ণা আক্তার, আয়শা আক্তারসহ আরও কয়েকজন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। জিনজিরা পীর মোহাম্মদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান জানন, তার বিদ্যালয়ে এবছর ১৬০ জন ছাত্রী অনুপস্থিত। এর মধ্যে ২৫/২৬ জন ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের ইউপি সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের কোথাও বাল্যবিয়ের খবর পেলে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেই।’ শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজির রয়েছে কয়েকজন সহয়োগী। কাজির সহকারীরা আইনের নিয়ম কানুন না মেনেই অনেক সময় বিয়ে পড়ান। এর ফলে বিভিন্ন সময় ্অইনি জটিলতার সৃস্টি হয়।

এব্যাপারে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজি মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিয়োগ মিথ্যা। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ হলেই আমি বিয়ে পড়াই।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, কেরানীগঞ্জে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে আমরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তার পরেও গোপনে বিভিন্ন স্থানে বাল্য বিয়ে হচ্ছে। আমরা কোথাও বাল্য বিয়ের খবর পেলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেই। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পার গেন্ডারিয়া এলাকায় জান্নাতুল ফেরদুস নামে (১৪) বছরের একটি মেয়ের বিযের আয়োজন হচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা বিয়ে বন্ধ করে দেই। শাক্তা ইউনিয়নে শিকারীটোলা এলাকায় সুসমিতা রানী মোদক নামে ১৩ বছরের একটি মেয়ের বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। এরকম আনেক না বালিকা মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে আমরা প্রতিটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের আভিবাবকদের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে বাল্য বিয়ের কুফল তুলে ধরে সচেতন করার চেষ্টা করি। এর পরে কিছু অবিবাক বিভিন্ন কুপ্রোরচনায় তাদের না বালিকা মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে কয়েকটি না বালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে করানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন,‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সক্রিয়। বাল্য বিয়ে না করানোর জন্য কাজিদের সাথে মিটিং করে তাদের কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখে ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে মারিয়াকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার অপরাধে বর মামুন নামে একজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ মাসের কারাদ- দেয়।

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১ আশ্বিন ১৪২৯ ২৯ সফর ১৪৪৪

অসাধু কাজিদের দৌরাত্ম্যে বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিয়ে

প্রতিনিধি, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)

কেরানীগঞ্জে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বাল্য বিয়ে। বাল্য বিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ ছাত্রী। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতেও ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্য বিয়ে। আর এই বাল্য বিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার মূলে রয়েছে কাজি ও মসজিদের ইমাম। না বালিকা মেয়েদের মসজিদের ইমামরা কবুল বলিয়ে ও কাজিরা বিবাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে বিয়ে না পড়াতো তাহলে বাল্য বিয়ে থাকতো না। কাজিরা তাদের একাধিক অফিসে একাধিক সহকারীর মাধ্যমে টাকার লোভে নকল জন্ম সনদসহ বিভিন্ন কাগজ তৈরী করে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতা করছে। আবার মসজিদের ইমামরাও কবুলের মাধ্যমে না বালিকা মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছে। কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজি মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি অধিক অর্থের লোভে শুভাঢ্যা ইউনিয়নে একাধিক অফিসের মাধ্যমে একাধিক সহকারীর মাধ্যম্যে বিয়ে পড়ান। সহকারীরা অনেক সময় রেজিস্টার খাতা না নিয়ে অন্য খাতায় তথ্যতুলে না বালিকা মেয়েদের বিয়ে পরিয়ে দেন। বিয়ের বয়েস না হওয়ার করনে রেজিস্টার খাতায় বিয়ের তথ্য তুলতে সমস্যা হয়। এতে করে আনেক সময় বর-কনেকে আইনের জটিলতায় পড়তে হয় । বাল্য বিয়ের প্রভাবে শুধু এবছরই শুভাঢ্যা ইউনিয়নে মাধ্যমিক স্তরে শতাধিক ছাত্রী শিক্ষা গ্রহন থেকে ঝরে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ১২ আগষ্ট শুভাঢ্যা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার কামুচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর রিয়া নামের এক ছাত্রীর বিয়ের খবর পেয়ে থানা পুলিশ বিয়ে ভেঙ্গে দেন। পরে পুলিশ চলে য্ওায়ার পর ঐদিন রাতেই গোপনে এ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন মেয়ের বাবা-মা। এ ক্ষেত্রে পুলিশের নমনিয়তার কারনে নাবালিকা রিয়ার বিয়ে হয়ে গেল। পুলিশ যদি বাল্য বিয়ের ব্যাপারে আরো কঠোরতা অবলম্বন করে বর-কনের বাবা- মাসহ বেশ কয়েকজনকে কে আটক করে থানায় নিয়ে আসতো তাহলে ১২ বছরের মেয়ে রিয়া হয়তো আজ স্বামীর ঘরে না থেকে লেখা- পড়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকত। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. শাহ জামান বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ যেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে সদ্য বিবাহিত নাবালিকা রিয়ার মা বুলবুলি জানান, আমরা খুবই গরীব। ভালো একটা ছেলে পেলাম তাই টাকা -পয়সা ধার করে আমার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করি। কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়ায় আমরা বিপদে পরে যাই। তাই পুলিশ চলে গেলে আমার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই।

কামুচাঁন শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা জানান, এবছরেই তার স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সুমনা, ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী নূপুর, নূর জাহান, উম্মে হাবিবা ও সৃতি রানী মন্ডল, ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রুমানা ও সুমাইয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি মেয়ের বিয়ে হয়। শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সোহেল জানান, তার বিদ্যালয়ে এবছর ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৬ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ে ও অন্যান্য কারনে অনুপস্থিত। এদের মধ্যে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান,মীম আক্তার,সুমাইয়া আক্তার ও ১০ শ্রেনীর ছাত্রী মালা আক্তার,লামিয়া আক্তার,সুবর্ণা আক্তার, আয়শা আক্তারসহ আরও কয়েকজন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। জিনজিরা পীর মোহাম্মদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান জানন, তার বিদ্যালয়ে এবছর ১৬০ জন ছাত্রী অনুপস্থিত। এর মধ্যে ২৫/২৬ জন ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের ইউপি সদস্য ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের কোথাও বাল্যবিয়ের খবর পেলে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেই।’ শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজির রয়েছে কয়েকজন সহয়োগী। কাজির সহকারীরা আইনের নিয়ম কানুন না মেনেই অনেক সময় বিয়ে পড়ান। এর ফলে বিভিন্ন সময় ্অইনি জটিলতার সৃস্টি হয়।

এব্যাপারে শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাজি মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিয়োগ মিথ্যা। জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ হলেই আমি বিয়ে পড়াই।

এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন, কেরানীগঞ্জে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে আমরা বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। তার পরেও গোপনে বিভিন্ন স্থানে বাল্য বিয়ে হচ্ছে। আমরা কোথাও বাল্য বিয়ের খবর পেলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেই। শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পার গেন্ডারিয়া এলাকায় জান্নাতুল ফেরদুস নামে (১৪) বছরের একটি মেয়ের বিযের আয়োজন হচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা বিয়ে বন্ধ করে দেই। শাক্তা ইউনিয়নে শিকারীটোলা এলাকায় সুসমিতা রানী মোদক নামে ১৩ বছরের একটি মেয়ের বিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। এরকম আনেক না বালিকা মেয়ের বিয়ের খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইসমাইল বলেন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে আমরা প্রতিটি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের আভিবাবকদের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে বাল্য বিয়ের কুফল তুলে ধরে সচেতন করার চেষ্টা করি। এর পরে কিছু অবিবাক বিভিন্ন কুপ্রোরচনায় তাদের না বালিকা মেয়েদের গোপনে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে কয়েকটি না বালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে করানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন,‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সক্রিয়। বাল্য বিয়ে না করানোর জন্য কাজিদের সাথে মিটিং করে তাদের কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখে ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে মারিয়াকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার অপরাধে বর মামুন নামে একজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ মাসের কারাদ- দেয়।