একদিনে ৬ মৃত্যু, নতুন রোগী ৭১৮
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় গেল এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যু বেড়েছে ১৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে সারাদেশে ৫ হাজার ৭৬ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২৭২ জন রোগী। এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৫ জন। সে হিসাবে এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৮০ শতাংশ।
এদিকে, সাত সপ্তাহ পর দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার সাতশ’ ছাড়িয়েছে, এই সময়ে ৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে। তাদের মধ্যে ৫৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের ৩৬ জেলায় এই সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগে কোনো রোগী ধরা পড়েনি। এর আগে সর্বশেষ গত ২১ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৮৮৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ ১৯ জুলাই, সেদিন ৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন করে ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের বিভাগের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা একজন করে। মৃতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং তিনজন পুরুষ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৩৫৯ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত রোববার ৫৭২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেই সঙ্গে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৩৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ২৮৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৫১ লাখ।
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১ আশ্বিন ১৪২৯ ২৯ সফর ১৪৪৪
একদিনে ৬ মৃত্যু, নতুন রোগী ৭১৮
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় গেল এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ, আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যু বেড়েছে ১৮০ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে সারাদেশে ৫ হাজার ৭৬ জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ২৭২ জন রোগী। এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
গেল সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৫ জন। সে হিসাবে এক সপ্তাহে মৃত্যু বেড়েছে ১৮০ শতাংশ।
এদিকে, সাত সপ্তাহ পর দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার সাতশ’ ছাড়িয়েছে, এই সময়ে ৬ জন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে। তাদের মধ্যে ৫৭৩ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। দেশের ৩৬ জেলায় এই সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। রংপুর বিভাগে কোনো রোগী ধরা পড়েনি। এর আগে সর্বশেষ গত ২১ জুলাই এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৮৮৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আর এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ ১৯ জুলাই, সেদিন ৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন করে ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের বিভাগের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা একজন করে। মৃতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং তিনজন পুরুষ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। গত একদিনে শনাক্তের হার সামান্য বেড়ে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ হয়েছে, যা আগের দিন ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল।
নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ২২ হাজার ৪০৮ জন হয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৩৫৯ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত রোববার ৫৭২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেই সঙ্গে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৩৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ২৬২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ২৮৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৫ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬১ কোটি ৫১ লাখ।