খুব সহজেই ইভ্যালিতে বিনিয়োগ আসা সম্ভব : শামীমা নাসরিন

বাংলাদেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন। এজন্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা মনে করি ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে সহজেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। অনেকেই হয়ত অবগত আছেন, আগে ইভ্যালিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নীতিমালার ত্রুটিগুলো আমরা স্বীকার করে দেনা-পাওনা এবং সব পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারির জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। তবে সেই সময় পাওয়ার আগেই পাওনা পরিশোধ বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কিত মামলায় আমরা গ্রেপ্তার হই।

ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার হওয়ার পরও প্রচন্ড মানসিক কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করে জামিন চাওয়ার আগে কোম্পানি পরিচালনা করার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির দায়িত্ব ছেড়ে দেন আদালতের নির্দেশে গঠন করা সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ইভ্যালির দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বেই নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন হচ্ছে এবং ইভ্যালি পুনর্গঠনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

তারও আগে গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। শামীমা নাসরিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম এ আবেদন করেন।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। তবে পণ্য ডেলিভারিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাহাড়সম অভিযোগ জমা হয় তাদের বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধানে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহকের মামলার ভিত্তিতে গুলশান থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান পদে থাকা তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তবে জামিন পাননি তার স্বামী রাসেল।

শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২ , ২২ আশ্বিন ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

খুব সহজেই ইভ্যালিতে বিনিয়োগ আসা সম্ভব : শামীমা নাসরিন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন। এজন্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল বিকেলে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা মনে করি ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে সহজেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। অনেকেই হয়ত অবগত আছেন, আগে ইভ্যালিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

তিনি বলেন, কিছু-কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক নীতিমালার ত্রুটিগুলো আমরা স্বীকার করে দেনা-পাওনা এবং সব পেন্ডিং অর্ডার ডেলিভারির জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছিলাম। তবে সেই সময় পাওয়ার আগেই পাওনা পরিশোধ বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ এবং চেক ডিজঅনার সম্পর্কিত মামলায় আমরা গ্রেপ্তার হই।

ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার হওয়ার পরও প্রচন্ড মানসিক কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করে জামিন চাওয়ার আগে কোম্পানি পরিচালনা করার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির দায়িত্ব ছেড়ে দেন আদালতের নির্দেশে গঠন করা সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের পরিচালনা বোর্ড। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ইভ্যালির দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বেই নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন হচ্ছে এবং ইভ্যালি পুনর্গঠনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

তারও আগে গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন। শামীমা নাসরিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম এ আবেদন করেন।

২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। তবে পণ্য ডেলিভারিতে ব্যর্থ হওয়ায় পাহাড়সম অভিযোগ জমা হয় তাদের বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধানে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহকের মামলার ভিত্তিতে গুলশান থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান পদে থাকা তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তবে জামিন পাননি তার স্বামী রাসেল।