ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচারকে ধরে রাখতে হবে

খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এদেশের অমূল্য সম্পদ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচারকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, শেকড়ের সন্ধ্যান করতে হবে।

গতকাল বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মজুমদারবাড়ি বারোয়ারি দুর্গাপূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্য উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তৃণমূলপর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন নিজস্ব কৃষ্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরার তেমন সুযোগ পায় না। তাদের সুযোগ করে দিতেই ১৯৭৭ সাল থেকে এ আয়োজন করা হয়। তারা যাতে পথভ্রষ্ট না হয়। এই আয়োজনে পুরস্কার হিসেবে সংস্কৃতির চর্চায় ব্যবহার হয় এমন উপকরণ দেয়া হয়।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য ‘ত্রিশূলে’ নামে একটি সংগঠন কাজ করছে। দেশের বাইরেও এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ত্রিশূলের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পারফর্ম করে সুনাম অর্জন করেছে। ত্রিশূলের উদ্যোগে বরেন্দ্র অঞ্চলে একটি ফেস্টিভাল আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখানে সারা দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দলগুলো নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারবে।

উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর একাদশীতে এ নৃত্য উৎসবকে কেন্দ্র করে শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। মুখরিত হয়ে ওঠে তাদের দলভিত্তিক পরিবেশিত নিজস্ব নৃত্যানুষ্ঠান। শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চাকে এগিয়ে নিতে মজুমদারবাড়ি বারোয়ারি পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নৃত্য প্রতিযোগিতা আয়োজন ও পরিচালনায় যুক্ত থাকেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশেদুল হক, ত্রিশূলের সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

নৃত্যানুষ্ঠানে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও নাটোর জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৪২টি দল অংশ নেয়। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদলগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২ , ২২ আশ্বিন ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচারকে ধরে রাখতে হবে

খাদ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধি, নওগাঁ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি এদেশের অমূল্য সম্পদ। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-কালচারকে আমাদের ধরে রাখতে হবে, শেকড়ের সন্ধ্যান করতে হবে।

গতকাল বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মজুমদারবাড়ি বারোয়ারি দুর্গাপূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্য উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তৃণমূলপর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন নিজস্ব কৃষ্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরার তেমন সুযোগ পায় না। তাদের সুযোগ করে দিতেই ১৯৭৭ সাল থেকে এ আয়োজন করা হয়। তারা যাতে পথভ্রষ্ট না হয়। এই আয়োজনে পুরস্কার হিসেবে সংস্কৃতির চর্চায় ব্যবহার হয় এমন উপকরণ দেয়া হয়।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য ‘ত্রিশূলে’ নামে একটি সংগঠন কাজ করছে। দেশের বাইরেও এ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ত্রিশূলের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পারফর্ম করে সুনাম অর্জন করেছে। ত্রিশূলের উদ্যোগে বরেন্দ্র অঞ্চলে একটি ফেস্টিভাল আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখানে সারা দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দলগুলো নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে পারবে।

উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর একাদশীতে এ নৃত্য উৎসবকে কেন্দ্র করে শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। মুখরিত হয়ে ওঠে তাদের দলভিত্তিক পরিবেশিত নিজস্ব নৃত্যানুষ্ঠান। শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চাকে এগিয়ে নিতে মজুমদারবাড়ি বারোয়ারি পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবছর এই নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নৃত্য প্রতিযোগিতা আয়োজন ও পরিচালনায় যুক্ত থাকেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশেদুল হক, ত্রিশূলের সভাপতি প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য রাখেন।

নৃত্যানুষ্ঠানে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর ও নাটোর জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৪২টি দল অংশ নেয়। পরে মন্ত্রী নৃত্যানুষ্ঠানে বিজয়ীদলগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।