নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ মহাসড়কে দৈনিক শতশত ভারী ট্রাক, ড্রামগাড়ি ও লড়ি, ভেজা বালু এবং অধিক মাল বোঝাই করে বিরিশিরি হতে শিমুলতলী বাজার পর্যন্ত পরিবহন করায় প্রায় ৬ কি. রাস্তার শুরকি ও ইট সরে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতে জনগণের ভোগান্তি এখন চরমে। প্রায় ৬ বছর পূর্বে ৩শ’ ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একে সড়ক থেকে মহাসড়কে উত্তীর্ণ করায় যানবাহন চলাচল দ্বিগুন বেড়ে যায়। সোমেশ্বরী নদীর মূল্যবান মোটা বালু সরকারি ইজারায় নিয়ে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভারি ট্রাক ও লড়ি দিয়ে বহন করায় মহাসড়কের বারটা বেজে গেছে। খানাখন্দগুলো সর্বদাই কাদা পানিতে ডুবে থাকে। পথচারীরা ভাল কাপড় পড়ে চলা ফেরা করতে পারছেন না। অথচ এই সড়ক দিয়ে দৈনিক সরকারের বড়ো বড়ো কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতায়াত করলেও কেউই চেয়ে দেখেন না রাস্তার এই বেহাল অবস্থা। দুর্গাপুর উপজেলাবাসীরা নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খানের বরাবর ০৮/১১/২০২২ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর উপজেলা জনৈক বাসিন্দা আতিক খান অজয় কয়েকজন লোক নিয়ে স্থানীয় এমপির মোড়ে ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করা বেশ কয়েটি ট্রাক আটক করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে মুঠফোনে অবহিত করলে তিনি দুর্গাপুরের ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরও এগুলো এখনো বন্ধ হচ্ছে না।
এ ব্যপারে দুর্গাপুর নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব উল-আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করার পরও আমাদের জনবল কম থাকায় এগুলো রোধ করা যাচ্ছে না।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ আর শেষ হবে না, যে পর্যন্ত না বালুর ইজারা দেওয়া বন্ধ হয়। এই সড়কটি সড়ক থেকে মহাসড়কে পরিণত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েও আমরা সুফল ভোগ করতে পাচ্ছি না।
স্থানীয় পর্যপেক্ষক মহল মনে করছেন, বালু উত্তলনের অনিয়ম এবং বিধিমালা উপেক্ষা করে নদীর অনেক গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় অবকাঠামোর ক্ষতি সাধনসহ পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হচ্ছে। এই মহাসড়কটি প্রাণ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দুর্গাপুরবাসী।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : বেহাল দশায় বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক -সংবাদ
আরও খবরবুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২ , ০১ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৪
প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) : বেহাল দশায় বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক -সংবাদ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ মহাসড়কে দৈনিক শতশত ভারী ট্রাক, ড্রামগাড়ি ও লড়ি, ভেজা বালু এবং অধিক মাল বোঝাই করে বিরিশিরি হতে শিমুলতলী বাজার পর্যন্ত পরিবহন করায় প্রায় ৬ কি. রাস্তার শুরকি ও ইট সরে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতে জনগণের ভোগান্তি এখন চরমে। প্রায় ৬ বছর পূর্বে ৩শ’ ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একে সড়ক থেকে মহাসড়কে উত্তীর্ণ করায় যানবাহন চলাচল দ্বিগুন বেড়ে যায়। সোমেশ্বরী নদীর মূল্যবান মোটা বালু সরকারি ইজারায় নিয়ে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ভারি ট্রাক ও লড়ি দিয়ে বহন করায় মহাসড়কের বারটা বেজে গেছে। খানাখন্দগুলো সর্বদাই কাদা পানিতে ডুবে থাকে। পথচারীরা ভাল কাপড় পড়ে চলা ফেরা করতে পারছেন না। অথচ এই সড়ক দিয়ে দৈনিক সরকারের বড়ো বড়ো কর্মকর্তা, এমপি, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাতায়াত করলেও কেউই চেয়ে দেখেন না রাস্তার এই বেহাল অবস্থা। দুর্গাপুর উপজেলাবাসীরা নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খানের বরাবর ০৮/১১/২০২২ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর উপজেলা জনৈক বাসিন্দা আতিক খান অজয় কয়েকজন লোক নিয়ে স্থানীয় এমপির মোড়ে ভেজা ও অতিরিক্ত বালু বহন করা বেশ কয়েটি ট্রাক আটক করে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে মুঠফোনে অবহিত করলে তিনি দুর্গাপুরের ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরও এগুলো এখনো বন্ধ হচ্ছে না।
এ ব্যপারে দুর্গাপুর নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজিব উল-আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকে বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করার পরও আমাদের জনবল কম থাকায় এগুলো রোধ করা যাচ্ছে না।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা সেক্রেটারী মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, দুর্গাপুর উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ আর শেষ হবে না, যে পর্যন্ত না বালুর ইজারা দেওয়া বন্ধ হয়। এই সড়কটি সড়ক থেকে মহাসড়কে পরিণত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়েও আমরা সুফল ভোগ করতে পাচ্ছি না।
স্থানীয় পর্যপেক্ষক মহল মনে করছেন, বালু উত্তলনের অনিয়ম এবং বিধিমালা উপেক্ষা করে নদীর অনেক গভীর থেকে বালু উত্তোলন করায় অবকাঠামোর ক্ষতি সাধনসহ পরিবেশের ভারসাম্য বিঘিœত হচ্ছে। এই মহাসড়কটি প্রাণ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন দুর্গাপুরবাসী।