দেশে টানা তিন মাস কমেছে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন। তবে এ সময়ে বেড়েছে কার্ডের সংখ্যা। একই সময়ে ডেবিট কার্ডে লেনদেন বাড়লেও ক্রেডিট কার্ডে কেন লেনদেন কমছে, তা জানতে চলছে তথ্য বিশ্লেষণ।
জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কার্ড সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭ হাজার ৭৭৪টি। আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয় ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯টি। তবে লেনদেন কমে হয় ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৮টি। কিন্তু লেনদেনে আরও কমে হয় ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা । ব্যাংকাররা বলছেন, আমদানি কমাতে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে কার্ডের ব্যবহার কমেছে। এছাড়াও আর্থ সামাজিক অনেক বিষয় ভূমিকা রাখছে লেনদেন কমায়।
গ্রাহকের তাৎক্ষণিক টাকার চাহিদা মেটাচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। টাকার প্রয়োজনে কারও কাছে না গিয়ে এই কার্ডে ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ টাকা তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কেনাকাটা ও সেবার মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। কোন সুদ ছাড়া টাকা পরিশোধে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় মিলছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিদেশে গিয়েও এসব কার্ডে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। ডেবিট কার্ডে একক মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। আগস্টে লেনদেন হয় ৩৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা
ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হয় গ্রাহকের নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে তিনি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন, না থাকলে ওঠানো যায় না। প্রিপেইড কার্ডের ধরনও প্রায় একই রকম। তবে এ ধরনের কার্ড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনের নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। আর ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয় মূলত ঋণ নেয়ার জন্য। এ ধরনের কার্ডের বিপরীতে গ্রাহক নির্ধারিত পরিমাণের ঋণ পান। তবে নির্ধারিত সময়ে কেউ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে মোটা অংকের দন্ড সুদসহ আসল পরিশোধ করতে হয়, যার হার প্রচলিত সুদহারের তুলনায় অনেক বেশি।
জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কার্ড সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭ হাজার ৭৭৪টি।
আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয় ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯টি। তবে লেনদেন কমে হয় ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৮টি। কিন্তু লেনদেনে আরও কমে হয় ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ডে রেকর্ড ২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এক মাসে ক্রেডিট কার্ডে এত লেনদেন আগে কখনো হয়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় মার্চে, ২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। জুনে লেনদেন ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
দেশে টানা তিন মাস কমেছে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন। তবে এ সময়ে বেড়েছে কার্ডের সংখ্যা। একই সময়ে ডেবিট কার্ডে লেনদেন বাড়লেও ক্রেডিট কার্ডে কেন লেনদেন কমছে, তা জানতে চলছে তথ্য বিশ্লেষণ।
জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কার্ড সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭ হাজার ৭৭৪টি। আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয় ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯টি। তবে লেনদেন কমে হয় ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৮টি। কিন্তু লেনদেনে আরও কমে হয় ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা । ব্যাংকাররা বলছেন, আমদানি কমাতে জারি করা বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে কার্ডের ব্যবহার কমেছে। এছাড়াও আর্থ সামাজিক অনেক বিষয় ভূমিকা রাখছে লেনদেন কমায়।
গ্রাহকের তাৎক্ষণিক টাকার চাহিদা মেটাচ্ছে ক্রেডিট কার্ড। টাকার প্রয়োজনে কারও কাছে না গিয়ে এই কার্ডে ব্যাংকের বুথ থেকে নগদ টাকা তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কেনাকাটা ও সেবার মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে। কোন সুদ ছাড়া টাকা পরিশোধে ৪৫ দিন পর্যন্ত সময় মিলছে। শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিদেশে গিয়েও এসব কার্ডে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। ডেবিট কার্ডে একক মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। আগস্টে লেনদেন হয় ৩৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা
ডেবিট কার্ড ইস্যু করা হয় গ্রাহকের নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে। অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলে তিনি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারেন, না থাকলে ওঠানো যায় না। প্রিপেইড কার্ডের ধরনও প্রায় একই রকম। তবে এ ধরনের কার্ড ব্যবহার করে টাকা উত্তোলনের নির্দিষ্ট পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। আর ক্রেডিট কার্ড ইস্যু হয় মূলত ঋণ নেয়ার জন্য। এ ধরনের কার্ডের বিপরীতে গ্রাহক নির্ধারিত পরিমাণের ঋণ পান। তবে নির্ধারিত সময়ে কেউ অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে মোটা অংকের দন্ড সুদসহ আসল পরিশোধ করতে হয়, যার হার প্রচলিত সুদহারের তুলনায় অনেক বেশি।
জুলাইতে ক্রেডিট কার্ডে ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়। কার্ড সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৭ হাজার ৭৭৪টি।
আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে হয় ২০ লাখ ২২ হাজার ২৫৯টি। তবে লেনদেন কমে হয় ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। এরপর সেপ্টেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়ে দাঁড়ায় ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৮টি। কিন্তু লেনদেনে আরও কমে হয় ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। এর আগে চলতি বছর এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ডে রেকর্ড ২ হাজার ৭১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এক মাসে ক্রেডিট কার্ডে এত লেনদেন আগে কখনো হয়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় মার্চে, ২ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। জুনে লেনদেন ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।