রাজধানীতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের পসরা

রাজধানীতে শীত এখনও আসেনি বললেই চলে। তবে শীত না এলেও শীতের কাপড় বিক্রির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা এবং জমে উঠতে শুরু করেছে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা। বেশি বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে ও ভ্যানে। এখন থেকেই ফুটপাতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন তারা। এরই মধ্য বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মার্কেটগুলো এই চিত্রই চোখে পড়েছে।

মিরপুর এলাকায় কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক দোকানেই দেশি এবং চায়না জ্যাকেট সাজিয়ে রেখেছে। তবে ক্রেতা ছিল কম। দোকানগুলোতে জিন্সের জ্যাকেট ১২০০ টাকা, প্যাটিন (লেদার) জ্যাকেট ১৬০০ টাকা ও এক্সপোর্টের জ্যাকেট ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চায়না জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকার। এছাড়াও নারীদের শীতের পোশাক ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মার্কেট এ এক দোকানি বলেন, ‘এবার শীতকে টার্গেট করে প্রায় ছয় লাখ টাকার কাপড় উঠিয়েছি। এখন একটা দুইটা করে জ্যাকেট বিক্রি হয়। আশা করছি সামনের মাস থেকেই বিক্রি বাড়বে।’ আরেক দোকানি শাওন ডিসেম্বরে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা রেখে বলেন ‘এক মাস আগে থেকেই মাল উঠানো শুরু করছি। অল্প কিছু করে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বাড়লে সব মাল দোকানে তোলার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।’ এছাড়াও নিউ মার্কেটের দোকানদার সাব্বির জানান ‘শীত এখনও ওইরকম আসে নাই ঢাকায়। গ্রামগুলোতে শীত পড়ে গেছে। কিন্তু সবখানেই এখন মার্কেট আছে। একই কারখানা থেকে শীতের কাপড় যায়। তাই আগে গ্রামের কাস্টমার পাইলেও এখন শুধু ঢাকার কাস্টমারই আমাদের মূল ক্রেতা।’ তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ফুটপাতগুলোতে। সব এলাকার ফুটপাতে শীতের কাপড়ের ভ্যানগুলোতে ক্রেতাদের জটলা। সবাই শীতের কাপড় নেড়েচেড়ে দেখছেন। ফুটপাতের বিক্রেতারা জানান, শীত উপলক্ষে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার শীতের কাপড় কিনে রাখেন একেকজন। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। সামনের দিনগুলাতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা রাখছেন তারা। মিরপুর-১০ এর গোলচক্কর এলাকার ফুটপাতের দোকানদার হান্নান মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কাপড় আনি, প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। অনেকে গ্রামে যাবে। তাই অগ্রিম শীতের কাপড় কিনে রাখে। ইয়াং পোলাপাইনের কাছে এখন হালকা শীতের গেঞ্জি, ফুলহাতা পাতলা জ্যাকেট এগুলার বেশি চাহিদা। এগুলা বিক্রি করছি, পরে আরও ভারী শীতের কাপড়, হুডি এগুলা বিক্রি শুরু হবে।’ বিক্রি ভালো চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমার এইখানে ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে সব রকমের শীতের জামা পাওয়া যায়। মানুষও এখন কমে দেখতে ভালো জামা পায়। তাই কম-বেশি করে কিনছে।’

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪

রাজধানীতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের পসরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রাজধানীতে শীত এখনও আসেনি বললেই চলে। তবে শীত না এলেও শীতের কাপড় বিক্রির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা এবং জমে উঠতে শুরু করেছে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা। বেশি বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে ও ভ্যানে। এখন থেকেই ফুটপাতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসতে শুরু করেছেন তারা। এরই মধ্য বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মার্কেটগুলো এই চিত্রই চোখে পড়েছে।

মিরপুর এলাকায় কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক দোকানেই দেশি এবং চায়না জ্যাকেট সাজিয়ে রেখেছে। তবে ক্রেতা ছিল কম। দোকানগুলোতে জিন্সের জ্যাকেট ১২০০ টাকা, প্যাটিন (লেদার) জ্যাকেট ১৬০০ টাকা ও এক্সপোর্টের জ্যাকেট ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চায়না জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকার। এছাড়াও নারীদের শীতের পোশাক ৭০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মার্কেট এ এক দোকানি বলেন, ‘এবার শীতকে টার্গেট করে প্রায় ছয় লাখ টাকার কাপড় উঠিয়েছি। এখন একটা দুইটা করে জ্যাকেট বিক্রি হয়। আশা করছি সামনের মাস থেকেই বিক্রি বাড়বে।’ আরেক দোকানি শাওন ডিসেম্বরে বিক্রি বাড়ার প্রত্যাশা রেখে বলেন ‘এক মাস আগে থেকেই মাল উঠানো শুরু করছি। অল্প কিছু করে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বাড়লে সব মাল দোকানে তোলার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।’ এছাড়াও নিউ মার্কেটের দোকানদার সাব্বির জানান ‘শীত এখনও ওইরকম আসে নাই ঢাকায়। গ্রামগুলোতে শীত পড়ে গেছে। কিন্তু সবখানেই এখন মার্কেট আছে। একই কারখানা থেকে শীতের কাপড় যায়। তাই আগে গ্রামের কাস্টমার পাইলেও এখন শুধু ঢাকার কাস্টমারই আমাদের মূল ক্রেতা।’ তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে ফুটপাতগুলোতে। সব এলাকার ফুটপাতে শীতের কাপড়ের ভ্যানগুলোতে ক্রেতাদের জটলা। সবাই শীতের কাপড় নেড়েচেড়ে দেখছেন। ফুটপাতের বিক্রেতারা জানান, শীত উপলক্ষে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার শীতের কাপড় কিনে রাখেন একেকজন। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। সামনের দিনগুলাতে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা রাখছেন তারা। মিরপুর-১০ এর গোলচক্কর এলাকার ফুটপাতের দোকানদার হান্নান মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কাপড় আনি, প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। অনেকে গ্রামে যাবে। তাই অগ্রিম শীতের কাপড় কিনে রাখে। ইয়াং পোলাপাইনের কাছে এখন হালকা শীতের গেঞ্জি, ফুলহাতা পাতলা জ্যাকেট এগুলার বেশি চাহিদা। এগুলা বিক্রি করছি, পরে আরও ভারী শীতের কাপড়, হুডি এগুলা বিক্রি শুরু হবে।’ বিক্রি ভালো চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমার এইখানে ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে সব রকমের শীতের জামা পাওয়া যায়। মানুষও এখন কমে দেখতে ভালো জামা পায়। তাই কম-বেশি করে কিনছে।’