ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে আক্রান্ত বেশি শিশুরা

আবহাওয়ার পরিবর্তন ও হঠাৎ করে শীত পড়ায় বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আর এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে আসছেন অভিভাবকরা। সদর হাসপাতালে গত ১ সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বহির্বিভাগে। এর সাথে রয়েছে ভর্তি থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের চাপ। অতিরিক্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসগণ। তাই আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত কারণে বেড়েছে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা। গত কয়েক দিনে জেলা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে করে শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। গত ১ সপ্তাহে দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১০০ শয্যার বিপরীতে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ৩৬ জন শিশুসহ মোট ২৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

হাসপাতালে শাহিদা বেগম নামের এক নারী বলেন, প্রায় একসপ্তাহ ধরে আমার ছেলের জ্বর। ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু কোন উপকার হয়নি। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ২ মাস ১৩ দিন বয়সী শিশু ইব্রাহিম নাইমকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা হালিমা বেগম। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর, সর্দি আর কাশি। এখানে ভর্তি হলে ডাক্তাররা এক্স-রে করতে বলেছেন। এক্স-রেতে দেখা গেছে ছেলের বুকে কাশি জমে শুকিয়ে গেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে। হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন কিছুটা ভাল।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা সীমা হালদার বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। অনেক বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে ১০০ শয্যার। এ অবস্থায় রোগীর চাপ থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪

ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে আক্রান্ত বেশি শিশুরা

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

আবহাওয়ার পরিবর্তন ও হঠাৎ করে শীত পড়ায় বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আর এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে আসছেন অভিভাবকরা। সদর হাসপাতালে গত ১ সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বহির্বিভাগে। এর সাথে রয়েছে ভর্তি থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের চাপ। অতিরিক্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসগণ। তাই আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নাগরিকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত কারণে বেড়েছে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা। গত কয়েক দিনে জেলা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এতে করে শয্যা সংকট দেখা দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। গত ১ সপ্তাহে দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১০০ শয্যার বিপরীতে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ৩৬ জন শিশুসহ মোট ২৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

হাসপাতালে শাহিদা বেগম নামের এক নারী বলেন, প্রায় একসপ্তাহ ধরে আমার ছেলের জ্বর। ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু কোন উপকার হয়নি। যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ২ মাস ১৩ দিন বয়সী শিশু ইব্রাহিম নাইমকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মা হালিমা বেগম। তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে বাচ্চার জ্বর, সর্দি আর কাশি। এখানে ভর্তি হলে ডাক্তাররা এক্স-রে করতে বলেছেন। এক্স-রেতে দেখা গেছে ছেলের বুকে কাশি জমে শুকিয়ে গেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে। হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তাই সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। এখন কিছুটা ভাল।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকা সীমা হালদার বলেন, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। অনেক বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।

জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত বলেন, আমাদের ২৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও জনবল রয়েছে ১০০ শয্যার। এ অবস্থায় রোগীর চাপ থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।