সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে সমাবেশস্থলের পাশে শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় পাশেই বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকায় অনেকটা আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় পথচারী ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে সমাবেশস্থল আলিয়া মাদ্রাসার পাশে চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ।
এরআগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চৌহাট্টা এলাকায় সমবেত হন। আলিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়েও কয়েকটি মিছিল যায়। এ সময় আলীয়া মাঠে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাতের আশঙ্কায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এ সময় কর্মীদের মাঠের ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
কাছাকাছি দুইপক্ষের অবস্থানের কারণে চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে পুলিশের শক্ত অবস্থানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছুসময় চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থানের পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিন্দাবাজারের দিকে চলে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের দিকে চলে যান।
মিছিলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার জাহগান সৌরভ ও সারধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আগামীকাল বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির সমাবেশের আগে শোডাউন সম্পর্কে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএনপির অপপ্রচার, মিথ্যাচারসহ দেশব্যাপী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিএনপি সমাবেশের নামে নগরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা রাজপথে নেমে জনগনকে আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেছি।
ছাত্রলীগের এই শোডাউন প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, তারা মামলা দিয়ে, হামলা করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। তাতে কাজ না হওয়ায় আজ সমাবেশস্থলে পাশ দিয়ে শোডাউন করে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগন রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। তাদের আর ভয় দেখানো যাবে না। এই সরকারের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত জনগন ঘরে ফিরে যাবে না। আগামীকাল সিলেটে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ছাত্রলীগের মিছিল আমরা রিকাবীবাজার বা মাদরাসা মাঠের দিকে যেতে দেইনি। রিকাবীবাজার ও চৌহাট্টা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪
প্রতিনিধি, সিলেট
সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে সমাবেশস্থলের পাশে শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। এ সময় পাশেই বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকায় অনেকটা আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় পথচারী ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গতকাল বিকেল ৪টার দিকে সমাবেশস্থল আলিয়া মাদ্রাসার পাশে চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল করে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ।
এরআগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা চৌহাট্টা এলাকায় সমবেত হন। আলিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়েও কয়েকটি মিছিল যায়। এ সময় আলীয়া মাঠে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘাতের আশঙ্কায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এ সময় কর্মীদের মাঠের ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
কাছাকাছি দুইপক্ষের অবস্থানের কারণে চৌহাট্টা এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে পুলিশের শক্ত অবস্থানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছুসময় চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থানের পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জিন্দাবাজারের দিকে চলে যেতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের দিকে চলে যান।
মিছিলে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার জাহগান সৌরভ ও সারধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আগামীকাল বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। বিএনপির সমাবেশের আগে শোডাউন সম্পর্কে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএনপির অপপ্রচার, মিথ্যাচারসহ দেশব্যাপী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিএনপি সমাবেশের নামে নগরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা রাজপথে নেমে জনগনকে আশ্বস্থ করার চেষ্টা করেছি।
ছাত্রলীগের এই শোডাউন প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন বলেন, তারা মামলা দিয়ে, হামলা করে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। তাতে কাজ না হওয়ায় আজ সমাবেশস্থলে পাশ দিয়ে শোডাউন করে ভয় দেখাতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগন রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। তাদের আর ভয় দেখানো যাবে না। এই সরকারের পতন হওয়ার আগ পর্যন্ত জনগন ঘরে ফিরে যাবে না। আগামীকাল সিলেটে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ছাত্রলীগের মিছিল আমরা রিকাবীবাজার বা মাদরাসা মাঠের দিকে যেতে দেইনি। রিকাবীবাজার ও চৌহাট্টা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।