আ’লীগ নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে।’
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে এমন কোন কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে।
জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না। নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত চরম সত্য কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির চোখ খুলে গেছে, তারাও দেখতে পাচ্ছেন এখানে কী হচ্ছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাও?কি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি।
এ বক্তব্যের জন্য তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪
আ’লীগ নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে : ফখরুল
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের পরিষ্কার কথা, ঢাকার সমাবেশ হচ্ছে বিভাগীয় সমাবেশের সর্বশেষ সমাবেশ। এখান থেকে আমরা পরবর্তীতে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণে যাব। এটা চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি নয়। অথচ আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে তা নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে।’
গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিভাগীয় সমাবেশগুলো করছি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেখানে সহিংসতা পাল্টা প্রতিরোধ করিনি। এখন সরকার ১০ ডিসেম্বর পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য বালখিল্য আচরণ করছে। উদ্দেশ্য একটাই গণতন্ত্রকামী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন নস্যাৎ করা। কারণ আওয়ামী লীগ নিজস্ব চরিত্র হারিয়ে ফেলেছে, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন আমলা ও গোয়েন্দা নির্ভর হয়ে পড়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ থেকে এমন কোন কর্মসূচি ঘোষণা করব না, যাতে জনগণের দুর্ভোগ ও কষ্ট হবে।
জঙ্গিবাদকে বাংলাদেশের জন্য একটা ইস্যু তৈরির চেষ্টা চলছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যারা চিকিৎসক। অথচ আমরা তো জঙ্গি দেখি না। এটা সরকারের পুরোনো অস্ত্র, তাতে কাজ হবে না। নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাপানি রাষ্ট্রদূত চরম সত্য কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির চোখ খুলে গেছে, তারাও দেখতে পাচ্ছেন এখানে কী হচ্ছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাও?কি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি।
এ বক্তব্যের জন্য তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।