কপ সম্মেলনে প্রত্যাশা

মোতাহার হোসেন

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সর্বাধিক ক্ষতগ্রিস্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যদিও এজন্য মোটেও দায়ী নয় বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনরে জন্য বাতাসে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণকে দায়ী করা হয়। বাতাসে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ করে বিশে^র উন্নত দেশসমূহ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ভারতসহ বেশ কিছু শিল্পোন্নত দেশ।

বাতাসে কার্বন নিঃসরণ কমাতে জাতিসংঘের আয়োজনে ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপে (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস) বিশে^র উন্নত দেশসমূহের প্রদত্ত প্রতিশ্রুত কার্বন নিঃসরণ ২ ডিগ্রি সম্ভব হলে ১.০৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছরে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে বাতাসে ক্রমাগত অধিকমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ বাড়তে থাকায় পৃথিবীর প্রকৃতিও ক্রমশ বৈরী হচ্ছে- বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হচ্ছে। এর পরিণতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশে^র কয়েকটি দেশের মানুষ এ বছর দাবানলের শিকার হয়েছিল।

এমনই এক সংকটময় অবস্থায় ‘ধরিত্রী রক্ষায়’ জাতিসংঘের আয়োজনে মিসরের পর্যটন নগরী শার্ম আল শেখে কপের ২৭তম সম্মেলনে শুরু হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। তাই ধরিত্র রক্ষায় এবারের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গত কারণেই এবারের সম্মেলনে প্রত্যাশা জলবায়ুদুর্গত দেশগুলোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং প্যারিস চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো।

অবশ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হবে মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠেয় কপ-২৭ সম্মেলনে। বিশ্বের ১৯৮ দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের দেশে দেশে যে ক্ষতি হচ্ছে বিশেষ করে প্রকৃতি বৈরী হচ্ছে এবং আবহাওয়া দ্রুত বদলাচ্ছে। পাশাপাশি বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়তে থাকায় দ্রুতই বরফ গলছে হিমালয়সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান বরফগুচ্ছ। এতে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে, সমুদ্র উপকূলের মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে, মানুষের খাদ্য বাসস্থান হারাচ্ছে। যদিও প্যারিসে বিশ্ব নেতারা একমত হয়েছিলেন জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

কিন্তু প্যারিস এগ্রিমেন্টের পরে দীর্ঘ ৮ বছরেও সে ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনই অবস্থায় এবারের সম্মেলন বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উন্নত দেশগুলোর দূষণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ বাসস্থান ও কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তাদের পুনর্বাসন প্রয়োজন। এজন্য যে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশগুলো দিয়েছিল তারা কথা রাখেনি।

বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহ মনে করে কপ-২৭ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বাঁচা-মরার মুহূর্ত। পৃথিবী এ মুহূর্তে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বজায় রাখার মতো অবস্থায় নেই। আর গত বছরের প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর পরে এ বাস্তবতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

কোভিড-১৯-এর ফলে সৃষ্ট চলমান অর্থনৈতিক প্রভাব, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ, বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, শক্তি প্রদর্শনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাতাসে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় একটি সফল কপ-২৭, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ হতে পারে।

এ বছরের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করছেন- যেটি প্যারিসে, কোপেনহেগেনে হয়েছিল কিন্তু গত কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা। কারণ রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা যখন অংশ নেন তখন গ্লোবাল কমিউনিটি বা বিশ্বসমাজ, পরিবেশকর্মী এবং আমাদের মতো হার্ড-ভিক্টিম বা সর্বাধিক ভুক্তভোগীদের কথা তাদের কানে যায়। ফলে গ্লোবাল রেসপন্স ডেলিভার করার বৈশ্বিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একটা নতুন মোমেন্টাম বা গতি সঞ্চারিত হয়। এটা ভালো দিক।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়গুলো বহু আগে থেকে আলোচিত হচ্ছে কিন্তু বছরে একশ কোটি ডলার যা ক্লাইমেট ফান্ড হিসেবে দেয়ার কথা ছিল, তা আশাই থেকে গেছে; আরো নানা ইস্যুতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। আমাদের অন্যতম দাবি ছিল টেকনোলজি ট্রান্সফার। অর্থাৎ যেসব দেশে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই, সেসব দেশে প্রযুক্তি সরবরাহ করা। এ বিষয়েও তেমন অগ্রগতি নেই।

ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ। ২০৫০ সাল পর্যন্ত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। সেখানে বাংলাদেশের জলবায়ু দুর্গতদের জন্য অভিযোজন তহবিলের পাশাপাশি লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য তহবিলের দাবি জানানো হয়। প্রত্যাশা থাকবে বিশ্বনেতারা বিশ্বাবাসীকে অন্ধকারে আলো দেখাবে এবারের সম্মেলনে।

[লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম]

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২ , ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৪

কপ সম্মেলনে প্রত্যাশা

মোতাহার হোসেন

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সর্বাধিক ক্ষতগ্রিস্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যদিও এজন্য মোটেও দায়ী নয় বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনরে জন্য বাতাসে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণকে দায়ী করা হয়। বাতাসে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ করে বিশে^র উন্নত দেশসমূহ। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ভারতসহ বেশ কিছু শিল্পোন্নত দেশ।

বাতাসে কার্বন নিঃসরণ কমাতে জাতিসংঘের আয়োজনে ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপে (কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস) বিশে^র উন্নত দেশসমূহের প্রদত্ত প্রতিশ্রুত কার্বন নিঃসরণ ২ ডিগ্রি সম্ভব হলে ১.০৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছরে এই চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে বাতাসে ক্রমাগত অধিকমাত্রায় কার্বন নিঃসরণ বাড়তে থাকায় পৃথিবীর প্রকৃতিও ক্রমশ বৈরী হচ্ছে- বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হচ্ছে। এর পরিণতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশে^র কয়েকটি দেশের মানুষ এ বছর দাবানলের শিকার হয়েছিল।

এমনই এক সংকটময় অবস্থায় ‘ধরিত্রী রক্ষায়’ জাতিসংঘের আয়োজনে মিসরের পর্যটন নগরী শার্ম আল শেখে কপের ২৭তম সম্মেলনে শুরু হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে এ সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। তাই ধরিত্র রক্ষায় এবারের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গত কারণেই এবারের সম্মেলনে প্রত্যাশা জলবায়ুদুর্গত দেশগুলোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ এবং প্যারিস চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। এ দাবিতে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো।

অবশ্য প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হবে মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠেয় কপ-২৭ সম্মেলনে। বিশ্বের ১৯৮ দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের দেশে দেশে যে ক্ষতি হচ্ছে বিশেষ করে প্রকৃতি বৈরী হচ্ছে এবং আবহাওয়া দ্রুত বদলাচ্ছে। পাশাপাশি বাতাসে কার্বন নিঃসরণ বাড়তে থাকায় দ্রুতই বরফ গলছে হিমালয়সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান বরফগুচ্ছ। এতে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বাড়ছে, সমুদ্র উপকূলের মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে, মানুষের খাদ্য বাসস্থান হারাচ্ছে। যদিও প্যারিসে বিশ্ব নেতারা একমত হয়েছিলেন জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে কার্বন নিঃসরণ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

কিন্তু প্যারিস এগ্রিমেন্টের পরে দীর্ঘ ৮ বছরেও সে ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনই অবস্থায় এবারের সম্মেলন বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উন্নত দেশগুলোর দূষণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ক্ষতিগ্রস্ত। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫৫০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ বাসস্থান ও কর্মসংস্থান হারিয়েছে। তাদের পুনর্বাসন প্রয়োজন। এজন্য যে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি উন্নত দেশগুলো দিয়েছিল তারা কথা রাখেনি।

বাংলাদেশসহ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহ মনে করে কপ-২৭ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বাঁচা-মরার মুহূর্ত। পৃথিবী এ মুহূর্তে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বজায় রাখার মতো অবস্থায় নেই। আর গত বছরের প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর পরে এ বাস্তবতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

কোভিড-১৯-এর ফলে সৃষ্ট চলমান অর্থনৈতিক প্রভাব, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ, বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা, শক্তি প্রদর্শনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাতাসে অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় একটি সফল কপ-২৭, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ হতে পারে।

এ বছরের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করছেন- যেটি প্যারিসে, কোপেনহেগেনে হয়েছিল কিন্তু গত কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা। কারণ রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা যখন অংশ নেন তখন গ্লোবাল কমিউনিটি বা বিশ্বসমাজ, পরিবেশকর্মী এবং আমাদের মতো হার্ড-ভিক্টিম বা সর্বাধিক ভুক্তভোগীদের কথা তাদের কানে যায়। ফলে গ্লোবাল রেসপন্স ডেলিভার করার বৈশ্বিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে একটা নতুন মোমেন্টাম বা গতি সঞ্চারিত হয়। এটা ভালো দিক।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়গুলো বহু আগে থেকে আলোচিত হচ্ছে কিন্তু বছরে একশ কোটি ডলার যা ক্লাইমেট ফান্ড হিসেবে দেয়ার কথা ছিল, তা আশাই থেকে গেছে; আরো নানা ইস্যুতেও তেমন অগ্রগতি হয়নি। আমাদের অন্যতম দাবি ছিল টেকনোলজি ট্রান্সফার। অর্থাৎ যেসব দেশে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই, সেসব দেশে প্রযুক্তি সরবরাহ করা। এ বিষয়েও তেমন অগ্রগতি নেই।

ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ। ২০৫০ সাল পর্যন্ত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। সেখানে বাংলাদেশের জলবায়ু দুর্গতদের জন্য অভিযোজন তহবিলের পাশাপাশি লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য তহবিলের দাবি জানানো হয়। প্রত্যাশা থাকবে বিশ্বনেতারা বিশ্বাবাসীকে অন্ধকারে আলো দেখাবে এবারের সম্মেলনে।

[লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম]