পতনের সপ্তাহে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা মূলধন কমলো শেয়ারবাজারে

গত সপ্তাহ পতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচক কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৬ কোটি ০২ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ০৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৩১১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন চার হাজার ৪৭৬ কোটি ০৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৬ টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ২০ কোটি ০১ লাখ ৮৪ হাজার ৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে দুই ৮০২ কোটি ২৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭৭ টাকা কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৭.৭৭ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৫.৯৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২০.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.০৬ পয়েন্ট বা ১.৬১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৪.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৯.৯১ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির বা ১১.৪৩ শতাংশের, কমেছে ৭৬টির বা ১৯.৭৪ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬৫টির বা ৬৮.৮৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ০০৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫৮ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৪ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭০.০৮ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৯২.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৬২.৯৭ পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ৯৮.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৭.৩৪ পয়েন্ট বা ১.২৯ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৪.৫৩ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ০৮১.৬৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৪৪.১৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৩২২.৩৩ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৭.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২টির বা ১১.৫১ শতাংশের দর বেড়েছে, ৭৪টির বা ২৬.৬২ শতাংশের কমেছে এবং ১৭২টির বা ৬১.৮৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দেড় শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.৭৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৫৬ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৬টির বা ১৯.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪২৬.৮০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৩১.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯৪.৯০ টাকা বা ৪৫.৬৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেএমআই সিরিঞ্জের ২৮.৩১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ২৫.৭৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২৩.০২ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ২২.৩৪ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ২১.৭২ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৭.৪০ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের ১৪.১৭ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ১৩.৯৭ শতাংশ এবং সিনোবাংলার শেয়ার দর ১৩.৭২ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য ৪৪টির বা ১১.৪৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৫.৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪০.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.৩০ টাকা বা ৫৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুন্নু এগ্রোর ৮.৯০ শতাংশ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.৬৯ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কের ৭.১৬ শতাংশ, ইজেনারেশনের ৭.১২ শতাংশ, সী পার্লের ৬.০২ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকের ৫.৯৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ৪.৯৬ শতাংশ, বাটা সু‘র ৪.২৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৩.৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ , ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৪

পতনের সপ্তাহে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা মূলধন কমলো শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

গত সপ্তাহ পতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচক কমলেও টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। সপ্তাহটিতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আর সপ্তাহটিতে শেয়ারবাজারে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে।

গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৬ কোটি ০২ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৭ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ০৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৩১১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন চার হাজার ৪৭৬ কোটি ০৩ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৬ টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিন হাজার ২০ কোটি ০১ লাখ ৮৪ হাজার ৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল পাঁচ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে দুই ৮০২ কোটি ২৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭৭ টাকা কমেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৭.৭৭ পয়েন্ট বা ১.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৫.৯৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২০.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.০৬ পয়েন্ট বা ১.৬১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৪.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৯.৯১ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টির বা ১১.৪৩ শতাংশের, কমেছে ৭৬টির বা ১৯.৭৪ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬৫টির বা ৬৮.৮৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ০০৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৫৮ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৪ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭০.০৮ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৯২.৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৬২.৯৭ পয়েন্ট বা ১.৪৪ শতাংশ, ডিএসই-৩০ সূচক ৯৮.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৭.৩৪ পয়েন্ট বা ১.২৯ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৪.৫৩ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ০৮১.৬৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৪৪.১৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৩২২.৩৩ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৭.২২ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২টির বা ১১.৫১ শতাংশের দর বেড়েছে, ৭৪টির বা ২৬.৬২ শতাংশের কমেছে এবং ১৭২টির বা ৬১.৮৭ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দেড় শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪.৭৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৪.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৫৬ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭৬টির বা ১৯.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪২৬.৮০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ২৩১.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৯৪.৯০ টাকা বা ৪৫.৬৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জেএমআই সিরিঞ্জের ২৮.৩১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ২৫.৭৯ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২৩.০২ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ২২.৩৪ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ২১.৭২ শতাংশ, কোহিনুর কেমিক্যালের ১৭.৪০ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের ১৪.১৭ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ১৩.৯৭ শতাংশ এবং সিনোবাংলার শেয়ার দর ১৩.৭২ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য ৪৪টির বা ১১.৪৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। সপ্তাহটিতে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৫.৬০ টাকায়। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪০.৯০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫.৩০ টাকা বা ৫৯.৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মুন্নু এগ্রোর ৮.৯০ শতাংশ, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.৬৯ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কের ৭.১৬ শতাংশ, ইজেনারেশনের ৭.১২ শতাংশ, সী পার্লের ৬.০২ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকের ৫.৯৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ৪.৯৬ শতাংশ, বাটা সু‘র ৪.২৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৩.৮৪ শতাংশ বেড়েছে।