সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেপরোয়া বেত্রাঘাতে তিন শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদের রায়গঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার মেহমানশাহী উচ্চবিদ্যালয়ে এই নির্মম বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের দোতলায় কে বা কারা বৈদ্যুতিক সুইসবোর্ড নষ্ট করে। এই ঘটনায় কথিত অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন ওরফে গোলাম রব্বানী সপ্তম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী আসিফ হোসেন, শয়ন ইসলাম ও শাকিল আহমেদকে স্কুল মাঠের মধ্যে নিয়ে অতর্কিতভাবে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে মারাত্মক জখম করেন। পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুকুল হোসেন গত বুধবার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন ওরফে গোলাম রব্বানীকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের মারপিটের কথা অকপটে স্বীকার করেন। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী মারপিটের ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ , ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৪
প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ)
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেপরোয়া বেত্রাঘাতে তিন শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতদের রায়গঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সলঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। উপজেলার মেহমানশাহী উচ্চবিদ্যালয়ে এই নির্মম বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের দোতলায় কে বা কারা বৈদ্যুতিক সুইসবোর্ড নষ্ট করে। এই ঘটনায় কথিত অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন ওরফে গোলাম রব্বানী সপ্তম শ্রেণীর তিন শিক্ষার্থী আসিফ হোসেন, শয়ন ইসলাম ও শাকিল আহমেদকে স্কুল মাঠের মধ্যে নিয়ে অতর্কিতভাবে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে মারাত্মক জখম করেন। পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মুকুল হোসেন গত বুধবার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন ওরফে গোলাম রব্বানীকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষার্থীদের মারপিটের কথা অকপটে স্বীকার করেন। সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী মারপিটের ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।