এক বছরে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে লেনদেনও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এক বছরে ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে লেনদেন বেড়েছে ৯ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ২৬ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর আগের বছরের একই সময়ে লেনদেন হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিক সেবা পেতে ইন্টারনেটযুক্ত কম্পিউটার ও মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করছে। দিনদিন এর পরিমাণ ও লেনদেন ব্যাপক হারে বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারায় সব ধরনের মানুষ এই পদ্ধতিতে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে বেশি আগ্রহী। এতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৮৯ হাজার ২২৬ জন। গত বছরের একই সময়ে গ্রাহকের পরিমাণ ছিল ৪০ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের তুলনায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯২ জন।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ টাকা। এভাবে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার এবং প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যায়। এছাড়া করপোরেট অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি লেনদেনে সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার এবং প্রতিদিন মোট ২৫ লাখ টাকার লেনদেন করা যাবে।

চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩০৮ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৩৬ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। ২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন ছিল দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তঃব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেনকে সহজতর করে তোলে। বিইএফটিএনের মাধ্যমে বিমা প্রিমিয়াম ও ক্লাবের সাবস্ক্রিপশন ফি সহ মাসিক কিস্তির পরিশোধ করা যায়। এছাড়াও এর মাধ্যমে বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান, এটি পে-রোল, কোম্পানির লভ্যাংশ, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, বিল পেমেন্ট, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদান এবং করপোরেট পেমেন্টের মতো লেনদেন পরিচালনা করা যায়।

রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪

এক বছরে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে লেনদেনও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এক বছরে ইন্টারনেট ব্যাংকিং পদ্ধতিতে লেনদেন বেড়েছে ৯ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ২৬ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর আগের বছরের একই সময়ে লেনদেন হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিক সেবা পেতে ইন্টারনেটযুক্ত কম্পিউটার ও মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করছে। দিনদিন এর পরিমাণ ও লেনদেন ব্যাপক হারে বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারায় সব ধরনের মানুষ এই পদ্ধতিতে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করেই আর্থিক লেনদেন করতে বেশি আগ্রহী। এতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৮ লাখ ৮৯ হাজার ২২৬ জন। গত বছরের একই সময়ে গ্রাহকের পরিমাণ ছিল ৪০ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের তুলনায় ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯২ জন।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং নামে অধিক পরিচিত। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা আর্থিক লেনদেন ও বিল পেমেন্টসহ নানা ধরনের পরিষেবা সহজেই পান। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ৩ লাখ টাকা। এভাবে দিনে সর্বোচ্চ ১০ বার এবং প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা লেনদেন করা যায়। এছাড়া করপোরেট অ্যাকাউন্টের জন্য প্রতি লেনদেনে সীমা ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২০ বার এবং প্রতিদিন মোট ২৫ লাখ টাকার লেনদেন করা যাবে।

চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৩০৮ কোটি টাকায়, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ৩৬ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা। ২০১১ সালে চালু হওয়া বিইএফটিএন ছিল দেশের প্রথম কাগজবিহীন ইলেক্ট্রনিক আন্তঃব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। চেক-ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে এটি ক্রেডিট ও ডেবিট উভয় লেনদেনকে সহজতর করে তোলে। বিইএফটিএনের মাধ্যমে বিমা প্রিমিয়াম ও ক্লাবের সাবস্ক্রিপশন ফি সহ মাসিক কিস্তির পরিশোধ করা যায়। এছাড়াও এর মাধ্যমে বিদেশি ও দেশি রেমিট্যান্স, সামাজিক নিরাপত্তার অর্থপ্রদান, এটি পে-রোল, কোম্পানির লভ্যাংশ, সরকারি ট্যাক্স পেমেন্ট, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান, বিল পেমেন্ট, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ প্রদান এবং করপোরেট পেমেন্টের মতো লেনদেন পরিচালনা করা যায়।