অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ এখনও করোনা সংকটের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সরকার মহামারী থেকে অর্থনৈতিক ধস মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল যা দ্রুত এবং শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের সাহায্য করেছে। কিন্তু এরপর আবার পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবারও চাপে পড়েছে। বিশেষ করে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম এবং রিজার্ভ দ্রুত কমে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এমন মন্তব্য করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার আব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
এমসিসিআই-এর পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পণ্যের দাম বাড়ছে, বিদেশে রপ্তানি চাহিদা কমছে এবং সাপ্লাই চেইনে বিঘœ ঘটছে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও একই অবস্থা। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স হ্রাস এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। টাকার চাপে পড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ডলারের উচ্চ হার, আমদানি অর্থপ্রদান, নেতিবাচক চলতি হিসাবের ব্যালেন্স, দুর্বল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন চাপের মধ্যে রয়েছে। চাপ কাটিয়ে উঠতে সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকা-ের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রসারিত করতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পর্যালোচনাধীন ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি আয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সহজতর করেছে। রপ্তানিমুখী পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট এবং দেশীয় বাজারমুখী ইস্পাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহন খাত পুরোদমে চলছে। আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স কমেছে, যা অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব ফেলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও কিছুটা সন্তোষজনক অবস্থানে থাকলেও ধীরে ধীরে কমছে। আগস্টে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এরপর সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিনিময় হার দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল ছিল কিন্তু মার্কিন ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অবমূল্যায়ন হয়েছে।
রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ এখনও করোনা সংকটের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সরকার মহামারী থেকে অর্থনৈতিক ধস মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল যা দ্রুত এবং শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের সাহায্য করেছে। কিন্তু এরপর আবার পুনরুদ্ধার বাধাগ্রস্ত করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবারও চাপে পড়েছে। বিশেষ করে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম এবং রিজার্ভ দ্রুত কমে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় এমন মন্তব্য করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার আব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
এমসিসিআই-এর পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পণ্যের দাম বাড়ছে, বিদেশে রপ্তানি চাহিদা কমছে এবং সাপ্লাই চেইনে বিঘœ ঘটছে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও একই অবস্থা। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স হ্রাস এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। টাকার চাপে পড়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ডলারের উচ্চ হার, আমদানি অর্থপ্রদান, নেতিবাচক চলতি হিসাবের ব্যালেন্স, দুর্বল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং কমে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের কারণে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন চাপের মধ্যে রয়েছে। চাপ কাটিয়ে উঠতে সরকারকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক কর্মকা-ের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রসারিত করতে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পর্যালোচনাধীন ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি আয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সহজতর করেছে। রপ্তানিমুখী পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট এবং দেশীয় বাজারমুখী ইস্পাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবহন খাত পুরোদমে চলছে। আমদানি এবং অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স কমেছে, যা অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব ফেলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনও কিছুটা সন্তোষজনক অবস্থানে থাকলেও ধীরে ধীরে কমছে। আগস্টে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এরপর সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিনিময় হার দীর্ঘদিন ধরে স্থিতিশীল ছিল কিন্তু মার্কিন ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অবমূল্যায়ন হয়েছে।