কিশোরগঞ্জের নিকলীতে স্বামীর সহায়তায় দলবদ্ধ ধর্ষণে নিহত আশামনির (২২) ধর্ষক ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ জাল্লাবাদ সরকারি প্রইমারি স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আশামনির মা ফাহিমা আক্তার ও মামা মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য স্বজন ও বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসী অংশ নেন। মামলার ৭ আসামির মধ্যে আশামনির স্বামী সাহাপুর গ্রামের লালচানসহ (২৮) চারজন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামি প্রাক্তন ইউপি মেম্বার রনিসহ অন্য তিন আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদী পক্ষকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আশামনির বিয়ের পর থেকেই তাকে স্বামী লালচান পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আশামনি বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। গত ২৭ জুন আশামনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাবার পথে আসামিরা তার মুখে গামছা চেপে ধরে পতিত জমিতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এলাকাবাসী আশামনিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে আশামনি নিজেই ধর্ষকদের নাম বলে গেছেন বলে জানা গেছে। আশামনির মামা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে প্রাক্তন ইউপি মেম্বার রনিকে প্রধান আসামি করে স্বামী লালচানসহ মোট ৭ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ২৯ জুন মামলা করেন।
নিকলী থানার ওসি মনসুর আলী আরিফ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে স্বামীর সহায়তায় দলবদ্ধ ধর্ষণে নিহত আশামনির (২২) ধর্ষক ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ জাল্লাবাদ সরকারি প্রইমারি স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে আশামনির মা ফাহিমা আক্তার ও মামা মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্য স্বজন ও বিপুলসংখ্যক এলাকাবাসী অংশ নেন। মামলার ৭ আসামির মধ্যে আশামনির স্বামী সাহাপুর গ্রামের লালচানসহ (২৮) চারজন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামি প্রাক্তন ইউপি মেম্বার রনিসহ অন্য তিন আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদী পক্ষকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আশামনির বিয়ের পর থেকেই তাকে স্বামী লালচান পতিতাবৃত্তির জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আশামনি বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। গত ২৭ জুন আশামনি বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাবার পথে আসামিরা তার মুখে গামছা চেপে ধরে পতিত জমিতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এলাকাবাসী আশামনিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে আশামনি নিজেই ধর্ষকদের নাম বলে গেছেন বলে জানা গেছে। আশামনির মামা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে প্রাক্তন ইউপি মেম্বার রনিকে প্রধান আসামি করে স্বামী লালচানসহ মোট ৭ জনের নাম দিয়ে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় ২৯ জুন মামলা করেন।
নিকলী থানার ওসি মনসুর আলী আরিফ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।