ধোবাউড়ায় নিউমোনিয়া ডায়রিয়া রোগীর অধিকাংশই শিশু

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় হঠাৎ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে অক্সিজেন দিতে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন অভিভাবকরা। এছাড়া ঠা-াজনিত রোগে বয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীই শিশু। সম্প্রতি সরেজমিন ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভর্তিকৃত ২১ জন রোগীর প্রায় সবগুলো শিশু। এছাড়া প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা এবং ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসায় চাপ বাড়ছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ মানসম্মত চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। শ্বাসকষ্টজনিত চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর বাবা শাহারুল ইসলাম বলেন, আমি আমার বাচ্চা নিয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি, ঠিকমত সেবা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বইরে থেকে প্রাইভেট চিকিৎসা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ বলেন, শীতকালে সাধারণত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়ে যায়। সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের যতক্ষণ বেডে রোগী আছে তাদের সেবা দেয়া হয়, তবে অনেক রোগী বেডের বাইরে রয়েছে।

রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪

ধোবাউড়ায় নিউমোনিয়া ডায়রিয়া রোগীর অধিকাংশই শিশু

প্রতিনিধি, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় হঠাৎ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে অক্সিজেন দিতে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন অভিভাবকরা। এছাড়া ঠা-াজনিত রোগে বয়স্করাও আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিনে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীই শিশু। সম্প্রতি সরেজমিন ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ভর্তিকৃত ২১ জন রোগীর প্রায় সবগুলো শিশু। এছাড়া প্রতিদিন আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা এবং ডায়রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত অনেক রোগী। হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসায় চাপ বাড়ছে চিকিৎসকদের। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ মানসম্মত চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। শ্বাসকষ্টজনিত চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর বাবা শাহারুল ইসলাম বলেন, আমি আমার বাচ্চা নিয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি, ঠিকমত সেবা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বইরে থেকে প্রাইভেট চিকিৎসা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাঈদ বলেন, শীতকালে সাধারণত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেড়ে যায়। সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের যতক্ষণ বেডে রোগী আছে তাদের সেবা দেয়া হয়, তবে অনেক রোগী বেডের বাইরে রয়েছে।