পথশিশুদের বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের ১১ শিশু

কয়েক মাস আগে বাংলার মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করেছিল। ফুটবল মঞ্চে ইতিহাস গড়ে আনন্দে ভেসেছে ও ভাসিয়েছে এই সাফজয়ী স্বর্ণ কন্যারা। দেশের জন্য বয়ে এনেছিল গৌরব। তাদের এই উৎসবে যখন পুরো দেশ ভাসছিল ঠিক তখনই বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল পায়ে কাতারে প্রতিনিধিত্ব করছিল ১১ পথশিশু।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ২০১০ সাল থেকে ‘দ্য স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ’ বা পথশিশুদের নিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের। এবার (২০২২) ২৪টি দেশের ২৬টি দলের একটি ছিল বাংলাদেশ। পথশিশুদের নিয়ে এবারই প্রথম এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেয় ১১ বঞ্চিত, অবহেলিত মেয়ে।

পথশিশুদের এই বিশ্বকাপে এবার শিরোপা জিতেছে ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। বাংলাদেশের মেয়েরা কোন স্থান অর্জন করতে পারেনি ঠিকই তবে দেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। লড়াই করেছিল প্রাণপণ। শিরোপা অর্জন করতে পারেনি হয়তো, কিন্তু যা পেরেছে তা হলো বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। এই শিশুদের খেলায় অংশগ্রহণ করা শিরোপা জয়ের চেয়েও যেন বড় জয়।

পথশিশুদের এই ফুটবল দলের সবাই এখন বেসরকারি সংগঠন লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লীডো)র তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া আর নিজেদের স্বাবলম্বী করতে ব্যস্ত। তারা এখন আর তাদের অতীত নিয়ে কথা বলতে চায় না, মনে করতে চায় না তাদের করুণ, নোংরা অতীত।

কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চ তাদের জন্য আলোকিত এক অধ্যায়। কিন্তু এই আলোর নিচে যে অন্ধকার তা অত্যন্ত করুণ। ঝলমলে আলোর নিচে যে কাহিনি তা রূপকথার গল্পকেও যেন হার মানায়। তারা শুনিয়েছে তাদের ছোট্ট জীবনের অতীতে ঘটে যাওয়া বিভৎস, কদর্য সমাজের কথা।

বিশ্বকাপের এই আয়োজনে অংশ নেয়া পুরো ফুটবল টিমের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদ। তবে তাদের অনেকেই চায় না তাদের কদর্য অতীত সামনে আসুক। এদের মধ্যে ইতি আক্তার ও জেসমিন আক্তার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাদের অতীত স্মৃতিকথা বলেছে সংবাদ এর সঙ্গে। তাই শুধু তাদের কথাই এখানে তুলে ধরেছেন সংবাদ প্রতিবেদক জাহিদা পারভেজ ছন্দা

image
আরও খবর
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার সমালোচনা করলেন রাষ্ট্রপতি
‘কর আহরণ বাড়াতে পেশাদার ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন’
খেলোয়াড় হতে চাই ইতি আক্তার
ফটোগ্রাফার হওয়ার ইচ্ছা অনেক জেসমিন আক্তার
খিলগাঁও ফ্লাইওভারে তিন বন্ধুর মৃত্যু, দুবাই ফিরে যাওয়া হলো না মেহেদীর
গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ, মামলা হলেও ৮ দিনে আসামি গ্রেপ্তার হয়নি
কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনাসহ ১৩ নির্দেশনা
রায়পুরায় টেঁটাযুদ্ধে নিহত ১, আহত ১০
কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে দুর্নীতি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
চনপাড়ার বজলুরের বিরুদ্ধে র‌্যাবের ৩ মামলা, ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন

রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪

পথশিশুদের বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের ১১ শিশু

image

কয়েক মাস আগে বাংলার মেয়েরা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করেছিল। ফুটবল মঞ্চে ইতিহাস গড়ে আনন্দে ভেসেছে ও ভাসিয়েছে এই সাফজয়ী স্বর্ণ কন্যারা। দেশের জন্য বয়ে এনেছিল গৌরব। তাদের এই উৎসবে যখন পুরো দেশ ভাসছিল ঠিক তখনই বাংলাদেশের হয়ে ফুটবল পায়ে কাতারে প্রতিনিধিত্ব করছিল ১১ পথশিশু।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ২০১০ সাল থেকে ‘দ্য স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ’ বা পথশিশুদের নিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ ফুটবলের। এবার (২০২২) ২৪টি দেশের ২৬টি দলের একটি ছিল বাংলাদেশ। পথশিশুদের নিয়ে এবারই প্রথম এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেয় ১১ বঞ্চিত, অবহেলিত মেয়ে।

পথশিশুদের এই বিশ্বকাপে এবার শিরোপা জিতেছে ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। বাংলাদেশের মেয়েরা কোন স্থান অর্জন করতে পারেনি ঠিকই তবে দেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। লড়াই করেছিল প্রাণপণ। শিরোপা অর্জন করতে পারেনি হয়তো, কিন্তু যা পেরেছে তা হলো বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। এই শিশুদের খেলায় অংশগ্রহণ করা শিরোপা জয়ের চেয়েও যেন বড় জয়।

পথশিশুদের এই ফুটবল দলের সবাই এখন বেসরকারি সংগঠন লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লীডো)র তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া আর নিজেদের স্বাবলম্বী করতে ব্যস্ত। তারা এখন আর তাদের অতীত নিয়ে কথা বলতে চায় না, মনে করতে চায় না তাদের করুণ, নোংরা অতীত।

কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চ তাদের জন্য আলোকিত এক অধ্যায়। কিন্তু এই আলোর নিচে যে অন্ধকার তা অত্যন্ত করুণ। ঝলমলে আলোর নিচে যে কাহিনি তা রূপকথার গল্পকেও যেন হার মানায়। তারা শুনিয়েছে তাদের ছোট্ট জীবনের অতীতে ঘটে যাওয়া বিভৎস, কদর্য সমাজের কথা।

বিশ্বকাপের এই আয়োজনে অংশ নেয়া পুরো ফুটবল টিমের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদ। তবে তাদের অনেকেই চায় না তাদের কদর্য অতীত সামনে আসুক। এদের মধ্যে ইতি আক্তার ও জেসমিন আক্তার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাদের অতীত স্মৃতিকথা বলেছে সংবাদ এর সঙ্গে। তাই শুধু তাদের কথাই এখানে তুলে ধরেছেন সংবাদ প্রতিবেদক জাহিদা পারভেজ ছন্দা