‘সঠিকভাবে কৃষক শনাক্ত’ করবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনাসহ এ বিষয়ের প্রচারণায় ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা সংবলিত চিঠি সম্প্রতি ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমন ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।
অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনার বিষয়টি জানতে চাইলে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রিয়াজুর রহমান রাজু সংবাদকে বলেন, ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা আবেদন করতে পারেন। আবেদনে কৃষক সংখ্যা বেশি হলে অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে লটারি করা হয়। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষকরা নির্বাচিত হন তারা ধান দিতে পারেন।’
প্রকৃত কৃষকরা না পেয়ে ফরিয়া ব্যবসায়ীরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ‘সিন্ডিকেট’ করে ধান দিত এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কৃষক শনাক্ত করণের প্রোসেজটা এগ্রিকালচার অফিসের হাতে। খাদ্য বিভাগ কৃষক শনাক্ত করতে পারে না, ওই তালিকা কৃষি অফিস থেকেই দেয়া হয় আর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষক শনাক্তকরণের দায়িত্ব প্রাপ্ত।’
‘আমরা কৃষি অফিসারদের বলে দিই, আপনারা কৃষক যাতে সঠিকভাবে শনাক্ত হয় সেটা যাচাই করে দিবেন।’ তারা যাচাই করে দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারব।’
‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন ও নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৩টি নির্দেশনা :
১. নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। ২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট িি.িফমভড়ড়ফ.মড়া.নফ নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন- কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে। ৪. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা লিফলেট (সংযুক্ত লিফলেট) ও তৈরি করা অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে। ৫. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।
৬. প্রস্তুত করা লিফলেট জনসমাগম স্থানে যেমন; মসজিদ মন্দির, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে। ৭. প্রস্তুত করা লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট পৌঁছে দিতে হবে।
৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুত করা লিফলেট বিতরণ করতে হবে। ৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করতে হবে। ১০. প্রস্তুত করা লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে। ১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে। ১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।
রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ , ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৪
‘সঠিকভাবে কৃষক শনাক্ত’ করবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনাসহ এ বিষয়ের প্রচারণায় ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা সংবলিত চিঠি সম্প্রতি ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমন ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৭২টি নির্বাচিত উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর।
অ্যাপের মাধ্যমে ধান কেনার বিষয়টি জানতে চাইলে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রিয়াজুর রহমান রাজু সংবাদকে বলেন, ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা আবেদন করতে পারেন। আবেদনে কৃষক সংখ্যা বেশি হলে অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে লটারি করা হয়। লটারির মাধ্যমে যেসব কৃষকরা নির্বাচিত হন তারা ধান দিতে পারেন।’
প্রকৃত কৃষকরা না পেয়ে ফরিয়া ব্যবসায়ীরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ‘সিন্ডিকেট’ করে ধান দিত এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কৃষক শনাক্ত করণের প্রোসেজটা এগ্রিকালচার অফিসের হাতে। খাদ্য বিভাগ কৃষক শনাক্ত করতে পারে না, ওই তালিকা কৃষি অফিস থেকেই দেয়া হয় আর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষক শনাক্তকরণের দায়িত্ব প্রাপ্ত।’
‘আমরা কৃষি অফিসারদের বলে দিই, আপনারা কৃষক যাতে সঠিকভাবে শনাক্ত হয় সেটা যাচাই করে দিবেন।’ তারা যাচাই করে দিলে আমরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারব।’
‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন ও নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৩টি নির্দেশনা :
১. নির্বাচিত উপজেলাগুলোতে ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। ২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট িি.িফমভড়ড়ফ.মড়া.নফ নিচের অংশে সংযোজিত ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’ থেকে ‘গাইড লাইন- কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে। ৪. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত করা লিফলেট (সংযুক্ত লিফলেট) ও তৈরি করা অডিও ডাউনলোড করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউনিয়নে প্রচার করতে হবে। ৫. ওয়েবসাইটের উল্লেখিত বক্স থেকে প্রস্তুত করা পোস্টার (লিফলেট) উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে।
৬. প্রস্তুত করা লিফলেট জনসমাগম স্থানে যেমন; মসজিদ মন্দির, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে বিতরণ করতে হবে। ৭. প্রস্তুত করা লিফলেট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিকট পৌঁছে দিতে হবে।
৮. উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রস্তুত করা লিফলেট বিতরণ করতে হবে। ৯. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরি করা অডিও মাইকিংয়ের মাধ্যমে জনসমাগম স্থানে প্রচার করতে হবে। ১০. প্রস্তুত করা লিফলেট জেলা/উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে প্রচার করতে হবে। ১২. স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে হবে। ১৩. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন উৎসাহিত করতে হবে।