বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই এবং গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)। গতকাল এবিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন ব্যাংকিং খাতে গুজব নিয়ে বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এবিবির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোন ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করব, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।’
এবিবির বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোন ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোন সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায়ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এই গুজব গ্রাহকদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার মধ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা দেয়। তারা জানায়, ব্যাংকে এখন তারল্যের ঘাটতি নেই, উল্টো অতিরিক্ত তারল্য আছে।
এবিবির বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতির কথাও উল্লেখ আছে।
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ , ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই এবং গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)। গতকাল এবিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন ব্যাংকিং খাতে গুজব নিয়ে বলেন, ‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই। গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এবিবির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোন ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করব, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।’
এবিবির বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোন ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোন সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায়ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এই গুজব গ্রাহকদের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার মধ্যে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত থাকার নিশ্চয়তা দেয়। তারা জানায়, ব্যাংকে এখন তারল্যের ঘাটতি নেই, উল্টো অতিরিক্ত তারল্য আছে।
এবিবির বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতির কথাও উল্লেখ আছে।