পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা ও বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে। তিনি নিয়মিত অফিস না করেও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ট্রান্সফার দিয়ে নিজের বেতনভাতা নেওয়ার পায়তারা করছে, যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। এছাড়াও অফিসে আসলেও নিজের কক্ষের মধ্যে বসে ধূমপান করার অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান গত ১৫ নভেম্বর উপসহকারী প্রকৌশলীকে অন্যত্র বদলির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত দুই মাস আগে নলছিটি পৌরসভায় উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে যোগদান করেন মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুম। যোগদানের পর থেকে তিনি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। পৌরসভার সচিব ও নির্বাহী কর্মকর্তার কোন কথা শোনেন না তিনি। নিজের ইচ্ছেমত পৌরসভায় আসে এবং যায়। নিজের প্রয়োজনে বেতনভাতা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ট্রান্সফার করার জন্য মেয়র ও সচিবকে চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। তিনি অফিস কক্ষে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। তাকে এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও কারো কথাই কর্নপাত করছেন না তিনি। তাঁর এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি পৌরসভার স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত বলেও জানান পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান।

এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মীরবহর বলেন, পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনখাতে ব্যায় করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু নতুন যোগদান করা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মাহাবুবুর রহমান মাসুম উন্নয়ন খাতের টাকা ট্রান্সফার দিয়ে বেতন নিতে চাচ্ছেন। এ জন্য তিনি আমাদের চাপ প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি পৌরসভার ঠিকাদারদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। আমরা তাঁর আচরণে অতিষ্ঠ।

পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খান বলেন, পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী আমার কোন কথা শোনেন না। নিজের ইচ্ছেমত অফিস করেন। সময় মতো তাকে পাওয়া যায় না। বিধিবহির্ভূত কাজের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাকে অন্যত্র বদলির জন্য আমি ১৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।

উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, আমি যোগদান করার পরে শুধু হাজিরা খাতায় সই করা ছাড়া কোন কাজই করি। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সত্য নয়।

সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ , ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৪

পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা ও বিধিবহির্ভূত কর্মকান্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে। তিনি নিয়মিত অফিস না করেও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ট্রান্সফার দিয়ে নিজের বেতনভাতা নেওয়ার পায়তারা করছে, যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত। এছাড়াও অফিসে আসলেও নিজের কক্ষের মধ্যে বসে ধূমপান করার অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান গত ১৫ নভেম্বর উপসহকারী প্রকৌশলীকে অন্যত্র বদলির জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত দুই মাস আগে নলছিটি পৌরসভায় উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে যোগদান করেন মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুম। যোগদানের পর থেকে তিনি পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। পৌরসভার সচিব ও নির্বাহী কর্মকর্তার কোন কথা শোনেন না তিনি। নিজের ইচ্ছেমত পৌরসভায় আসে এবং যায়। নিজের প্রয়োজনে বেতনভাতা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ট্রান্সফার করার জন্য মেয়র ও সচিবকে চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। তিনি অফিস কক্ষে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান করেন। তাকে এ বিষয়ে নিষেধ করা হলেও কারো কথাই কর্নপাত করছেন না তিনি। তাঁর এসব কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তিনি পৌরসভার স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত বলেও জানান পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহেদ খান।

এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন মীরবহর বলেন, পৌরসভার উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য কোনখাতে ব্যায় করা যাবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু নতুন যোগদান করা উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মাহাবুবুর রহমান মাসুম উন্নয়ন খাতের টাকা ট্রান্সফার দিয়ে বেতন নিতে চাচ্ছেন। এ জন্য তিনি আমাদের চাপ প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি পৌরসভার ঠিকাদারদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। আমরা তাঁর আচরণে অতিষ্ঠ।

পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহেদ খান বলেন, পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী আমার কোন কথা শোনেন না। নিজের ইচ্ছেমত অফিস করেন। সময় মতো তাকে পাওয়া যায় না। বিধিবহির্ভূত কাজের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তাকে অন্যত্র বদলির জন্য আমি ১৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।

উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, আমি যোগদান করার পরে শুধু হাজিরা খাতায় সই করা ছাড়া কোন কাজই করি। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সত্য নয়।