জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আথ’ কাতার বিশ্বকাপের। গতকাল আল খোর শহরের আল বাইত স্টেডিয়ামে পৌনে এক ঘণ্টার মনোমুগ্ধকর এ অনুষ্ঠান ছিল উপভোগ্য। ৬০ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর দু’ঘণ্টা আগে শুরু হয়।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন গানেম আল মুফতাহ। ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবলার, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক মার্শেল দেশাই প্রথমে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী করেন স্টেডিয়ামে স্থাপিত মঞ্চে। তুমুল করতালি এবং চিয়ার্স ধ্বনির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফিকে বরণ করে নেন দর্শকরা।
বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শনের পরই মঞ্চে আসেন বিখ্যাত হলিউড অভিনয় শিল্পী মরগ্যান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপরই কাতারের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখান পারফরমাররা। একই সঙ্গে আলোর দুর্দান্ত সব কারুকাজ। এর মধ্যেই প্রদর্শিত হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা। মডেলদের দেখা গেলো প্রতিটি দলের জার্সি পরে মঞ্চে হাঁটতে।
এ সময় একে একে বিশ্বকাপের সবগুলো মাস্কাটের প্রদর্শনী হয়। সর্বশেষ সবাইকে ছাড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইবের প্রদর্শন হয়। বিশাল আকারে সাদা জামা পরিহিত মাসকটের মাথায় কালো আরবীয় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বাঁধা।
কাতারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার পর মঞ্চে আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত সংগীত শিল্পীগোষ্ঠী বিটিএসের শিল্পী জুং কুক। তার সঙ্গে গানে অংশ নেন কাতারি সংগীত শিল্পী ফাহাদ আল কুবাইসি।
জুং কুকের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পরই কাতারি কর্মকর্তাদের দেখা গেলো কোন একটি রুমাল কিংবা টাওয়েল ধরনের কাপড়ে কিছু একটা লিখে স্মারক উপহার দিচ্ছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোকে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উদ্বোধনী ঘোষণায় বিশ্বের সব দেশের দর্শকদের কাতারে আমন্ত্রণ জানান তিনি। ৪৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শেষ হয় রঙ-বেরঙের আতশবাতজি ফুটানোর মধ্যদিয়ে।
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ , ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৪
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আথ’ কাতার বিশ্বকাপের। গতকাল আল খোর শহরের আল বাইত স্টেডিয়ামে পৌনে এক ঘণ্টার মনোমুগ্ধকর এ অনুষ্ঠান ছিল উপভোগ্য। ৬০ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামে স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর দু’ঘণ্টা আগে শুরু হয়।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন গানেম আল মুফতাহ। ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবলার, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক মার্শেল দেশাই প্রথমে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী করেন স্টেডিয়ামে স্থাপিত মঞ্চে। তুমুল করতালি এবং চিয়ার্স ধ্বনির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফিকে বরণ করে নেন দর্শকরা।
বিশ্বকাপের ট্রফি প্রদর্শনের পরই মঞ্চে আসেন বিখ্যাত হলিউড অভিনয় শিল্পী মরগ্যান ফ্রিম্যান। তার সঙ্গে মঞ্চে আসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এরপরই কাতারের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখান পারফরমাররা। একই সঙ্গে আলোর দুর্দান্ত সব কারুকাজ। এর মধ্যেই প্রদর্শিত হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা। মডেলদের দেখা গেলো প্রতিটি দলের জার্সি পরে মঞ্চে হাঁটতে।
এ সময় একে একে বিশ্বকাপের সবগুলো মাস্কাটের প্রদর্শনী হয়। সর্বশেষ সবাইকে ছাড়িয়ে কাতার বিশ্বকাপের মাসকট লা’ইবের প্রদর্শন হয়। বিশাল আকারে সাদা জামা পরিহিত মাসকটের মাথায় কালো আরবীয় ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি বাঁধা।
কাতারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরার পর মঞ্চে আসেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত সংগীত শিল্পীগোষ্ঠী বিটিএসের শিল্পী জুং কুক। তার সঙ্গে গানে অংশ নেন কাতারি সংগীত শিল্পী ফাহাদ আল কুবাইসি।
জুং কুকের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পরই কাতারি কর্মকর্তাদের দেখা গেলো কোন একটি রুমাল কিংবা টাওয়েল ধরনের কাপড়ে কিছু একটা লিখে স্মারক উপহার দিচ্ছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোকে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উদ্বোধনী ঘোষণায় বিশ্বের সব দেশের দর্শকদের কাতারে আমন্ত্রণ জানান তিনি। ৪৫ মিনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শেষ হয় রঙ-বেরঙের আতশবাতজি ফুটানোর মধ্যদিয়ে।