চলতি বছরে এ পর্যন্ত মৃত্যু ২৩৪
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল করোনায় আরও ৬০৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৮৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩১৭ জন ভর্তি হয়েছে। সব মিলে এখনও ২ হাজার ৩৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আর চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ হাজার ৪শ’ ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৫০ হাজার ৮২৮ জন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৭৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪৮ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেটিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৬০ জন ভর্তি আছে। এ ভাবে ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে মোট ৭৩৮ জন ভর্তি আছে।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১৫১ জন, কক্সবাজারে ৩৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৯ জন, খুলনায় ১৬ জন, যশোরে ২৩ জন। খুলনা বিভাগে ১৬৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন, রংপুরে ২৪ জন, বরিশালে ১০১ জন ভর্তি আছে। এ ভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২৩৫১ জন ভর্তি আছে।
মাসিক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চলতি মাসের গতকাল সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩শ’ ৮৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯৩ জন। গেল অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২১ হাজার ৯শ’ ৩২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৮৬ জন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার এখনও উপদ্রব রয়েছে। যার কারণে ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই এখনও প্রতিদিন মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছেন। তীব্র শীত পড়লে মশার আক্রমণ কিছুটা কমতে পারে। তবে বছর জুড়ে ডেঙ্গুজ্বর থাকতে পারে বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৪
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মৃত্যু ২৩৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল করোনায় আরও ৬০৬ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৮৯ জন ও ঢাকার বাইরে ৩১৭ জন ভর্তি হয়েছে। সব মিলে এখনও ২ হাজার ৩৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আর চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ হাজার ৪শ’ ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছে ৫০ হাজার ৮২৮ জন।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০২ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৭৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪৮ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেটিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৬০ জন ভর্তি আছে। এ ভাবে ঢাকার ২০টি সরকারি হাসপাতালে মোট ৭৩৮ জন ভর্তি আছে।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ১৫১ জন, কক্সবাজারে ৩৮ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৯ জন, খুলনায় ১৬ জন, যশোরে ২৩ জন। খুলনা বিভাগে ১৬৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৬ জন, রংপুরে ২৪ জন, বরিশালে ১০১ জন ভর্তি আছে। এ ভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২৩৫১ জন ভর্তি আছে।
মাসিক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চলতি মাসের গতকাল সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ হাজার ৩শ’ ৮৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯৩ জন। গেল অক্টোবর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২১ হাজার ৯শ’ ৩২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৮৬ জন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গুজ্বরের বাহক ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার এখনও উপদ্রব রয়েছে। যার কারণে ঝড়-বৃষ্টি ছাড়াই এখনও প্রতিদিন মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার মারাও যাচ্ছেন। তীব্র শীত পড়লে মশার আক্রমণ কিছুটা কমতে পারে। তবে বছর জুড়ে ডেঙ্গুজ্বর থাকতে পারে বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।