‘এক দিনেই ইউক্রেনে ৪০০ গোলাবর্ষণ ৪৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রবিবার প্রায় ৪০০ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রবিবার দিবাগত রাতের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ডনেস্ক অঞ্চলে পূর্বের মতো ভয়াবহ লড়াই চলছে। যদিও বৈরি আবহাওয়ার ফলে তুলনামূলক কম হামলা হয়েছে আজ। এখনও গোলাবর্ষণের পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ের সময় আমরা ধীরে এগোচ্ছি। পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪০০ গোলা হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

ইউক্রেনীয় সেনাদের জোরালো প্রতিরোধের মুখে খেরসনের একাংশ থেকে সেনা তুলে নিয়েছে মস্কো। এখন ইউক্রেনের ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে অবস্থান শক্ত করতে আরও সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে মস্কোর অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে লুহানস্ক ও ডনেস্ক রয়েছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দখলদারদের সম্ভাবনাকে অব্যাহত ও নিখুঁতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে তিনি দাবি করেন, সামরিক অভিযানের শুরু থেকে ইউক্রেনে ৪ হাজার ৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। রবিবার লা ফ্রাঙ্কোফোনির আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আজ পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের ২৭০তম দিন। রাশিয়া ৪ হাজার সাতশোর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকাটিতে এক ডজনেরও বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরণ রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার সকালেও অল্প সময়ের মধ্যে ডজনেরও বেশি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি। তিনি বলেন, এর নেপথ্যে যারাই থাকুক, অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও অনেক বার বলেছি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলছেন।’ রুশ আগ্রাসন নিয়ে জেলেনস্কি আরও বলেন, আমাদের শত শত শহর পুড়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বহু মানুষকে জোর করে রাশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছে। তাদের হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ লোক ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়েছে। শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ইউক্রেনের শান্তি ফর্মুলা খুবই স্পষ্ট। প্রতিটি লাইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে সিএনএন এর প্রতিবেদনে জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কথিত সামরিক অভিযান শুরু করেছে মস্কো। ৯ মাসের মাথায় জাপোরিজ্জিয়া, কিয়েভ, ওডেসাসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। গতকাল দিনের শেষ দিকে জেলেনস্কি প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি বলেন, ‘ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লোকজন আটক পড়ে থাকে পারেন। ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবার সদস্যরা কাজ করছেন।’ রুশ বাহিনী সরে গেলে সম্প্রতি আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহরের ফের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে সেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শীতে ঘর গরম রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই।

আগের দিন কিয়েভ বলেছিল, দক্ষিণাঞ্চলে দূরপাল্লার গোলা হামলায় প্রায় ৬০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার একক হামলায় রুশ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের এমন দাবি করল ইউক্রেনীয় বাহিনী। এদিকে ইউক্রেনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পরই কেবল দেশটির সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ সম্ভব। এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী রুশ সিনেটর সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ। রুশ সংবাদপত্র আর্গুমেন্টি আই ফ্যাক্টিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিয়েভের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে তিনি ভালো কিছু আশা করেন না। সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ বলেন, ‘তারা তাদের নিজেদের আগের কর্মকা- ও আদর্শে আটকে আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ইউক্রেনে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরই সম্ভাব্য স্বাভাবিকীকরণ ঘটতে পারে।’ সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ বলেন, কিয়েভ ক্ষমতার ভাষায় কথা বলা বন্ধ করলে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, পশ্চিমারা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে এটি হবে এমন একটি পদক্ষেপ যা আত্মসমর্পণের শামিল। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার অর্থ হবে, ‘নিজের ভূখ- পুনরুদ্ধারকারী দেশকে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা যাদের সে হারিয়েছে।’ রাশিয়া কিয়েভকে শান্তি আলোচনার জন্য ‘কোনও প্রত্যক্ষ প্রস্তাব’ দেয়নি বলেও জানান জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা। এর আগে গত মাসে এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করা।’ তিনি বলেন, তার দেশ ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কিয়েভ আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত নয়। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

image

ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী - রয়টার্স

আরও খবর
পশ্চিমাদের ঠেকিয়ে দিল চীন-ভারত

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৪

‘এক দিনেই ইউক্রেনে ৪০০ গোলাবর্ষণ ৪৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

image

ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী - রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রবিবার প্রায় ৪০০ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রবিবার দিবাগত রাতের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘ডনেস্ক অঞ্চলে পূর্বের মতো ভয়াবহ লড়াই চলছে। যদিও বৈরি আবহাওয়ার ফলে তুলনামূলক কম হামলা হয়েছে আজ। এখনও গোলাবর্ষণের পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ের সময় আমরা ধীরে এগোচ্ছি। পূর্বাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪০০ গোলা হামলার ঘটনা ঘটেছে।’

ইউক্রেনীয় সেনাদের জোরালো প্রতিরোধের মুখে খেরসনের একাংশ থেকে সেনা তুলে নিয়েছে মস্কো। এখন ইউক্রেনের ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে অবস্থান শক্ত করতে আরও সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলকে মস্কোর অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তার মধ্যে লুহানস্ক ও ডনেস্ক রয়েছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে দখলদারদের সম্ভাবনাকে অব্যাহত ও নিখুঁতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে তিনি দাবি করেন, সামরিক অভিযানের শুরু থেকে ইউক্রেনে ৪ হাজার ৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। রবিবার লা ফ্রাঙ্কোফোনির আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, আজ পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের ২৭০তম দিন। রাশিয়া ৪ হাজার সাতশোর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকাটিতে এক ডজনেরও বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরণ রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার সকালেও অল্প সময়ের মধ্যে ডজনেরও বেশি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় পরস্পরকে দুষছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি। তিনি বলেন, এর নেপথ্যে যারাই থাকুক, অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে হবে। আমি আগেও অনেক বার বলেছি, আপনারা আগুন নিয়ে খেলছেন।’ রুশ আগ্রাসন নিয়ে জেলেনস্কি আরও বলেন, আমাদের শত শত শহর পুড়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বহু মানুষকে জোর করে রাশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়েছে। তাদের হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ লোক ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়েছে। শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ইউক্রেনের শান্তি ফর্মুলা খুবই স্পষ্ট। প্রতিটি লাইন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে সিএনএন এর প্রতিবেদনে জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কথিত সামরিক অভিযান শুরু করেছে মস্কো। ৯ মাসের মাথায় জাপোরিজ্জিয়া, কিয়েভ, ওডেসাসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। গতকাল দিনের শেষ দিকে জেলেনস্কি প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো তিমোশেঙ্কো বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি বলেন, ‘ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লোকজন আটক পড়ে থাকে পারেন। ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবার সদস্যরা কাজ করছেন।’ রুশ বাহিনী সরে গেলে সম্প্রতি আঞ্চলিক রাজধানী খেরসন শহরের ফের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে সেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শীতে ঘর গরম রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই।

আগের দিন কিয়েভ বলেছিল, দক্ষিণাঞ্চলে দূরপাল্লার গোলা হামলায় প্রায় ৬০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার একক হামলায় রুশ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের এমন দাবি করল ইউক্রেনীয় বাহিনী। এদিকে ইউক্রেনের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পরই কেবল দেশটির সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ সম্ভব। এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন প্রভাবশালী রুশ সিনেটর সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ। রুশ সংবাদপত্র আর্গুমেন্টি আই ফ্যাক্টিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিয়েভের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে তিনি ভালো কিছু আশা করেন না। সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ বলেন, ‘তারা তাদের নিজেদের আগের কর্মকা- ও আদর্শে আটকে আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ইউক্রেনে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরই সম্ভাব্য স্বাভাবিকীকরণ ঘটতে পারে।’ সেন কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ বলেন, কিয়েভ ক্ষমতার ভাষায় কথা বলা বন্ধ করলে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, পশ্চিমারা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে এটি হবে এমন একটি পদক্ষেপ যা আত্মসমর্পণের শামিল। তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার অর্থ হবে, ‘নিজের ভূখ- পুনরুদ্ধারকারী দেশকে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা যাদের সে হারিয়েছে।’ রাশিয়া কিয়েভকে শান্তি আলোচনার জন্য ‘কোনও প্রত্যক্ষ প্রস্তাব’ দেয়নি বলেও জানান জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা। এর আগে গত মাসে এক ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করা।’ তিনি বলেন, তার দেশ ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু কিয়েভ আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত নয়। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।