ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাইলো না ইরান

গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নিঃশব্দ প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা। প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সংগীত গাইলেন না তারা।

বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল ইরান। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়।

কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হয়েছে সে দেশের সরকার। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলনের আচ এতটুকু কমবে না, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বারবার। এবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়ইয়ের আগে ফের ধরা পড়ল প্রতিবাদের ছবি। ভাষাস্বরূপ বেছে নেয়া হলো জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকাকে।

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৪

ম্যাচের আগে জাতীয় সংগীত গাইলো না ইরান

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে নিঃশব্দ প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা। প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে জাতীয় সংগীত গাইলেন না তারা।

বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল ইরান। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়।

কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হয়েছে সে দেশের সরকার। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলনের আচ এতটুকু কমবে না, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বারবার। এবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়ইয়ের আগে ফের ধরা পড়ল প্রতিবাদের ছবি। ভাষাস্বরূপ বেছে নেয়া হলো জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকাকে।