অফসাইড নির্ধারণে সেমি অটোমেটিক প্রযুক্তি

কাতার এবং ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে সেমি অটোমেটিক অফ-সাইড প্রযুক্তি চালু করেছে ফিফা এবং মনে হচ্ছে ফিফা টুর্নামেন্টের পরেও এটিকে চালু রাখতে চায়। কাতার এবং ইকুয়েডরের মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচের ৩য় মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার গোল বাতিলের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই এটি কার্যকর দেখতে পাচ্ছি।

সিস্টেমটি ভিডিও রেফারি দল এবং মাঠের রেফারিদের দ্রুত, আরও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

এ সিস্টেমে মাঠে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পুনরায় তৈরি করা হবে এবং একটি থ্রিডি অ্যানিমেশনসহ টেলিভিশনে দেখানো হয়।

স্টেডিয়ামের ছাদের নীচে স্থাপিত বারোটি ক্যামেরা বলের গতিবিধি এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের মুভমেন্ট রেকর্ড করে। সঠিক অবস্থান ঠিক করতে প্রতি সেকেন্ডে ৫০টি ফ্রেমে ভিডিও করে। পরে সেগুলো বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অফসাইডের সিগন্যাল দিবে। এ জন্য ব্যবহৃত বলের ভেতরে বিশেষ একটি যন্ত্র থাকে। যা ক্যামেরার সেন্সরের মাধ্যমে বলের অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং বলের ট্র্যাকিং ডেটা মিশ্রিত করে, এই নতুন প্রযুক্তিটি ভিডিও রুমকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফসাইডের বিষয়ে সতর্ক করবে। ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু সমাধান করা হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন মাঠের রেফারিই। অফসাইড অবস্থানে কোন খেলোয়াড় থাকলেই সিস্টেম সংকেত দিবে না। খেলায় যদি তার কোন ভূমিকা না থাকে তাহলে তার অবস্থানের কারণে গোল হলে সেটি বৈধ বলেই বিবেচিত হয়। এ সব ক্ষেত্রে অবশ্যই রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এজন্য অফসাইড পজিশনে থাকা খেলোয়াড় বল স্পর্শ না করলে এ সিস্টেম কোন সংকেত দেবে না।

গত রোববারের ম্যাচে এ প্রক্রিয়ায় খেলার তিন মিনিটের সময়ে ইকুয়েডরের করা গোলটি বাতিল হয়। অবশ্য অনেকেই মনে করেছিলেন অফসাইডটি সঠিকভাবে ধরা হয়নি। আসলে নিয়ম হলো বল ছাড়া প্রতিপক্ষের কমপক্ষে দুইজন খেলোয়াড় সামনে না থাকলে অফসাইড হবে। গোলরক্ষক সামনে চলে যাওয়া খেলোয়াড় সংখ্যা কমে একজন হয়ে গিয়েছিল। আরেকজন খেলোয়াড় সামনে থাকলেও ভ্যালেন্সিয়া ছিলেন প্রকৃতপক্ষে অফসাইড পজিশনে। সেটাই নির্ধারণ করে দেয় সেমি অটোমেটিক অফসাইড সিস্টেম।

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ , ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৪

অফসাইড নির্ধারণে সেমি অটোমেটিক প্রযুক্তি

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

কাতার এবং ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে সেমি অটোমেটিক অফ-সাইড প্রযুক্তি চালু করেছে ফিফা এবং মনে হচ্ছে ফিফা টুর্নামেন্টের পরেও এটিকে চালু রাখতে চায়। কাতার এবং ইকুয়েডরের মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচের ৩য় মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার গোল বাতিলের মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই এটি কার্যকর দেখতে পাচ্ছি।

সিস্টেমটি ভিডিও রেফারি দল এবং মাঠের রেফারিদের দ্রুত, আরও সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

এ সিস্টেমে মাঠে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পুনরায় তৈরি করা হবে এবং একটি থ্রিডি অ্যানিমেশনসহ টেলিভিশনে দেখানো হয়।

স্টেডিয়ামের ছাদের নীচে স্থাপিত বারোটি ক্যামেরা বলের গতিবিধি এবং প্রতিটি খেলোয়াড়ের মুভমেন্ট রেকর্ড করে। সঠিক অবস্থান ঠিক করতে প্রতি সেকেন্ডে ৫০টি ফ্রেমে ভিডিও করে। পরে সেগুলো বিশ্লেষণ করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অফসাইডের সিগন্যাল দিবে। এ জন্য ব্যবহৃত বলের ভেতরে বিশেষ একটি যন্ত্র থাকে। যা ক্যামেরার সেন্সরের মাধ্যমে বলের অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং বলের ট্র্যাকিং ডেটা মিশ্রিত করে, এই নতুন প্রযুক্তিটি ভিডিও রুমকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফসাইডের বিষয়ে সতর্ক করবে। ২৫ সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু সমাধান করা হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন মাঠের রেফারিই। অফসাইড অবস্থানে কোন খেলোয়াড় থাকলেই সিস্টেম সংকেত দিবে না। খেলায় যদি তার কোন ভূমিকা না থাকে তাহলে তার অবস্থানের কারণে গোল হলে সেটি বৈধ বলেই বিবেচিত হয়। এ সব ক্ষেত্রে অবশ্যই রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এজন্য অফসাইড পজিশনে থাকা খেলোয়াড় বল স্পর্শ না করলে এ সিস্টেম কোন সংকেত দেবে না।

গত রোববারের ম্যাচে এ প্রক্রিয়ায় খেলার তিন মিনিটের সময়ে ইকুয়েডরের করা গোলটি বাতিল হয়। অবশ্য অনেকেই মনে করেছিলেন অফসাইডটি সঠিকভাবে ধরা হয়নি। আসলে নিয়ম হলো বল ছাড়া প্রতিপক্ষের কমপক্ষে দুইজন খেলোয়াড় সামনে না থাকলে অফসাইড হবে। গোলরক্ষক সামনে চলে যাওয়া খেলোয়াড় সংখ্যা কমে একজন হয়ে গিয়েছিল। আরেকজন খেলোয়াড় সামনে থাকলেও ভ্যালেন্সিয়া ছিলেন প্রকৃতপক্ষে অফসাইড পজিশনে। সেটাই নির্ধারণ করে দেয় সেমি অটোমেটিক অফসাইড সিস্টেম।