ডিম আমদানির অনুমোদন না দেয়ার দাবি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের

পোল্ট্রি এসোশিয়েশন বলছে, দেশে এখন বছরে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও সংকট দেখিয়ে ডিম আমদানি করতে চায় একটি সিন্ডিকেট। টাকা পাচারের উদ্দেশে ডিম আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিপিএ’র সভাপতি সুমন হাওলাদার। দেশের প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখতে এই চক্রটিকে ডিম আমদানির অনুমোদন না দেয়াসহ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

বিপিএ এর দাবিগুলো হলো, অসাধু সিন্ডিকেট থেকে পোল্ট্রি সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া যাবে না। খাদ্যের ওপর সরকারি ভর্তুকিসহ অন্যান্য ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে মূল্য কমাতে হবে। পোল্ট্রি নীতিমালা প্রণয়নসহ পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সব খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

সুমন হাওলাদার আরও বলেন, ‘বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্প মারাত্মক হুমকির মুখে। কিন্তু দেশবিরোধী কিছু আমদানিকারক ডিম আমদানির আবেদন করেছেন। সরকার অনুমতি দিলেই তারা আমদানি করবেন। যা পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের আরেকটি ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরেও যারা ডিম সংকট বলছেন, তাদের উদ্দেশ ধান্দাবাজি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন, তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ডিম আমদানি বন্ধ করুন। প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।’

এদিকে চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পনি বছরে এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও যারা ডিম সংকট বলছেন এটা তাদের উদ্দেশ প্রণোদিত ধান্দাবাজি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছে না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন ডিম আমদানি বন্ধ করুন, প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।

চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পানি বছরে এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। চুক্তিবদ্ধ খামার করতে না চাইলে খামারি এবং ডিলারদের বিরুদ্ধে করপোরেট কোম্পানিরা চেক ডিজঅনার মামলা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এর মধ্যে প্রমাণিত- ৭১ফিড কোম্পানি ও আলাল গ্রুপ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত কোটি টাকা খামারিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু রংপুর জেলায় চুক্তিবদ্ধ পোল্ট্রি খামারিদের কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং সব খামারি রাস্তায় রাস্তায় দেউলিয়া হয়ে ঘুরছেন। অনেক খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যাতে করে প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখার জন্য সব প্রকার লেনদেনে ব্ল্যাংক চেক জমা নেয়ার ব্যাপারে সরকার তদারিক করে ব্যবস্থা নেবেন এবং প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করবেন। যাতে সব খামারি টিকে থাকতে পারেন এবং আমরা দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে যেতে পারি।

দেশে বর্তমানে ডলার সংকট থাকাকালে কেন তারা বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করতে চায় তা জানা জরুরি। তাদের ডিম আমদানি মূল বিষয় নয়, কালো টাকা সাদা করা এবং দেশ থেকে টাকা পাচারের চিন্তা করছেন বলে মনে করি।

সংগঠনটি আরও জানায়, বাংলাদেশে ডিম ও মাংসের কোন সংকট নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে খামারিরা ডিম বিক্রি করতে পারছেন না। অথচ বর্তমানে ডিমের খামারে রেট স্থান বুঝে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা ৪০ পয়সা, যা উৎপাদন খরচের চেয়েও ২ টাকা ১০ পয়সা কম। ফলে প্রতিদিন খামার মালিকদের লোকসান হচ্ছে। এছাড়া ডিমের অসাধু সিন্ডিকেট ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে কারসাজি করে ডিমের দাম কমিয়ে আবার সেটা কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িয়ে অর্থ লোপাট করে থাকে। অথচ ভোক্তাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম খামার রেট ১২০ থেকে ১২৫ টাকা হলেও ভোক্তারা ১৬০-১৭০ টাকা কেজিতে কিনছেন। উৎপাদন খরচ ১৪৫-১৫০ টাকা হলেও প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান হচ্ছে খামারিদের।

প্রান্তিক খামারিদের একটি ডিম উৎপাদনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কস্ট ফিডে। আমাদের সব করপোরেট কোম্পানিদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ আমরা তো ফিড উৎপাদন করতে পারি না। ফিড উৎপাদনে কোম্পানিগুলো বছরে সিন্ডিকেট করে বছরে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। তারা বছরে এক দিন বয়সের মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট করে ৮শ’ কোটি টাকা লোপাট করে। চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সব করপোরেট কোম্পানিকে দুর্নীতি দমন কমিশনে ডেকে তাদের ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসার ধরন দেখা উচিত যাতে করে দুর্নীতি দমন করে প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখা যায়।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

ডিম আমদানির অনুমোদন না দেয়ার দাবি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

পোল্ট্রি এসোশিয়েশন বলছে, দেশে এখন বছরে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও সংকট দেখিয়ে ডিম আমদানি করতে চায় একটি সিন্ডিকেট। টাকা পাচারের উদ্দেশে ডিম আমদানির পাঁয়তারা করা হচ্ছে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন বিপিএ’র সভাপতি সুমন হাওলাদার। দেশের প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখতে এই চক্রটিকে ডিম আমদানির অনুমোদন না দেয়াসহ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানিয়েছে খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।

বিপিএ এর দাবিগুলো হলো, অসাধু সিন্ডিকেট থেকে পোল্ট্রি সেক্টরকে রক্ষা করতে হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া যাবে না। খাদ্যের ওপর সরকারি ভর্তুকিসহ অন্যান্য ফ্যাসিলিটি বাড়িয়ে মূল্য কমাতে হবে। পোল্ট্রি নীতিমালা প্রণয়নসহ পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। সব খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সহজ শর্তে ব্যাংক লোন এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

সুমন হাওলাদার আরও বলেন, ‘বর্তমানে পোল্ট্রি শিল্প মারাত্মক হুমকির মুখে। কিন্তু দেশবিরোধী কিছু আমদানিকারক ডিম আমদানির আবেদন করেছেন। সরকার অনুমতি দিলেই তারা আমদানি করবেন। যা পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের আরেকটি ষড়যন্ত্র বলেই আমরা মনে করি। বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরেও যারা ডিম সংকট বলছেন, তাদের উদ্দেশ ধান্দাবাজি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন, তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, ডিম আমদানি বন্ধ করুন। প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।’

এদিকে চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পনি বছরে এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও দাবি করেন তারা।

বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি। আমাদের ডিম উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি। তারপরও যারা ডিম সংকট বলছেন এটা তাদের উদ্দেশ প্রণোদিত ধান্দাবাজি। বাজারে চাহিদা কম থাকায় আমাদের দেশে খামারিরা ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে পারছে না। তারপরও যারা ডিম ও মুরগির সংকটের কথা বলছেন তারা দেশের প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন ডিম আমদানি বন্ধ করুন, প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করুন।

চুক্তিবদ্ধ খামারের নামে প্রান্তিক খামারিকে প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে প্রতারণা করে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পানি বছরে এক হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। চুক্তিবদ্ধ খামার করতে না চাইলে খামারি এবং ডিলারদের বিরুদ্ধে করপোরেট কোম্পানিরা চেক ডিজঅনার মামলা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এর মধ্যে প্রমাণিত- ৭১ফিড কোম্পানি ও আলাল গ্রুপ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত কোটি টাকা খামারিদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু রংপুর জেলায় চুক্তিবদ্ধ পোল্ট্রি খামারিদের কাছ থেকে ১২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং সব খামারি রাস্তায় রাস্তায় দেউলিয়া হয়ে ঘুরছেন। অনেক খামারি খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, যাতে করে প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখার জন্য সব প্রকার লেনদেনে ব্ল্যাংক চেক জমা নেয়ার ব্যাপারে সরকার তদারিক করে ব্যবস্থা নেবেন এবং প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করবেন। যাতে সব খামারি টিকে থাকতে পারেন এবং আমরা দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করে যেতে পারি।

দেশে বর্তমানে ডলার সংকট থাকাকালে কেন তারা বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করতে চায় তা জানা জরুরি। তাদের ডিম আমদানি মূল বিষয় নয়, কালো টাকা সাদা করা এবং দেশ থেকে টাকা পাচারের চিন্তা করছেন বলে মনে করি।

সংগঠনটি আরও জানায়, বাংলাদেশে ডিম ও মাংসের কোন সংকট নেই। বর্তমানে আমাদের দেশে খামারিরা ডিম বিক্রি করতে পারছেন না। অথচ বর্তমানে ডিমের খামারে রেট স্থান বুঝে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা ৪০ পয়সা, যা উৎপাদন খরচের চেয়েও ২ টাকা ১০ পয়সা কম। ফলে প্রতিদিন খামার মালিকদের লোকসান হচ্ছে। এছাড়া ডিমের অসাধু সিন্ডিকেট ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে কারসাজি করে ডিমের দাম কমিয়ে আবার সেটা কয়েকদিনের মধ্যে বাড়িয়ে অর্থ লোপাট করে থাকে। অথচ ভোক্তাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম খামার রেট ১২০ থেকে ১২৫ টাকা হলেও ভোক্তারা ১৬০-১৭০ টাকা কেজিতে কিনছেন। উৎপাদন খরচ ১৪৫-১৫০ টাকা হলেও প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান হচ্ছে খামারিদের।

প্রান্তিক খামারিদের একটি ডিম উৎপাদনে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কস্ট ফিডে। আমাদের সব করপোরেট কোম্পানিদের ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ আমরা তো ফিড উৎপাদন করতে পারি না। ফিড উৎপাদনে কোম্পানিগুলো বছরে সিন্ডিকেট করে বছরে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করে। তারা বছরে এক দিন বয়সের মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট করে ৮শ’ কোটি টাকা লোপাট করে। চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয় প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সব করপোরেট কোম্পানিকে দুর্নীতি দমন কমিশনে ডেকে তাদের ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসার ধরন দেখা উচিত যাতে করে দুর্নীতি দমন করে প্রান্তিক খামারিদের টিকিয়ে রাখা যায়।