ভোজ্যতেলে স্বনির্ভরতা অর্জনে

আদা-জল খেয়ে সরিষা আবাদে ধুম ব্যস্ত কৃষক

তেলে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা সরিষা চাষে নেমেছেন । জেলার ৯টি উপজেলাসহ চলন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উর্বর মাটিতে অথিক লাভের আশায় এখানকার কৃষকরা এখন সরিষা চাষের জন্য জমি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন । সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় ৬০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । আর এজন্য জেলার ৩৫ হাজার ২০০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসাবে দেয়া হয়েছে । উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর গ্রামের হোসেন আলী বড়পাঙ্গাসী গ্রামের নাজির উদ্দিন, তাড়াশের কুসুম্বী গ্রামের শাহেদ আলী জানান । তারা ইতিমধ্যেই সরিষা চাষ শুরু করেছেন । তারা জানান এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে এছর এই এলাকায় কৃষকরা অধিক উৎপাদনশীল জাতের বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ এবং তরী ৭ জাতের সরিষা আবাদ করছি । উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল হাই জানান এবছর আমি ১০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষের জন্য ঠিক করেছি । কারন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা এই চাষ শুরু করেছি । তিনি জানান সরিষা চাষে তুলনামূলক খরচ কম । তাছাড়া সরিষার দামও বেশ ভালো গতবার ৩হাজার ৩৫শ টাকা মন সরিষা বিক্রী করে লাববান হয়েছি । আমার মত এই এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষ শুরু করছে । উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ গ্রামের আকতারুজ্জামান জানান গতবার ১২ জমিতে সরিষা চাষ করে ১০০ মণ সরিষা পেয়েছিলাম । যা বিক্রি করেছিলাম সাড়ে তিন লাখ টাকা । এবারে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে উদ্যোগ নিয়েছি ।

এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান তাড়াশের চলনবিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা সরিষা চাষে নেমেছে । স্থানীয় কৃষি বিভাগ এবছর উচ্চ ফরনশীল বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ জাতের সরিষা চাষের পরামর্শ দিচ্ছে । তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী তেলে নিজেদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই যে নির্দেশ প্রদান করেছেন । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি । তিনি জানান এবছর তাড়াশে ৫২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তবে এইলক্ষ্যমাত্রা চাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন । উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী জানান তার উপজেলায় এবছর ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর বেশী । আর এ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২৬৭২৮ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তিনি আরো জানান দেশে তেলের চাহিদা পুরনের উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ এবং তরী ৭ জাতের সরিষা আবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর জানান তেলের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে জেলা জুড়ে ব্যাপকহারে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তিনি জানান এ বছর জেলায় ৬০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । যা গত বারের চেয়ে ৬২৫০ হেক্টর বেশি । তিনি জানান সরিষা চাষের জন্য ইতোমধ্যে ৩৫,২০০ জন কৃষককে সরিষা বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

ভোজ্যতেলে স্বনির্ভরতা অর্জনে

আদা-জল খেয়ে সরিষা আবাদে ধুম ব্যস্ত কৃষক

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

image

তেলে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা সরিষা চাষে নেমেছেন । জেলার ৯টি উপজেলাসহ চলন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে উর্বর মাটিতে অথিক লাভের আশায় এখানকার কৃষকরা এখন সরিষা চাষের জন্য জমি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন । সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জেলায় ৬০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । আর এজন্য জেলার ৩৫ হাজার ২০০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা হিসাবে দেয়া হয়েছে । উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর গ্রামের হোসেন আলী বড়পাঙ্গাসী গ্রামের নাজির উদ্দিন, তাড়াশের কুসুম্বী গ্রামের শাহেদ আলী জানান । তারা ইতিমধ্যেই সরিষা চাষ শুরু করেছেন । তারা জানান এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে এছর এই এলাকায় কৃষকরা অধিক উৎপাদনশীল জাতের বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ এবং তরী ৭ জাতের সরিষা আবাদ করছি । উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল হাই জানান এবছর আমি ১০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষের জন্য ঠিক করেছি । কারন বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই আমরা এই চাষ শুরু করেছি । তিনি জানান সরিষা চাষে তুলনামূলক খরচ কম । তাছাড়া সরিষার দামও বেশ ভালো গতবার ৩হাজার ৩৫শ টাকা মন সরিষা বিক্রী করে লাববান হয়েছি । আমার মত এই এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষ শুরু করছে । উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ গ্রামের আকতারুজ্জামান জানান গতবার ১২ জমিতে সরিষা চাষ করে ১০০ মণ সরিষা পেয়েছিলাম । যা বিক্রি করেছিলাম সাড়ে তিন লাখ টাকা । এবারে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষে উদ্যোগ নিয়েছি ।

এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান তাড়াশের চলনবিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা সরিষা চাষে নেমেছে । স্থানীয় কৃষি বিভাগ এবছর উচ্চ ফরনশীল বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ জাতের সরিষা চাষের পরামর্শ দিচ্ছে । তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী তেলে নিজেদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই যে নির্দেশ প্রদান করেছেন । সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে চলেছি । তিনি জানান এবছর তাড়াশে ৫২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তবে এইলক্ষ্যমাত্রা চাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন । উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্না ইয়াসমিন সুমী জানান তার উপজেলায় এবছর ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর বেশী । আর এ থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ২৬৭২৮ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । তিনি আরো জানান দেশে তেলের চাহিদা পুরনের উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি সরিষা ৯, ১৪, ১৭, বিনা ৪ এবং তরী ৭ জাতের সরিষা আবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর জানান তেলের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে জেলা জুড়ে ব্যাপকহারে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । তিনি জানান এ বছর জেলায় ৬০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । যা গত বারের চেয়ে ৬২৫০ হেক্টর বেশি । তিনি জানান সরিষা চাষের জন্য ইতোমধ্যে ৩৫,২০০ জন কৃষককে সরিষা বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ।