ইউপি চেয়ারম্যানদের অনিয়ম অসহযোগিতায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় তৃণমূল, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চালের তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানদের ব্যাপক অনিয়ম ও অসহযোগিতার কারণে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়র কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় পিরোজপুরের ১১টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৪শ’ ২৯ জনকে ৩০ কেজি হারে মোট ২শ’ ২২ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করে ৬ হাজার ২শ’ ৪টি কার্ডের অনুকূলে ১শ’ ৮৬ মেট্রিক টন ১২০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি মূল্যে সংশ্লিষ্ট ডিলার কর্তৃক কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অপরদিকে ১ হাজার ২শ’ ২৫টি বাদ পড়া কার্ডের চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা দিলেও মিরুখালি, টিকিকাটা ও বেতমোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য অধিদপ্তরে জমা না দেয়ায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমা দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি তালিকায় রয়েছে নানা অনিয়ম। অধিকাংশ আইডি কার্ডের সাথে নামের তালিকায় কোন মিল নেই।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সঞ্জীত চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরকার হতদরিদ্রদের মাঝে বছরে ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করছেন। ৩ ইউপির চেয়ারম্যানদেরকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা কার্যালয়ে জমা দিচ্ছেন না। এর আগে ৮ ইউপির চেয়ারম্যানরা যে তালিকা দিয়েছেন তা অসংখ্য ভুলে ভরা। ফলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকারের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। ইউপি চেয়ারম্যানদের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরো তৎপর হওয়া উচিত। পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করা হবে।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

ইউপি চেয়ারম্যানদের অনিয়ম অসহযোগিতায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত

প্রতিনিধি, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর)

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় তৃণমূল, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫ টাকা কেজি মূল্যের চালের তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানদের ব্যাপক অনিয়ম ও অসহযোগিতার কারণে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়র কর্তৃক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় পিরোজপুরের ১১টি ইউনিয়নে ৭ হাজার ৪শ’ ২৯ জনকে ৩০ কেজি হারে মোট ২শ’ ২২ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করে ৬ হাজার ২শ’ ৪টি কার্ডের অনুকূলে ১শ’ ৮৬ মেট্রিক টন ১২০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি মূল্যে সংশ্লিষ্ট ডিলার কর্তৃক কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অপরদিকে ১ হাজার ২শ’ ২৫টি বাদ পড়া কার্ডের চাল হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা দিলেও মিরুখালি, টিকিকাটা ও বেতমোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য অধিদপ্তরে জমা না দেয়ায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কর্তৃক উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমা দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি তালিকায় রয়েছে নানা অনিয়ম। অধিকাংশ আইডি কার্ডের সাথে নামের তালিকায় কোন মিল নেই।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সঞ্জীত চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সরকার হতদরিদ্রদের মাঝে বছরে ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করছেন। ৩ ইউপির চেয়ারম্যানদেরকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা কার্যালয়ে জমা দিচ্ছেন না। এর আগে ৮ ইউপির চেয়ারম্যানরা যে তালিকা দিয়েছেন তা অসংখ্য ভুলে ভরা। ফলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উর্মি ভৌমিক জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকারের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। ইউপি চেয়ারম্যানদের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরো তৎপর হওয়া উচিত। পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে আলোচনা করা হবে।