যক্ষ্মা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মসজিদের ইমামদের সাথে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শহরের কাঁঠালবাগিচাস্থ শিশু শিক্ষা নিকেতনের সভা কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। নাটাবের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিম উদ দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসী, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. সাইফুল ইসলাম। বক্তারা ইমামদের উদ্দেশে বলেন, ক্ষুধা-মন্দা, ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট এগুলো ফুসফুসে যক্ষ্মা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এটি একটি জীবাণুঘটিত সংক্রামক রোগ। একনাগাড়ে ২ সপ্তাহ বা তার অধিক সময় কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সেসকল রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ইমামদেরকে সচেতন করা হয়। কোন ব্যক্তির এক নাগাড়ে ২ সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি থাকলে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য অংশগ্রহণকারী ইমামদের পরামর্শ দিতে বলেন। সরকার যক্ষ্মারোগীদের জন্য চিকিৎসার যাবতীয় ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে। জেলায় যক্ষ¥া পরিস্থিতি কিভাবে কমিয়ে আনা যায় তা সভায় বিশদভাবে আলোচিত হয়।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

যক্ষ্মা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মসজিদের ইমামদের সাথে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শহরের কাঁঠালবাগিচাস্থ শিশু শিক্ষা নিকেতনের সভা কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। নাটাবের জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিম উদ দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসী, প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ ড. সাইফুল ইসলাম। বক্তারা ইমামদের উদ্দেশে বলেন, ক্ষুধা-মন্দা, ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট এগুলো ফুসফুসে যক্ষ্মা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এটি একটি জীবাণুঘটিত সংক্রামক রোগ। একনাগাড়ে ২ সপ্তাহ বা তার অধিক সময় কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। সেসকল রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ইমামদেরকে সচেতন করা হয়। কোন ব্যক্তির এক নাগাড়ে ২ সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি থাকলে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য অংশগ্রহণকারী ইমামদের পরামর্শ দিতে বলেন। সরকার যক্ষ্মারোগীদের জন্য চিকিৎসার যাবতীয় ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে। জেলায় যক্ষ¥া পরিস্থিতি কিভাবে কমিয়ে আনা যায় তা সভায় বিশদভাবে আলোচিত হয়।