৯৩ দলের আবেদন যাচাই শুরু

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চাওয়া ৯৩টি সংগঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের এ সংক্রান্ত একটি কমিটি প্রাপ্ত সব তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে উপস্থান করবে। এরপর কমিশন নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

আবেদন করা সংগঠনগুলোর মধ্যে কারা নিবন্ধন পাবে তা আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে জানা যাবে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে ইসির অধীনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। নতুন কেউ নিবন্ধন পেলে তারাও ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত ইসি সচিবালয়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে উপস্থাপনের পর কমিশন দেখবে।

ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে কোন কোন দল জমা দেয়নি প্রয়োজনীয় চালানের টাকা, কোনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নাম-পদবি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকায় সঙ্গতি নেই, কোন দলের নেই গঠনতন্ত্র, কোন দলের নিবন্ধনের ন্যূনতম শর্ত পূরণের দালিলিক প্রমাণ নেই কিংবা ঘাটতি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের। আবার প্রাথমিকভাবে যেসব দলের তথ্য আবেদনে রয়েছে, তা সঠিক কি না তা বাছাইয়ের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে নতুন নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৯৩টি আবেদন পর্যালোচনা শুরু হয়েছে যা শীঘ্রই সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তসহ কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে কমিটি।

কমিটির সদস্য-সচিব ও ইসির উপসচিব আবদুল হালিম খান জানান, প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে কি না গুছিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব দলের আবেদন অযোগ্য হবে তাও জানিয়ে দেয়া হতে পারে। সেইসঙ্গে বিধি অনুযায়ী সঠিকতা যাচাই, আপত্তি-নিষ্পত্তি, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত, ত্রুটি সংশোধনে ১৫ দিন সময় দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এরপর যোগ্য থাকলে নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।

নিবন্ধনের জন্য শর্ত

তিনটি শর্তের যেকোন একটি পূরণ করলে কোন দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়। সেগুলো হলোÑ ১. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসনে জয়।

২. যেকোন একটি আসনে দলীয় প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ ভোট পাওয়া এবং

৩. কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রত্যেকটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে।

বাছাই প্রক্রিয়া

নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, আবেদনে অন্তত ৯ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয় এবং সেইসঙ্গে ১০ ধরনের দলিলপত্রের সংযুক্তি দিতে হয়।

ন্যূনতম কাগজপত্র ও তথ্য না থাকলে আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে কি না, তা বাছাই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

কোন দলের নিবন্ধন নিয়ে কারও আপত্তি রয়েছে কি না দেখবে। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর আপত্তি পেলে দুই পক্ষের শুনানি আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করতে পারে। আপত্তি না পেলে আবেদন নেবে।

প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত, দলিল যাদের রয়েছে, কোন ধরনের সামান্য ঘাটতি তা ত্রুটি সংশোধনের থাকলে বিধি মেনে তা জমা দিতে সময় দেয়া হবে। কাগজপত্র জমা না দিলে তো অযোগ্য বিবেচিত হবে; আর জমা দিলেও তা বাছাই কমিটি দেখে করণীয় নির্ধারণ করবে।

মাঠ পর্যায়ে তদন্তে পাঠানোর মতো কয়টি দল রয়েছে, বাছাই কমিটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। এসব দলের আবেদনপত্রের দলিলাদি ও তথ্য সঠিকতা যাছাইয়ে তদন্তে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা সম্পৃক্ত করা হবে। এ কাজটি করতে সময় লাগবে।

কারণ, কেন্দ্রীয় দপ্তর ও কমিটির পাশাপাশি এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলা, ন্যূনতম একশ’ উপজেলার দুইশ’ ভোটারের সমর্থন তালিকা রয়েছে। অসত্য তথ্য মিললেই ঝরে যাবে।

কোনরকম বাছাইয়ে উৎরে যাওয়ার মতো দল থাকলেও শেষধাপে নিবন্ধন সার্টিফিকেট পাবে, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করে ইসি। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ৯৮টি আবেদন থেকে কয়েকটি একাধিকবার হওয়ায় বাদ দিয়ে ৯৩টি দলের আবেদন পেয়েছে বলে জানানো হয়।

এর মধ্যে নিবন্ধন আবেদন করা কয়েকটি দল নিয়ে আপত্তি উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন দলকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য দাবিও জানানো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন দলের নিবন্ধন দেয়ার পাশাপাশি নিবন্ধিত দলগুলো শর্ত প্রতিপালন করছে কি না তাও যাচাই করে ইসি। নিবন্ধিত ৩৯ দলের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাতিল ৫টি দলের নিবন্ধন

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সাল থেকে দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর এক যুগে ৪৪টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। কিন্তু শর্ত পূরণে ব্যর্থ এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (ফ্রিডম পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন পরে বাতিল করা হয়।

২০০৮ সালে নবম সংসদের আগে ১২৬টি আবেদনের মধ্যে নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। পরবর্তীতে ১টি দলের (ফ্রিডম পার্টি) নিবন্ধন বাতিল হয়।

এরপর দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে ৪৩টি আবেদনের মধ্যে তিনটি দল নিবন্ধন পেয়েছে। বাতিল হয় আরও ১টি (জামায়াতে ইসলামী) দলের নিবন্ধন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ৭৬টি দল আবেদন করলেও একটি নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। আরও একটি দলের (ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন) বাতিল হয়।

পরে আদালতে গিয়ে ২০১৯ সালে দুটি দল আদেশ নিয়ে এলে যুক্ত হয়; তবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে একটি দল (পিডিপি) ও সবশেষ ২০২১ সালে নিবন্ধন বাতিল হয় আরেকটি (জাগপা) দলের।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

ইসির নিবন্ধন

৯৩ দলের আবেদন যাচাই শুরু

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চাওয়া ৯৩টি সংগঠনের আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সচিবালয়ের এ সংক্রান্ত একটি কমিটি প্রাপ্ত সব তথ্য পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে উপস্থান করবে। এরপর কমিশন নিবন্ধন প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।

আবেদন করা সংগঠনগুলোর মধ্যে কারা নিবন্ধন পাবে তা আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে জানা যাবে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে ইসির অধীনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। নতুন কেউ নিবন্ধন পেলে তারাও ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত ইসি সচিবালয়ের একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে উপস্থাপনের পর কমিশন দেখবে।

ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে কোন কোন দল জমা দেয়নি প্রয়োজনীয় চালানের টাকা, কোনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নাম-পদবি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকায় সঙ্গতি নেই, কোন দলের নেই গঠনতন্ত্র, কোন দলের নিবন্ধনের ন্যূনতম শর্ত পূরণের দালিলিক প্রমাণ নেই কিংবা ঘাটতি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের। আবার প্রাথমিকভাবে যেসব দলের তথ্য আবেদনে রয়েছে, তা সঠিক কি না তা বাছাইয়ের কাজ চলছে।

এ বিষয়ে নতুন নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৯৩টি আবেদন পর্যালোচনা শুরু হয়েছে যা শীঘ্রই সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তসহ কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবে কমিটি।

কমিটির সদস্য-সচিব ও ইসির উপসচিব আবদুল হালিম খান জানান, প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে কি না গুছিয়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যেসব দলের আবেদন অযোগ্য হবে তাও জানিয়ে দেয়া হতে পারে। সেইসঙ্গে বিধি অনুযায়ী সঠিকতা যাচাই, আপত্তি-নিষ্পত্তি, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত, ত্রুটি সংশোধনে ১৫ দিন সময় দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এরপর যোগ্য থাকলে নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।

নিবন্ধনের জন্য শর্ত

তিনটি শর্তের যেকোন একটি পূরণ করলে কোন দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়। সেগুলো হলোÑ ১. বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসনে জয়।

২. যেকোন একটি আসনে দলীয় প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ ভোট পাওয়া এবং

৩. কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলায় কার্যালয় এবং প্রত্যেকটিতে সদস্য হিসেবে অন্তত ২০০ জন ভোটারের তালিকাভুক্তি থাকতে হবে।

বাছাই প্রক্রিয়া

নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, আবেদনে অন্তত ৯ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয় এবং সেইসঙ্গে ১০ ধরনের দলিলপত্রের সংযুক্তি দিতে হয়।

ন্যূনতম কাগজপত্র ও তথ্য না থাকলে আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে কি না, তা বাছাই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

কোন দলের নিবন্ধন নিয়ে কারও আপত্তি রয়েছে কি না দেখবে। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর আপত্তি পেলে দুই পক্ষের শুনানি আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর করতে পারে। আপত্তি না পেলে আবেদন নেবে।

প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত, দলিল যাদের রয়েছে, কোন ধরনের সামান্য ঘাটতি তা ত্রুটি সংশোধনের থাকলে বিধি মেনে তা জমা দিতে সময় দেয়া হবে। কাগজপত্র জমা না দিলে তো অযোগ্য বিবেচিত হবে; আর জমা দিলেও তা বাছাই কমিটি দেখে করণীয় নির্ধারণ করবে।

মাঠ পর্যায়ে তদন্তে পাঠানোর মতো কয়টি দল রয়েছে, বাছাই কমিটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। এসব দলের আবেদনপত্রের দলিলাদি ও তথ্য সঠিকতা যাছাইয়ে তদন্তে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা সম্পৃক্ত করা হবে। এ কাজটি করতে সময় লাগবে।

কারণ, কেন্দ্রীয় দপ্তর ও কমিটির পাশাপাশি এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলা, ন্যূনতম একশ’ উপজেলার দুইশ’ ভোটারের সমর্থন তালিকা রয়েছে। অসত্য তথ্য মিললেই ঝরে যাবে।

কোনরকম বাছাইয়ে উৎরে যাওয়ার মতো দল থাকলেও শেষধাপে নিবন্ধন সার্টিফিকেট পাবে, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করে ইসি। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ৯৮টি আবেদন থেকে কয়েকটি একাধিকবার হওয়ায় বাদ দিয়ে ৯৩টি দলের আবেদন পেয়েছে বলে জানানো হয়।

এর মধ্যে নিবন্ধন আবেদন করা কয়েকটি দল নিয়ে আপত্তি উঠে বিভিন্ন মহল থেকে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন দলকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য দাবিও জানানো হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন দলের নিবন্ধন দেয়ার পাশাপাশি নিবন্ধিত দলগুলো শর্ত প্রতিপালন করছে কি না তাও যাচাই করে ইসি। নিবন্ধিত ৩৯ দলের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাতিল ৫টি দলের নিবন্ধন

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সাল থেকে দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর এক যুগে ৪৪টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। কিন্তু শর্ত পূরণে ব্যর্থ এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (ফ্রিডম পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন পরে বাতিল করা হয়।

২০০৮ সালে নবম সংসদের আগে ১২৬টি আবেদনের মধ্যে নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল। পরবর্তীতে ১টি দলের (ফ্রিডম পার্টি) নিবন্ধন বাতিল হয়।

এরপর দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে ৪৩টি আবেদনের মধ্যে তিনটি দল নিবন্ধন পেয়েছে। বাতিল হয় আরও ১টি (জামায়াতে ইসলামী) দলের নিবন্ধন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে ৭৬টি দল আবেদন করলেও একটি নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়নি। আরও একটি দলের (ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন) বাতিল হয়।

পরে আদালতে গিয়ে ২০১৯ সালে দুটি দল আদেশ নিয়ে এলে যুক্ত হয়; তবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। ২০২০ সালে একটি দল (পিডিপি) ও সবশেষ ২০২১ সালে নিবন্ধন বাতিল হয় আরেকটি (জাগপা) দলের।