জঙ্গি, দাগি আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি

সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা একাধিক মামলার দ-প্রাপ্ত আসামিদের জেলখানা থেকে আদালতে উপস্থাপনের সময় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানোর জন্য কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (প্রসেকিউশন বিভাগ) মো. জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানান। তবে চিঠিটি গত সোমবার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের সময় জেলকোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় কোর্টে পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে ইতোমধ্যে দ- পাওয়া আসামি কোর্ট থেকে পালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। পরবর্তীতে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে ও সতর্ক থাকতে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় শুধু ডান্ডাবেড়িই পরানো নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

তবে এই চিঠি এখনও কারা অধিদপ্তর পায়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, কোন আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে কি না তা যে পুলিশ সদস্যরা কারাগার থেকে আসামি গ্রহণ করে নিয়ে যায় তাদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। যেসব পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে আসামি গ্রহণ করে আদালতে নিয়ে যান, তাদের চাহিদার ভিত্তিতে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। তারা যদি মনে করেন এই আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো ছাড়াই নিতে পারবেন, তখন ডান্ডাবেড়ি পরানো হয় না।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

জঙ্গি, দাগি আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরাতে কারা অধিদপ্তরকে চিঠি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি বা একাধিক মামলার দ-প্রাপ্ত আসামিদের জেলখানা থেকে আদালতে উপস্থাপনের সময় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে পাঠানোর জন্য কারা অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (প্রসেকিউশন বিভাগ) মো. জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানান। তবে চিঠিটি গত সোমবার পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের সময় জেলকোড অনুযায়ী ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় কোর্টে পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডান্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে ইতোমধ্যে দ- পাওয়া আসামি কোর্ট থেকে পালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। ডান্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। পরবর্তীতে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে ও সতর্ক থাকতে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় জেলখানা থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের কোর্টে পাঠানোর সময় শুধু ডান্ডাবেড়িই পরানো নয়, জঙ্গি-সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

তবে এই চিঠি এখনও কারা অধিদপ্তর পায়নি বলে জানিয়েছেন সহকারী মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি জানান, কোন আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হবে কি না তা যে পুলিশ সদস্যরা কারাগার থেকে আসামি গ্রহণ করে নিয়ে যায় তাদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। যেসব পুলিশ সদস্য কারাগার থেকে আসামি গ্রহণ করে আদালতে নিয়ে যান, তাদের চাহিদার ভিত্তিতে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। তারা যদি মনে করেন এই আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো ছাড়াই নিতে পারবেন, তখন ডান্ডাবেড়ি পরানো হয় না।