চিনি সংকট : ঢাকা-চট্টগ্রাম গুদাম থেকে বস্তায় বস্তায় চিনি উধাও

বাজারে চিনির সংকট। এ অবস্থায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে মিলেছে লুকিয়ে রাখা ৫৩০ বস্তা চিনি। অভিযানে সততা ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বন্ধ গুদামে এসব চিনিরে বস্তা পাওয়া যায়। এজন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল এ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জব্দ করা চিনি বাজার দরে বিক্রি করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, সততা ট্রের্ডাস ও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের কাগজের হিসাবে চিনি থাকলেও প্রতিষ্ঠান দুইটি চিনি থাকার বিষয়ে অস্বীকার জানায়। পরে তেলের গুদামে লুকানো অবস্থায় ৩৩০ বস্তুা চিনি এবং আটার বস্তুার পেছনে ২০০ বস্তুা চিনি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুইটিকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান জানান, গুদামের সামনে খালি ড্রাম দিয়ে লুকিয়ে রাখা ছিল এসব চিনি। এগুলো মজুদ চিনি, বিক্রি করা হয় না। তিনি বলেন, প্রায় ৫৩০ বস্তা মজুদ করা চিনি উপস্থিত ভোক্তাদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

একই দিনে চট্টগ্রামের হালিশহরের সততা ট্রেডার্স নামের এক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ৯০ টাকা দরে কেনা চিনি ১০৭ টাকা দরে বিক্রি করছিল। যদিও সরকার গত ১৮ নভেম্বর চিনি খুচরা মূল্য ১০২ টাকা বেধে দেয়।

চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, এ দোকানের মালিক আগের কেনা ৪ হাজার ৫০০ টাকা বস্তার চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিলেন। এক কেজি চিনির দাম ৯০ টাকা হওয়ার কথা; তিনি তা ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি ভাউচার না নিয়ে ব্যাবসা করেন, মানে ভবিষ্যতেও তার এমন করার ইচ্ছা আছে।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ বস্তা চিনি মজুদ করার দায়ে মায়ের দোয়া বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভোক্তাদের মাঝে সরকারি দরে চিনি বিক্রি করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

চিনি সংকট : ঢাকা-চট্টগ্রাম গুদাম থেকে বস্তায় বস্তায় চিনি উধাও

কৃষি মার্কেটে মজুদকারীদের জরিমানা

বাজারে চিনির সংকট। এ অবস্থায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে মিলেছে লুকিয়ে রাখা ৫৩০ বস্তা চিনি। অভিযানে সততা ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বন্ধ গুদামে এসব চিনিরে বস্তা পাওয়া যায়। এজন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল এ অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জব্দ করা চিনি বাজার দরে বিক্রি করা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেখা গেছে, সততা ট্রের্ডাস ও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের কাগজের হিসাবে চিনি থাকলেও প্রতিষ্ঠান দুইটি চিনি থাকার বিষয়ে অস্বীকার জানায়। পরে তেলের গুদামে লুকানো অবস্থায় ৩৩০ বস্তুা চিনি এবং আটার বস্তুার পেছনে ২০০ বস্তুা চিনি উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান দুইটিকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান জানান, গুদামের সামনে খালি ড্রাম দিয়ে লুকিয়ে রাখা ছিল এসব চিনি। এগুলো মজুদ চিনি, বিক্রি করা হয় না। তিনি বলেন, প্রায় ৫৩০ বস্তা মজুদ করা চিনি উপস্থিত ভোক্তাদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

একই দিনে চট্টগ্রামের হালিশহরের সততা ট্রেডার্স নামের এক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করেছে ভোক্তা অধিকার। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ৯০ টাকা দরে কেনা চিনি ১০৭ টাকা দরে বিক্রি করছিল। যদিও সরকার গত ১৮ নভেম্বর চিনি খুচরা মূল্য ১০২ টাকা বেধে দেয়।

চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, এ দোকানের মালিক আগের কেনা ৪ হাজার ৫০০ টাকা বস্তার চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিলেন। এক কেজি চিনির দাম ৯০ টাকা হওয়ার কথা; তিনি তা ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি ভাউচার না নিয়ে ব্যাবসা করেন, মানে ভবিষ্যতেও তার এমন করার ইচ্ছা আছে।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ বস্তা চিনি মজুদ করার দায়ে মায়ের দোয়া বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ভোক্তাদের মাঝে সরকারি দরে চিনি বিক্রি করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল।