উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জোরালো পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জোরালো পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে ফের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। ওনসান এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। এটি তার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা, যা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছাতে সক্ষম। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নেয় কিম জং উনের সরকার। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এ বছর আটটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৬৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের কোনও প্রতিক্রিয়া বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।

উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ায় চীন, রাশিয়ারও সমালোচনা করেন লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ এই বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাপানের বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। কোনও প্রয়োজন ছাড়াই এই অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়া যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশ দুটির এমন কর্মকা- উত্তর-পূর্ব এশীয় অঞ্চল এবং পুরো দুনিয়াকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির’ জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। গতকাল শুক্রবার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই দেশটির নেতা এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।

বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জোরালো পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের জোরালো পদক্ষেপ চায় যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গত সপ্তাহে ফের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। ওনসান এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। এটি তার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা, যা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছাতে সক্ষম। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নেয় কিম জং উনের সরকার। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এ বছর আটটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৬৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের কোনও প্রতিক্রিয়া বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে।

উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ায় চীন, রাশিয়ারও সমালোচনা করেন লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ এই বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাপানের বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। কোনও প্রয়োজন ছাড়াই এই অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়া যেসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশ দুটির এমন কর্মকা- উত্তর-পূর্ব এশীয় অঞ্চল এবং পুরো দুনিয়াকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘হুমকির’ জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। গতকাল শুক্রবার আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই দেশটির নেতা এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।