বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটা গভীর সংকটে পড়ে গেছে, একেবারে খাদে এসে গেছে। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, আরেক দিকে রাজনৈতিক সংকট। এসবের সমাধান না করলে এ দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।’
গতকাল ফার্মগেটে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদকে দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে। এটা একটা ক্রিটিক্যাল টাইম। যদি নির্বাচন ঠিকমতো না হয়, নির্বাচনে যদি জনপ্রতিনিধি সঠিকভাবে নির্বাচিত না হয়, দেশ কীভাবে চলবে? আশা করি, এই সমস্ত সন্ত্রাস, অত্যাচার-নির্যাতন বাদ দিয়ে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশে একটা সত্যিকারার্থে অন্তর্বর্তীকালীন কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় কোনভাবেই সমস্যার সমাধান করার সম্ভাবনা দেখি না।
কোন জায়গায় তারা গভার্নেন্সকে নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চারদিকে তাকালে চোর-চুরি, চারদিকে তাকালে গুন্ডামি, চারদিকে তাকালে মারামারি। তারা এত কিছু করছেন, গুলি করে একজন দিনমজুরের নাড়িভুড়ি বের করে দিতে পারছেন। আর আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সামনে দিয়ে জঙ্গি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বুঝতেই পারেন তাদের (সরকার) গভর্নেন্স।’
আপনারা পাশের দেশগুলোর দিকে দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের কী কম সমস্যা আছে? ভারতে নির্বাচন হচ্ছে, সবাই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নেপালে একেবারে বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দলগুলো, সোশ্যালস্টি, রেভ্যুলেশনারি, লিবারেল ডেমোক্রেন্সি ইলেকশন করছে এবং সবাই নির্বাচনে যাচ্ছে। সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ আছে। পাকিস্তানের মতো দেশ তারা পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের (রাজনৈতিক দল) বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। দুর্ভাগ্যজনক আমরা সেটা করতে পারি নাই। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ এই সংকট সৃষ্টি করেছে।’
সিরাজগঞ্জে শুরু থেকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর মূল টার্গেটটা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রী। যেহেতু ২০০৮ সালে টুকু সাহেব নির্বাচন করতে পারেননি, নির্বাচন করেছেন ভাবি। সেজন্য নির্বাচনে জিতে এসেছেন। এই যে প্রতিরোধ, প্রতিহিংসার ব্যাপার আছে। এটা তারা কন্টিনিউ করে গেছে।’
আওয়ামী লীগ কোন মতেই সন্ত্রাস ছাড়া টিকতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে তারা সহ্য করতে পারে না এবং সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা নির্মূল করতে চায়। ত্রাস না করলে তারা শাসন করতে পারে না— এটা হচ্ছে তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করছে।’
সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ তার ওপরে সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ তুলে ধরেন। গত ১৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈলি রেলস্টেশন বাজার এলাকায় ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলনের লিফলেট বিতরণের এক অনুষ্ঠানে জেলার সভাপতি রুমনা মাহমুদসহ নেতাকর্মীদের ওপরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করে বলে তিনি দাবি করেন।
রুমনা মাহমুদের স্বামী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটা গভীর সংকটে পড়ে গেছে, একেবারে খাদে এসে গেছে। একদিকে অর্থনৈতিক সংকট, আরেক দিকে রাজনৈতিক সংকট। এসবের সমাধান না করলে এ দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।’
গতকাল ফার্মগেটে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদকে দেখার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে। এটা একটা ক্রিটিক্যাল টাইম। যদি নির্বাচন ঠিকমতো না হয়, নির্বাচনে যদি জনপ্রতিনিধি সঠিকভাবে নির্বাচিত না হয়, দেশ কীভাবে চলবে? আশা করি, এই সমস্ত সন্ত্রাস, অত্যাচার-নির্যাতন বাদ দিয়ে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। দেশে একটা সত্যিকারার্থে অন্তর্বর্তীকালীন কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। অন্যথায় কোনভাবেই সমস্যার সমাধান করার সম্ভাবনা দেখি না।
কোন জায়গায় তারা গভার্নেন্সকে নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘চারদিকে তাকালে চোর-চুরি, চারদিকে তাকালে গুন্ডামি, চারদিকে তাকালে মারামারি। তারা এত কিছু করছেন, গুলি করে একজন দিনমজুরের নাড়িভুড়ি বের করে দিতে পারছেন। আর আপনাদের (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) সামনে দিয়ে জঙ্গি উধাও হয়ে যাচ্ছে। বুঝতেই পারেন তাদের (সরকার) গভর্নেন্স।’
আপনারা পাশের দেশগুলোর দিকে দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের কী কম সমস্যা আছে? ভারতে নির্বাচন হচ্ছে, সবাই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। নেপালে একেবারে বিপরীতমুখী রাজনৈতিক দলগুলো, সোশ্যালস্টি, রেভ্যুলেশনারি, লিবারেল ডেমোক্রেন্সি ইলেকশন করছে এবং সবাই নির্বাচনে যাচ্ছে। সেখানে নির্বাচনে যাওয়ার পরিবেশ আছে। পাকিস্তানের মতো দেশ তারা পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের (রাজনৈতিক দল) বিশ্বাস আছে, আস্থা আছে। দুর্ভাগ্যজনক আমরা সেটা করতে পারি নাই। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ এই সংকট সৃষ্টি করেছে।’
সিরাজগঞ্জে শুরু থেকে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর মূল টার্গেটটা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রী। যেহেতু ২০০৮ সালে টুকু সাহেব নির্বাচন করতে পারেননি, নির্বাচন করেছেন ভাবি। সেজন্য নির্বাচনে জিতে এসেছেন। এই যে প্রতিরোধ, প্রতিহিংসার ব্যাপার আছে। এটা তারা কন্টিনিউ করে গেছে।’
আওয়ামী লীগ কোন মতেই সন্ত্রাস ছাড়া টিকতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে তারা সহ্য করতে পারে না এবং সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা নির্মূল করতে চায়। ত্রাস না করলে তারা শাসন করতে পারে না— এটা হচ্ছে তাদের পুরনো অভ্যাস। তারা সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করছে।’
সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ তার ওপরে সন্ত্রাসী হামলার বিবরণ তুলে ধরেন। গত ১৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈলি রেলস্টেশন বাজার এলাকায় ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলনের লিফলেট বিতরণের এক অনুষ্ঠানে জেলার সভাপতি রুমনা মাহমুদসহ নেতাকর্মীদের ওপরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার গাড়ি ভাঙচুর করে বলে তিনি দাবি করেন।
রুমনা মাহমুদের স্বামী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসায় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।