রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির

আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের অগ্রজদের মধ্যে অন্যতম একজন। আপোষহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক হিসেবে পাকিস্তান আমল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ছিলেন একজন ভিন্নমাত্রার মানুষ। মূলত তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা।

তদানীন্তন পাকিস্তানের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল যে ধারা এ দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপুল জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক চেতনাকে নাড়া দিয়েছিল, সেই ধারার পুরোধা ছিলেন আহমদুল কবির। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনীতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

আহমদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ১৯৭২ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার নিয়ে আমৃত্যু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকার ‘সংবাদ’ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং আহমদুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ‘সংবাদ’ প্রকাশের জন্য অনেক প্রলোভন দেখায়; কিন্তু আহমদুল কবির তাদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি। পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ রাখেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং ‘সংবাদ’ পুনঃপ্রকাশ করেন।

আহমদুল কবির মনু মিয়া দেশের সাংবাদিকতা পেশায় অগ্রজদের মধ্যে অন্যতম। শুধু খবরের পেছনে নয়, আনেকবার নিজেও খবর হয়েছেন।

দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন আদর্শবান এবং নীতিনিষ্ঠ এক নেতা হিসেবে। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি কৃষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। সত্তরের দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন আহমদুল কবির। তারও আগে ১৯৪২-৪৩ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। তারপর ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আহমদুল কবির প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানি।

১৯৫০ সালে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ১৯৫১ সালে গ্যাটে সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি নিজের ব্যবসায় যোগদান করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন। রোমে ফাও-এর কনফারেন্সে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ইইসি দেশগুলোতে তিনি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন।

আহমদুল কবির ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মা সুফিয়া খাতুন। তার ডাক নাম ছিল মনু মিয়া।

ভিন্নমাত্রার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির মনু মিয়া ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ তার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আহমদুল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা।

আহমদুল কবিরের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি

বাদ ফজর নিজ বাড়ির মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম; সকাল ৬ টায় দুস্থ ও দরিদ্রদের খাওয়ার আয়োজন; সকাল সাড়ে দশটায় আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া; জোহর নামাজের পর মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ; আসর নামাজের পর ৭নং ওয়ার্ডের ১৮টি মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মসূচি : মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আহমদুল কবির মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ফজরের নামাজের পর নিজ বাড়ির মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম, সকাল ৬টায় গরিব ও দুস্থদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ, সকাল সাড়ে ১০টায় আহমদুল বির মনু মিয়া স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত। জোহরের নামাজের পর মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। জোহরের নামাজের পর অত্র এলাকার বিভিন্ন এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার বিতরণ। আসর নামাজের পর ৭নং ওয়ার্ডের ১৮টি মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির

আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের অগ্রজদের মধ্যে অন্যতম একজন। আপোষহীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক হিসেবে পাকিস্তান আমল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি ছিলেন একজন ভিন্নমাত্রার মানুষ। মূলত তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা।

তদানীন্তন পাকিস্তানের রাজনীতিতে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল যে ধারা এ দেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপুল জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক চেতনাকে নাড়া দিয়েছিল, সেই ধারার পুরোধা ছিলেন আহমদুল কবির। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী রাজনীতির নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।

আহমদুল কবির ১৯৫৪ সালে সংবাদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ১৯৭২ সালে সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে তিনি প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার নিয়ে আমৃত্যু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকার ‘সংবাদ’ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং আহমদুল কবিরকে গ্রেপ্তার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ‘সংবাদ’ প্রকাশের জন্য অনেক প্রলোভন দেখায়; কিন্তু আহমদুল কবির তাদের কথায় বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেননি। পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ রাখেন। স্বাধীনতার পরপরই তিনি জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন এবং ‘সংবাদ’ পুনঃপ্রকাশ করেন।

আহমদুল কবির মনু মিয়া দেশের সাংবাদিকতা পেশায় অগ্রজদের মধ্যে অন্যতম। শুধু খবরের পেছনে নয়, আনেকবার নিজেও খবর হয়েছেন।

দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন আদর্শবান এবং নীতিনিষ্ঠ এক নেতা হিসেবে। তিনি তদানীন্তন পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি কৃষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। সত্তরের দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৪৫-৪৬ সালে ডাকসুর প্রথম সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন আহমদুল কবির। তারও আগে ১৯৪২-৪৩ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৬৫ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। তারপর ইস্ট পাকিস্তান ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আহমদুল কবির প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এসেন্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ, ভিটা কোলা ও বেঙ্গল বেভারেজ কোম্পানি।

১৯৫০ সালে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ১৯৫১ সালে গ্যাটে সম্মেলনে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি নিজের ব্যবসায় যোগদান করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেন। রোমে ফাও-এর কনফারেন্সে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। ইইসি দেশগুলোতে তিনি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন।

আহমদুল কবির ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মা সুফিয়া খাতুন। তার ডাক নাম ছিল মনু মিয়া।

ভিন্নমাত্রার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির মনু মিয়া ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ তার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আহমদুল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা।

আহমদুল কবিরের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচি

বাদ ফজর নিজ বাড়ির মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম; সকাল ৬ টায় দুস্থ ও দরিদ্রদের খাওয়ার আয়োজন; সকাল সাড়ে দশটায় আহমদুল কবির (মনু মিয়া) স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর দোয়া; জোহর নামাজের পর মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ; আসর নামাজের পর ৭নং ওয়ার্ডের ১৮টি মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মসূচি : মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের বাড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আহমদুল কবির মনু মিয়া স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ফজরের নামাজের পর নিজ বাড়ির মসজিদে পবিত্র কোরআন খতম, সকাল ৬টায় গরিব ও দুস্থদের মধ্যে উন্নতমানের খাবার বিতরণ, সকাল সাড়ে ১০টায় আহমদুল বির মনু মিয়া স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের মধ্যে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত। জোহরের নামাজের পর মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। জোহরের নামাজের পর অত্র এলাকার বিভিন্ন এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার বিতরণ। আসর নামাজের পর ৭নং ওয়ার্ডের ১৮টি মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।