ঝামেলা না করে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিন : ফখরুল

বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। তারা (পুলিশ) সমাবেশের স্থান দেয়নি এখনও। কোন ঝামেলা না করে সমাবেশের স্থানের অনুমতি দিন।’

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দুর্ভিক্ষ হয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছেন। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।

বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবো। জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। শুরু হয়ে গেছে তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাধা দেয়া। মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখে। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন তারা। এমন কোন খাত নেই সেখানে দুর্নীতি হয় না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক পুরনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভিত্তি আছে, কিন্তু ক্ষমতার থাকার লালসায় এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।

নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা ককটেল ফাটানোর কথা বললো যা কেউ শোনেননি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরনো নাটক শুরু করেছে সরকার। একদিকে মামলা নিয়ে বিএনপিকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা, অন্যদিকে সরকার তার কাজ করে যেতে পারে। সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধুয়া তুলছেন ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করে জনগণের মূল দাবি ভিন্ন খাতে নিতে চায় সরকার।’

তিনি বলেন, দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তব্য দেন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

ঝামেলা না করে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দিন : ফখরুল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘নয়াপল্টনে সমাবেশ করার কথা বলা হয়েছে। তারা (পুলিশ) সমাবেশের স্থান দেয়নি এখনও। কোন ঝামেলা না করে সমাবেশের স্থানের অনুমতি দিন।’

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

‘দেউলিয়াত্ব ঘোচাতে দুর্ভিক্ষের নাটক? দেশ কোন পথে’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দুর্ভিক্ষ হয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট না দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুরের রঙিন জীবন দেখছেন। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট দুর্ভিক্ষের অন্যতম কারণ।

বিধবা ভাতা বা দুস্থ ভাতার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কেটে নেন আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য বোঝা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের সরাতে না পারলে সবাই ডুবে যাবো। জনগণকে রক্ষা করতে দুর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। শুরু হয়ে গেছে তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বাধা দেয়া। মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে ব্যস্ত রাখে। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্জন নষ্ট করছে আওয়ামী লীগ। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন তারা। এমন কোন খাত নেই সেখানে দুর্নীতি হয় না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক পুরনো রাজনৈতিক দল, তাদের জনভিত্তি আছে, কিন্তু ক্ষমতার থাকার লালসায় এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে।

নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা ককটেল ফাটানোর কথা বললো যা কেউ শোনেননি, দেখেনি তা নিয়ে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। পুরনো নাটক শুরু করেছে সরকার। একদিকে মামলা নিয়ে বিএনপিকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা, অন্যদিকে সরকার তার কাজ করে যেতে পারে। সরকার পতনের আন্দোলন ভিন্ন খাতে নিতেই আগুন সন্ত্রাস আর জঙ্গি নাটকের ধুয়া তুলছেন ক্ষমতাসীনরা। দেশে জঙ্গি ছিনতাই নাটক তৈরি করে জনগণের মূল দাবি ভিন্ন খাতে নিতে চায় সরকার।’

তিনি বলেন, দলীয় সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বক্তব্য দেন।