পাঠ্যপুস্তকের বদলে এবার সহায়ক বই কেনা প্রকল্পের উদ্যোগ

কাগজ সংকটে সরকার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপতে হিশশিম খাচ্ছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে কাগজ উৎপাদনের মূল কাঁচামাল ‘ভার্জিন পাল্প’ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খরচ প্রায় দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে টেন্ডার ছাড়াই ৪১০ কোটি টাকার ‘সহায়ক বই’ কিনতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এই বই দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস ও দক্ষতা বাড়াতে চায় সংস্থাটি। এজন্য একটি প্রকল্পের আওতায় ‘স্ট্রেনদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস’ শীর্ষক একটি ‘স্কিম কর্মসূচি’ অর্থাৎ ‘পাঠ্যভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই সময়ে ব্যয় বাড়িয়ে বই কেনা ঠিক হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ‘স্কিম পরিচালক’ ও মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখনও মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন হয়নি। এজন্য আমি কিছু বলতে পারব না।’

জানতে চাইলে ‘শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য-সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির’ (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘রিডিং হ্যাবিট বাড়ানোর জন্য এত ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন প্রয়োজন নেই। কেনাকাটার বিষয় মানেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই লাভবান হয়; কমিশন ভাগাভাগি হয়। এজন্য এই ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়।’

প্রথমদিকে ৬৪ জেলার ৩০০টি উপজেলার দেড় হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘কর্মসূচি ও পুরস্কার’-এই দুই ধরনের বই দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কর্মসূচির বই ৪৫ লাখ এবং পুরস্কারের জন্য ৩৮ লাখ কপি বই বিতরণের উদ্যোগ ছিল।

এই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে এখন ৩০০ উপজেলার পরিবর্তে ৫৬১ উপজেলায় ১৫ হাজার বিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরও প্রায় ১৭ হাজার ৭০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠান) পাঠাভ্যাস কর্মসূচি বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এতে দুই ধরনের বইয়ের সংখ্যাই বাড়ছে। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৪৫ লাখ বইয়ের (কর্মসূচি বই) বাইরে আরও ৩৬ লাখ বই এবং পুরস্কারের জন্য ৩৮ লাখ বইয়ের ‘বাইরে’ আরও ৩০ লাখ বই প্রয়োজন হবে।

মাধ্যমিক স্তরের সব প্রতিষ্ঠানের জন্য দুই ধরনের বই কিনতে মোট ৪০৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে গতকাল মাউশির পক্ষ থেকে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।

‘স্কিম পরিচালক’ অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বইয়ের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘স্কিম ডকুমেন্টে কর্মসূচির প্রতিটি বইয়ের গড়মূল্য ১১৬ টাকা ও পুরস্কারের প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ১১১ টাকা ধরা হয়েছে। বর্তমানে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বই জমা নেয়ায় ছোট/বড় সব ধরনের বই জমা পড়েছে। বর্তমানে কাগজের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের বই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে যার মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেশি।’

মাউশির প্রস্তাবনায় ‘কর্মসূচির প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ২০৮ টাকা এবং এই টাকার ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ১১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং পুরস্কারের প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ২৫৩ টাকা এবং টাকার ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ১১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে দেশের মাধ্যমিক স্তরের সব প্রতিষ্ঠানে এই হারে বই দিতে গেলে এই খাতে ‘ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ৪০৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন’ হবে বলে বেলাল হোসাইনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বই কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক

শিক্ষা উপকরণ বা বই কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে ‘চাতুর্যের’ অভিযোগ করেছে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত মাউশির একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, কী কী বই শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বাছাই করা হবে সেজন্য ‘উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি’ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বই কেনায় কোন উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে না। এতে বই কেনায় ব্যয় বেশি হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই কেনার সুযোগ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা সচিবকে দেয়া মাউশির চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘স্কিম কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ক্রয় কমিটি কর্তৃক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) একক উৎসভিত্তিক ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দর কষাকষির মাধ্যমে প্রতিটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৃথক পৃথক চুক্তির মাধ্যমে বই ক্রয় সম্পন্ন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের দ্বারা মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিবে।’

উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়া ডিপিএমে বই কেনা ঠিক হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ‘স্কিম পরিচালক’ মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘যেহেতু এখনও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হয়নি, সেজন্য আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’

স্কিম অফিস থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বই কেনার জন্য ৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বই বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বইয়ের তালিকায় অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য ওই বছর বই কেনা হয়নি।

বই কেনার জন্য বর্তমান অর্থবছরে মাত্র তিন কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এজন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বইয়ের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে মাউশি।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

পাঠ্যপুস্তকের বদলে এবার সহায়ক বই কেনা প্রকল্পের উদ্যোগ

রাকিব উদ্দিন

কাগজ সংকটে সরকার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপতে হিশশিম খাচ্ছে। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে কাগজ উৎপাদনের মূল কাঁচামাল ‘ভার্জিন পাল্প’ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খরচ প্রায় দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে টেন্ডার ছাড়াই ৪১০ কোটি টাকার ‘সহায়ক বই’ কিনতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

এই বই দিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস ও দক্ষতা বাড়াতে চায় সংস্থাটি। এজন্য একটি প্রকল্পের আওতায় ‘স্ট্রেনদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস’ শীর্ষক একটি ‘স্কিম কর্মসূচি’ অর্থাৎ ‘পাঠ্যভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই সময়ে ব্যয় বাড়িয়ে বই কেনা ঠিক হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ‘স্কিম পরিচালক’ ও মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন গতকাল সংবাদকে বলেন, ‘প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখনও মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন হয়নি। এজন্য আমি কিছু বলতে পারব না।’

জানতে চাইলে ‘শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য-সচিব ও ‘জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির’ (নায়েম) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘রিডিং হ্যাবিট বাড়ানোর জন্য এত ব্যয়বহুল প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন প্রয়োজন নেই। কেনাকাটার বিষয় মানেই এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই লাভবান হয়; কমিশন ভাগাভাগি হয়। এজন্য এই ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়।’

প্রথমদিকে ৬৪ জেলার ৩০০টি উপজেলার দেড় হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘কর্মসূচি ও পুরস্কার’-এই দুই ধরনের বই দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কর্মসূচির বই ৪৫ লাখ এবং পুরস্কারের জন্য ৩৮ লাখ কপি বই বিতরণের উদ্যোগ ছিল।

এই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে এখন ৩০০ উপজেলার পরিবর্তে ৫৬১ উপজেলায় ১৫ হাজার বিদ্যালয়ের পাশাপাশি আরও প্রায় ১৭ হাজার ৭০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠান) পাঠাভ্যাস কর্মসূচি বিস্তৃত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এতে দুই ধরনের বইয়ের সংখ্যাই বাড়ছে। দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৪৫ লাখ বইয়ের (কর্মসূচি বই) বাইরে আরও ৩৬ লাখ বই এবং পুরস্কারের জন্য ৩৮ লাখ বইয়ের ‘বাইরে’ আরও ৩০ লাখ বই প্রয়োজন হবে।

মাধ্যমিক স্তরের সব প্রতিষ্ঠানের জন্য দুই ধরনের বই কিনতে মোট ৪০৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে গতকাল মাউশির পক্ষ থেকে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।

‘স্কিম পরিচালক’ অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বইয়ের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘স্কিম ডকুমেন্টে কর্মসূচির প্রতিটি বইয়ের গড়মূল্য ১১৬ টাকা ও পুরস্কারের প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ১১১ টাকা ধরা হয়েছে। বর্তমানে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বই জমা নেয়ায় ছোট/বড় সব ধরনের বই জমা পড়েছে। বর্তমানে কাগজের মূল্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের বই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে যার মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেশি।’

মাউশির প্রস্তাবনায় ‘কর্মসূচির প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ২০৮ টাকা এবং এই টাকার ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ১১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং পুরস্কারের প্রতিটি বইয়ের গড় মূল্য ২৫৩ টাকা এবং টাকার ওপর ২০ শতাংশ ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ১১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে দেশের মাধ্যমিক স্তরের সব প্রতিষ্ঠানে এই হারে বই দিতে গেলে এই খাতে ‘ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ৪০৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন’ হবে বলে বেলাল হোসাইনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বই কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক

শিক্ষা উপকরণ বা বই কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে ‘চাতুর্যের’ অভিযোগ করেছে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত মাউশির একাধিক কর্মকর্তা। তারা বলেন, কী কী বই শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বাছাই করা হবে সেজন্য ‘উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি’ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বই কেনায় কোন উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে না। এতে বই কেনায় ব্যয় বেশি হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তি বিশেষের পছন্দের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বই কেনার সুযোগ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা সচিবকে দেয়া মাউশির চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘স্কিম কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত ক্রয় কমিটি কর্তৃক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) একক উৎসভিত্তিক ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দর কষাকষির মাধ্যমে প্রতিটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৃথক পৃথক চুক্তির মাধ্যমে বই ক্রয় সম্পন্ন করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিশ^সাহিত্য কেন্দ্রের দ্বারা মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিবে।’

উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়া ডিপিএমে বই কেনা ঠিক হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ‘স্কিম পরিচালক’ মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘যেহেতু এখনও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন হয়নি, সেজন্য আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না।’

স্কিম অফিস থেকে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বই কেনার জন্য ৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বই বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে বইয়ের তালিকায় অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য ওই বছর বই কেনা হয়নি।

বই কেনার জন্য বর্তমান অর্থবছরে মাত্র তিন কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এজন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি বইয়ের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে মাউশি।