আজ থেকে আগামী তিনদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। কাজ চলার সময় বাড়তি যানজটের আশঙ্কায় জনসাধারণের জন্য বিশেষ এই ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে বিআরটি।
গতকাল বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়ে বিআরটি প্রকল্প পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, ‘প্রকল্পের কাজের জন্য ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকার ৪টি লেনের মধ্যে ২টি লেন বন্ধ থাকবে। এ জন্য এই সড়কে যানজট তৈরি হতে পারে।’
বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশনা বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যারা দূরের যাত্রী, তাদের জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেন সম্ভব হলে বিকল্প পথ ব্যবহার করেন।’
এই সড়কে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় সড়কে বেহাল দশা। ফলে উত্তরা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এলাকার মানুষকে চরম দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। এই সড়কে যান চলাচল স্থায়ীভাবে নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে আজ থেকে তিন দিন টানা কাজ চলবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিআরটি প্রকল্প পরিচালকের সই করা একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় দৈনিকগুলোতে। এতে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্পের আওতাভুক্ত ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় আজ ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সড়ক উন্নয়নের কাজ চলমান থাকবে।
এর ফলে ওই সড়কে ‘যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত করিডোরে চলাচলরত সব জনসাধারণ ও পরিবহনকে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বিআরটি প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের মধ্যে আছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি উড়ালসেতু।
এ ছাড়া, সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
আজ থেকে আগামী তিনদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়ক এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। কাজ চলার সময় বাড়তি যানজটের আশঙ্কায় জনসাধারণের জন্য বিশেষ এই ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে বিআরটি।
গতকাল বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে নির্দেশনা দিয়ে বিআরটি প্রকল্প পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ বলেন, ‘প্রকল্পের কাজের জন্য ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকার ৪টি লেনের মধ্যে ২টি লেন বন্ধ থাকবে। এ জন্য এই সড়কে যানজট তৈরি হতে পারে।’
বিকল্প পথ ব্যবহারের নির্দেশনা বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যারা দূরের যাত্রী, তাদের জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেন সম্ভব হলে বিকল্প পথ ব্যবহার করেন।’
এই সড়কে জনদুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় সড়কে বেহাল দশা। ফলে উত্তরা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত এলাকার মানুষকে চরম দুর্গতি পোহাতে হচ্ছে। এই সড়কে যান চলাচল স্থায়ীভাবে নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে আজ থেকে তিন দিন টানা কাজ চলবে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিআরটি প্রকল্প পরিচালকের সই করা একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় দৈনিকগুলোতে। এতে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্পের আওতাভুক্ত ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় আজ ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সড়ক উন্নয়নের কাজ চলমান থাকবে।
এর ফলে ওই সড়কে ‘যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত করিডোরে চলাচলরত সব জনসাধারণ ও পরিবহনকে সম্ভাব্য বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
বিআরটি প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের মধ্যে আছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি উড়ালসেতু।
এ ছাড়া, সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।