কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ফের আলোচনায় বহিষ্কৃত সাক্কু-নিজাম

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ফের আলোচনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রতীকে প্রার্থী হওয়া মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণসহ ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন তারা।

উভয়েই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেদন পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। সমাবেশের আগে বা সমাবেশের দিন তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হতে পারে এমন গুঞ্জনও রয়েছে নগরজুড়ে। তবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু জানান, তাদের বিষয়ে অবস্থান সুস্পষ্ট।

যেহেতু দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাই কোন অবস্থাতেই গণসমাবেশ মঞ্চে বা দলীয় প্ল্যাটফর্মে তারা আসতে পারবেন না। কোন মেসেজ আসলে আয়োজকরা জানবেন। মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটির দুইবারের মেয়র। অন্যদিকে নিজাম উদ্দিন কায়সার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া নিজাম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে বিরত থাকলেও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতিকে অংশ নেন।

এতে উভয়কে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত মেয়র নির্বাচিত হন। তবে দল থেকে বহিষ্কার হলেও সাক্কু ও নিজাম বিএনপির সঙ্গেই থাকার ঘোষণা দিয়ে দলীয় কর্মকা- চালিয়ে যেতে থাকেন। এদিকে আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সম্মেলন সফল করতে বিএনপি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক সভা করেছে। এসব সভায় নিজাম উদ্দিন কায়সার তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অংশ নেন। তবে মনিরুল হক সাক্কু এসব প্রস্তুতি সভায় না আসলেও দলীয় সমর্থকদের নিয়ে আলাদাভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। নগরীর টাউন হল মাঠে সমাবেশস্থল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছবিসহ ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়।

বহিষ্কার হওয়ার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘আমাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে এমন কথা অনেকেই বলছেন, চূড়ান্ত বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা ভালো বলতে পারবেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছি। স্থানীয় জনগণের চাপে এবং ভালোবাসায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, দল আমাকে ছেড়ে দিলেও আমি তো দল ছেড়ে যাইনি, দল বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলেও বিএনপির নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য কোন দলে যাওয়ারও সম্ভাবনা নাই। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহাসমাবেশ সফল করতে মাঠে আছি, মাঠে থাকবো।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘দশটি বছর এ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব ছিলাম। নগরবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। নির্বাচনের ৩ মাস আগে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দল নির্বাচন করুক বা না করুক জনগণের দিকে চেয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণের জন্য তৃণমূল নেতারা অনুরোধ করেন। নগরবাসীর ভালোবাসার কারণে আমি নির্বাচন করেছি।

যে কারণে আমি বহিষ্কৃত হয়েছি। আমি কোন পদ বা স্টেজে লালায়িত না। আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা যারা আসবেন, আমি সাধারণ কর্মী হিসেবে মাঠে থেকে তাদের কথা শুনব। শেকল দিয়ে বেঁধেও আমাকে মঞ্চে নিতে পারবে না বা বললেও আমি যাব না। আমি বিএনপিতে ছিলাম, এখনও আছি, আমরণ থাকবো। কেন এবং কোন প্রেক্ষাপটে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলাম এর ব্যখা দিয়ে গত মাসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। আশা করি বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই তিনি দেখবেন।’

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য-সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের ফেরত নেয়া হয়েছে, এমনটি এখনও ঘটেনি। আমি যেটুকু জানি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে হাইকমান্ড এখনও কোন চিন্তা করছে না। প্রচারণার মাধ্যমে তারা মাঠে আছেন, এটা কৌশল হিসেবে তারা জানান দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দল পরিচালনা করছেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। কে কোথায় কি করছেন তিনি সবকিছু অবগত। সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তিনি কোন ছাড় দেন না। তিনি অনেক বিচক্ষণ। তিনি ভেবেচিন্তে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিবেন।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন বলেন, ‘দল তাদের বৈধভাবে বহিষ্কার করেছে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়নি। দলের কমান্ডের বাইরে গিয়ে তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। যেহেতু তারা দলের বাইরে গিয়েছে, দল তাদের বহিষ্কার করেছে। দল একশ’ পার্সেন্ট ঠিক।’

সাক্কু ও নিজামের দলে ফেরার বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না করার বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেখছেন, এখানে আমার মন্তব্য করার এখনও সময় আসেনি। তিনি (তারেক রহমান) যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন।’

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার বক্তব্য সুস্পষ্ট। তারা আজীবনের জন্য বহিষ্কার। কিন্তু কেউ যদি দাঁড়িয়ে বলে আমি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বা বিএনপির জন্য কাজ করতে চাই। এতে আমার বাধা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্মে আসতে পারবে না। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যেহেতু তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, দল এখনও তাদের গ্রহণ করেনি।’

আরও খবর
আমাদের ছেলেমেয়েরা একদিন বিশ^কাপ খেলবে, প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ
গ্রামীণ টেলিকমের এমডিকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ
সাংবাদিক খন্দকার মুনীরুজ্জামানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশে অবস্থান জানান দিতে আদালতপাড়ায় জঙ্গিদের পরিকল্পিত হামলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সচিবের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের বাড়ি দখলের অভিযোগ
রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী ডালিয়া
রংপুরে সংঘর্ষে জেলা বিএনপির তিনশ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
উপনির্বাচনে অনিয়ম গাইবান্ধায় নতুন করে ভোট হবে কি না, এখনই বলবেন না সিইসি
চকবাজারে মনসুর হত্যা নাতি ও নাতনির পরিকল্পনায়, গ্রেপ্তার ৫
আজ থেকে আগামী তিন দিন এয়ারপোর্ট রোড এড়িয়ে চলার নির্দেশনা
ব্রহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠীর মোটরসাইকেল র‌্যালি

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে ফের আলোচনায় বহিষ্কৃত সাক্কু-নিজাম

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে ফের আলোচনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রতীকে প্রার্থী হওয়া মনিরুল হক সাক্কু ও নিজাম উদ্দিন কায়সার। দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে লিফলেট বিতরণসহ ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে প্রচারণায় সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন তারা।

উভয়েই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেদন পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। সমাবেশের আগে বা সমাবেশের দিন তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হতে পারে এমন গুঞ্জনও রয়েছে নগরজুড়ে। তবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু জানান, তাদের বিষয়ে অবস্থান সুস্পষ্ট।

যেহেতু দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাই কোন অবস্থাতেই গণসমাবেশ মঞ্চে বা দলীয় প্ল্যাটফর্মে তারা আসতে পারবেন না। কোন মেসেজ আসলে আয়োজকরা জানবেন। মনিরুল হক সাক্কু কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটির দুইবারের মেয়র। অন্যদিকে নিজাম উদ্দিন কায়সার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া নিজাম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে বিরত থাকলেও সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতিকে অংশ নেন।

এতে উভয়কে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত মেয়র নির্বাচিত হন। তবে দল থেকে বহিষ্কার হলেও সাক্কু ও নিজাম বিএনপির সঙ্গেই থাকার ঘোষণা দিয়ে দলীয় কর্মকা- চালিয়ে যেতে থাকেন। এদিকে আগামী ২৬ নভেম্বর বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সম্মেলন সফল করতে বিএনপি এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক সভা করেছে। এসব সভায় নিজাম উদ্দিন কায়সার তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অংশ নেন। তবে মনিরুল হক সাক্কু এসব প্রস্তুতি সভায় না আসলেও দলীয় সমর্থকদের নিয়ে আলাদাভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। নগরীর টাউন হল মাঠে সমাবেশস্থল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছবিসহ ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়।

বহিষ্কার হওয়ার মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘আমাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে এমন কথা অনেকেই বলছেন, চূড়ান্ত বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা ভালো বলতে পারবেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছি। স্থানীয় জনগণের চাপে এবং ভালোবাসায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, দল আমাকে ছেড়ে দিলেও আমি তো দল ছেড়ে যাইনি, দল বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলেও বিএনপির নীতি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য কোন দলে যাওয়ারও সম্ভাবনা নাই। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মহাসমাবেশ সফল করতে মাঠে আছি, মাঠে থাকবো।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘দশটি বছর এ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব ছিলাম। নগরবাসীর সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। নির্বাচনের ৩ মাস আগে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দল নির্বাচন করুক বা না করুক জনগণের দিকে চেয়ে নির্বাচন অংশগ্রহণের জন্য তৃণমূল নেতারা অনুরোধ করেন। নগরবাসীর ভালোবাসার কারণে আমি নির্বাচন করেছি।

যে কারণে আমি বহিষ্কৃত হয়েছি। আমি কোন পদ বা স্টেজে লালায়িত না। আমি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা যারা আসবেন, আমি সাধারণ কর্মী হিসেবে মাঠে থেকে তাদের কথা শুনব। শেকল দিয়ে বেঁধেও আমাকে মঞ্চে নিতে পারবে না বা বললেও আমি যাব না। আমি বিএনপিতে ছিলাম, এখনও আছি, আমরণ থাকবো। কেন এবং কোন প্রেক্ষাপটে সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ছিলাম এর ব্যখা দিয়ে গত মাসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর আবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি। আশা করি বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবেই তিনি দেখবেন।’

কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য-সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, ‘তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের ফেরত নেয়া হয়েছে, এমনটি এখনও ঘটেনি। আমি যেটুকু জানি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে হাইকমান্ড এখনও কোন চিন্তা করছে না। প্রচারণার মাধ্যমে তারা মাঠে আছেন, এটা কৌশল হিসেবে তারা জানান দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দল পরিচালনা করছেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। কে কোথায় কি করছেন তিনি সবকিছু অবগত। সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে তিনি কোন ছাড় দেন না। তিনি অনেক বিচক্ষণ। তিনি ভেবেচিন্তে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিবেন।’

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন বলেন, ‘দল তাদের বৈধভাবে বহিষ্কার করেছে। দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়নি। দলের কমান্ডের বাইরে গিয়ে তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। যেহেতু তারা দলের বাইরে গিয়েছে, দল তাদের বহিষ্কার করেছে। দল একশ’ পার্সেন্ট ঠিক।’

সাক্কু ও নিজামের দলে ফেরার বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না করার বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেখছেন, এখানে আমার মন্তব্য করার এখনও সময় আসেনি। তিনি (তারেক রহমান) যা ভালো মনে করবেন তাই করবেন।’

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার বক্তব্য সুস্পষ্ট। তারা আজীবনের জন্য বহিষ্কার। কিন্তু কেউ যদি দাঁড়িয়ে বলে আমি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বা বিএনপির জন্য কাজ করতে চাই। এতে আমার বাধা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্মে আসতে পারবে না। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যেহেতু তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, দল এখনও তাদের গ্রহণ করেনি।’