ফুটবলে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে যায় : সৌদি কোচ

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয়াটা সৌদি আরবের জন্য বিশ্বজয়ের থেকে কম কিছু নয়। ম্যাচ শেষেই সৌদি সমর্থকরা স্টেডিয়ামে চেঁচিয়ে গাইছিলেন, ‘কোথায় মেসি, আমরা মেসিকে হারিয়ে দিয়েছি।’ সাজঘরে ঢুকে সৌদির ফুটবলারদের নাচের ভিডিও-ও ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয়ার পর নিজেদের সাফল্যে যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না সৌদি আরব দলের কোচ রেনার্ডও। তিনি বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত দল। আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। এটাই ফুটবল। এখানে অদ্ভুদ সব কাণ্ড ঘটে যায়।’

রেনার্ড একসময় জিনেদিন জিদানের সতীর্থ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিদান জাতীয় দলের পোস্টার বয়। আর রেনার্ড পিছিয়ে ফরাসি লীগের ষষ্ঠ ডিভিসনে। শেষে হতাশ হয়ে যখন খেলা ছাড়লেন তখন বয়স মাত্র ৩০। পেটের দায়ে বেছে নিলেন বাড়িতে বাড়িতে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ। শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ময়লাবাহকের কাজ করতেন রেনার্ড। এত কষ্টের মধ্যেও ফুটবলকে ভোলেননি। সেটাই ছিল রেনার্ডের সাফল্যের শীর্ষে চড়ার সোপান।

কেরিয়ারে শেষ ক্লাব স্পোর্টিং ড্রাগুইনগানে যোগ দিয়েছিলেন কোচ হিসেবে। কিন্তু সফল হননি। রেনার্ডের ভাগ্যের মোড় বদল তারপরেই। প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লদিও লে রয়ের ডাকে পাড়ি দিয়েছিলেন চীনে, যোগ দিয়েছিলেন সহকারী হিসেবে। পরে সেখান থেকে ইংল্যান্ডে কেমব্রিজ ইউনাইটেডে কোচিং। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হার্ভেকে।

ফরাসি ফুটবল তাকে উপহার দিয়েছে একরাশ শূন্যতা, সেই অপ্রাপ্তি পূর্ণ করে দিয়েছে আফ্রিকা। রেনার্ডের কোচিংয়ে ২০১২ সালে জাম্বিয়া আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী। পরে ২০১৮-তে মরক্কোর কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে আটকে দিলেন স্পেনকে। আর এবার আর্জেন্টিনা-বধ। রেনার্ড নিজেই একবার স্বীকার করেন, ‘আফ্রিকায় মুক্ত মনে কোচিং করাতে পেরেছি।’ সেই মুক্ত বাতাসেই এবার নিভল মেসিদের জয়ের স্বপ্ন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

ফুটবলে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে যায় : সৌদি কোচ

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

image

আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয়াটা সৌদি আরবের জন্য বিশ্বজয়ের থেকে কম কিছু নয়। ম্যাচ শেষেই সৌদি সমর্থকরা স্টেডিয়ামে চেঁচিয়ে গাইছিলেন, ‘কোথায় মেসি, আমরা মেসিকে হারিয়ে দিয়েছি।’ সাজঘরে ঢুকে সৌদির ফুটবলারদের নাচের ভিডিও-ও ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয়ার পর নিজেদের সাফল্যে যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না সৌদি আরব দলের কোচ রেনার্ডও। তিনি বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা দুর্দান্ত দল। আজ ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। এটাই ফুটবল। এখানে অদ্ভুদ সব কাণ্ড ঘটে যায়।’

রেনার্ড একসময় জিনেদিন জিদানের সতীর্থ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জিদান জাতীয় দলের পোস্টার বয়। আর রেনার্ড পিছিয়ে ফরাসি লীগের ষষ্ঠ ডিভিসনে। শেষে হতাশ হয়ে যখন খেলা ছাড়লেন তখন বয়স মাত্র ৩০। পেটের দায়ে বেছে নিলেন বাড়িতে বাড়িতে আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ। শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ময়লাবাহকের কাজ করতেন রেনার্ড। এত কষ্টের মধ্যেও ফুটবলকে ভোলেননি। সেটাই ছিল রেনার্ডের সাফল্যের শীর্ষে চড়ার সোপান।

কেরিয়ারে শেষ ক্লাব স্পোর্টিং ড্রাগুইনগানে যোগ দিয়েছিলেন কোচ হিসেবে। কিন্তু সফল হননি। রেনার্ডের ভাগ্যের মোড় বদল তারপরেই। প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লদিও লে রয়ের ডাকে পাড়ি দিয়েছিলেন চীনে, যোগ দিয়েছিলেন সহকারী হিসেবে। পরে সেখান থেকে ইংল্যান্ডে কেমব্রিজ ইউনাইটেডে কোচিং। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি হার্ভেকে।

ফরাসি ফুটবল তাকে উপহার দিয়েছে একরাশ শূন্যতা, সেই অপ্রাপ্তি পূর্ণ করে দিয়েছে আফ্রিকা। রেনার্ডের কোচিংয়ে ২০১২ সালে জাম্বিয়া আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী। পরে ২০১৮-তে মরক্কোর কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে আটকে দিলেন স্পেনকে। আর এবার আর্জেন্টিনা-বধ। রেনার্ড নিজেই একবার স্বীকার করেন, ‘আফ্রিকায় মুক্ত মনে কোচিং করাতে পেরেছি।’ সেই মুক্ত বাতাসেই এবার নিভল মেসিদের জয়ের স্বপ্ন।