ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিল মরক্কো

ক্রোয়েশিয়া বিশ^কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। গতকাল এফ গ্রুপের ম্যাচে আফ্রিকান দল মরক্কোর দারুনভাবে রুখে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া এ ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। বল দখলের হিসেবে তারা এগিয়ে থাকলেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট হারাতে হয় তাদের।

সব মিলিয়ে ম্যাচটি ছিল বলতে গেলে একেবারেই সাদা-মাটা। অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে মরক্কো চেষ্টা করেছিল কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে। দলে আশরাফ হাকিমী ও জিয়াস ছাড়া বড় কোন তারকা না থাকলেও তাদের মধ্যে ছিল ম্যাচে পরাজিত না হওয়া দৃঢ় প্রত্যয়। যা কাজে লাগিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিতে সমর্থ হয় আফ্রিকান দেশটি।

গ্রুপের অন্য দল বেলজিয়াম এবং কানাডা। শক্তির বিচারে বেলজিয়াম বেশ এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়াই হবে মূলত তিনটি দলের মধ্যে। মরক্কোর কাছে পয়েন্ট হারানোয় ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিয়ে সংশয় দেখা না গেলেও গ্রুপের শীর্ষ স্থান লাভ করা কঠিন হতে পারে।

খেলোয়াড়দের ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতার কারণে ক্রোয়েশিয়া মাঠে নামে এ ম্যাচের ফেবারিট হিসেবেই। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের খেলায় তার প্রমাণ মেলেনি। মরক্কো সমানতালে পাল্লা দেয় লুকা মদ্রিচদের সঙ্গে। গোলের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তারা মোটেও পিছিয়ে ছিল না। তবে গোলের স্পষ্ট সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়া। দুইবার মরক্কোকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু। প্রথমবার নিকোলা ভøাসিচ এবং পরে লুকা মদ্রিচকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোলমুখে বল পেয়েও সেটি পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন মদ্রিচ। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় উভয় দল।

তবে বিরতির পর পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়। খেলায় প্রাধান্য বিস্তার করে ক্রোয়েশিয়া। তবে গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করে মরক্কো। একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ডাইভিং হেড করেন নুসাইর মাজরাউ। কিন্তু সেটি সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক লিভাকোভিচের হাতে। পিএসজিতে খেলা আশরাফ হাকিমী ডিফেন্ডার হলেও কাউন্টার অ্যাটাকে মরক্কোকে বাড়তি রসদ যোগান। যার ফলে তাদের আক্রমনগুলো দ্বিতীয়ার্ধে ভীতি ছড়ায় ক্রোয়েশিয়ার শিবিরে। এক পর্যায়ে ক্রোয়েশিয়া খেলার কৌশল পরিবর্তন করে গতি কমানোর চেষ্টা চালায়। ৭০ মিনিটে মদ্রিচের ফ্রি কিক গোলমুখে উড়ে এলে কোন রকমে একজন ডিফেন্ডার বাঁচিয়ে দেন। শেষ দিকে ক্রোয়েশিয়া চাপ সৃষ্টি করলেও কোন আদায় করতে পারেনি। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় গত আসরের দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীদের।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ , ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৪

ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিল মরক্কো

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

ক্রোয়েশিয়া বিশ^কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। গতকাল এফ গ্রুপের ম্যাচে আফ্রিকান দল মরক্কোর দারুনভাবে রুখে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। গত আসরের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া এ ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। বল দখলের হিসেবে তারা এগিয়ে থাকলেও ফিনিশিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট হারাতে হয় তাদের।

সব মিলিয়ে ম্যাচটি ছিল বলতে গেলে একেবারেই সাদা-মাটা। অপেক্ষাকৃত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলেও কোন গোল করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে মরক্কো চেষ্টা করেছিল কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে। দলে আশরাফ হাকিমী ও জিয়াস ছাড়া বড় কোন তারকা না থাকলেও তাদের মধ্যে ছিল ম্যাচে পরাজিত না হওয়া দৃঢ় প্রত্যয়। যা কাজে লাগিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিতে সমর্থ হয় আফ্রিকান দেশটি।

গ্রুপের অন্য দল বেলজিয়াম এবং কানাডা। শক্তির বিচারে বেলজিয়াম বেশ এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়াই হবে মূলত তিনটি দলের মধ্যে। মরক্কোর কাছে পয়েন্ট হারানোয় ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিয়ে সংশয় দেখা না গেলেও গ্রুপের শীর্ষ স্থান লাভ করা কঠিন হতে পারে।

খেলোয়াড়দের ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতার কারণে ক্রোয়েশিয়া মাঠে নামে এ ম্যাচের ফেবারিট হিসেবেই। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের খেলায় তার প্রমাণ মেলেনি। মরক্কো সমানতালে পাল্লা দেয় লুকা মদ্রিচদের সঙ্গে। গোলের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তারা মোটেও পিছিয়ে ছিল না। তবে গোলের স্পষ্ট সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়া। দুইবার মরক্কোকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু। প্রথমবার নিকোলা ভøাসিচ এবং পরে লুকা মদ্রিচকে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে গোলমুখে বল পেয়েও সেটি পোস্টে রাখতে ব্যর্থ হন মদ্রিচ। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় উভয় দল।

তবে বিরতির পর পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়। খেলায় প্রাধান্য বিস্তার করে ক্রোয়েশিয়া। তবে গোলের প্রথম সুযোগটি সৃষ্টি করে মরক্কো। একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ডাইভিং হেড করেন নুসাইর মাজরাউ। কিন্তু সেটি সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষক লিভাকোভিচের হাতে। পিএসজিতে খেলা আশরাফ হাকিমী ডিফেন্ডার হলেও কাউন্টার অ্যাটাকে মরক্কোকে বাড়তি রসদ যোগান। যার ফলে তাদের আক্রমনগুলো দ্বিতীয়ার্ধে ভীতি ছড়ায় ক্রোয়েশিয়ার শিবিরে। এক পর্যায়ে ক্রোয়েশিয়া খেলার কৌশল পরিবর্তন করে গতি কমানোর চেষ্টা চালায়। ৭০ মিনিটে মদ্রিচের ফ্রি কিক গোলমুখে উড়ে এলে কোন রকমে একজন ডিফেন্ডার বাঁচিয়ে দেন। শেষ দিকে ক্রোয়েশিয়া চাপ সৃষ্টি করলেও কোন আদায় করতে পারেনি। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় গত আসরের দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীদের।