বিজিএমইএ’র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৭ দিনব্যাপী মেঘা ইভেন্ট ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদ্্যাপিত হলো গত ১২-১৮ নভেম্বর। এই ইভেন্টের বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরতেই গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হয়েছে গ্যাসের সংকটও দ্রুত নিরসন হবে। বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে গ্যাস আমদানি করবে। ব্রুনাই থেকে গ্যাস আসা শুরু হলেই পোশাক কারখানায় জ্বালানির সমস্যা দূর হবে।’
সভাপতি আরও বলেন, ‘পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক যে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে, কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত আছে। আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্কেনিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছিল একটা সময়। এখন চারটি স্কেনার মেশিন বসানো হয়েছে। বলতে পারি রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও আর কোন জটিলতা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সপ্তাহব্যাপী মেগা ইভেন্টের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন। ইভেন্টের থিম ছিল ‘কেয়ার ফর ফ্যাশন’। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন এবং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল। মেইড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজনের ৩টি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানান তিনি।
সেগুলো হলো প্রথমত, পোশাক শিল্পকে এবং সামগ্রিক বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা, বিশেষ করে শিল্পের যে প্রকৃত রূপান্তর ঘটেছে তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা। দ্বিতীয়ত, রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ তৈরির জন্য শিল্পের সব অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত নেয়া। তৃতীয়ত, সরকার, ব্র্যান্ড-ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সেসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা।
ফারুক হাসান বলেছেন ‘সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে বিজিএমইএ ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি করতে পারবে, ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের যে ৬.২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তা ১৪ শতাংশ এ উন্নীত করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে পোশাক বাজারের আকার যখন ছোট হচ্ছে তখন বিশ্ব বাজারে আমাদের ব্যবসা বাড়িয়ে পোশাক শিল্পের অবস্থান সংহত রাখার অভিপ্রায়ে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে বর্ণাঢ্যভাবে উপস্থাপন করার প্রয়াস ছিল এই মেঘা ইভেন্টের মুল উদ্দেশ্য।’
ইভেন্টের ‘পাওয়ার্ড বাই পার্টনার ’এপিক গ্রুপকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ব্রান্ডিং করে প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে বিজিএমই সবসময় দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী।
রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
বিজিএমইএ’র ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৭ দিনব্যাপী মেঘা ইভেন্ট ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদ্্যাপিত হলো গত ১২-১৮ নভেম্বর। এই ইভেন্টের বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরতেই গতকাল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হয়েছে গ্যাসের সংকটও দ্রুত নিরসন হবে। বাংলাদেশ ব্রুনাই থেকে গ্যাস আমদানি করবে। ব্রুনাই থেকে গ্যাস আসা শুরু হলেই পোশাক কারখানায় জ্বালানির সমস্যা দূর হবে।’
সভাপতি আরও বলেন, ‘পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক যে বিদ্যুৎ-গ্যাসের সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে, কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত আছে। আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে পণ্য রপ্তানিতে যে সমস্যা হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দরে স্কেনিং মেশিন জটিলতায় পড়তে হয়েছিল একটা সময়। এখন চারটি স্কেনার মেশিন বসানো হয়েছে। বলতে পারি রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরেও আর কোন জটিলতা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সপ্তাহব্যাপী মেগা ইভেন্টের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন। ইভেন্টের থিম ছিল ‘কেয়ার ফর ফ্যাশন’। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে সামিট, এক্সপোজিশন, ফটো এক্সিবিশন, কনফারেন্স, ফ্যাশন ইনোভেশন রানওয়ে শো, সাসটেইনেবল ডিজাইন এবং ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড, ফ্যাক্টরি ট্যুর ভ্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নেটওয়ার্কিং ডিনারসহ মোট ১৭টি কর্মসূচি ছিল। মেইড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজনের ৩টি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বলেও জানান তিনি।
সেগুলো হলো প্রথমত, পোশাক শিল্পকে এবং সামগ্রিক বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা, বিশেষ করে শিল্পের যে প্রকৃত রূপান্তর ঘটেছে তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে শিল্পের ব্র্যান্ডিং করা। দ্বিতীয়ত, রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান কৌশলগত লক্ষ্যগুলো চিহ্নিত করে শিল্পের জন্য একটি টেকসই রোডম্যাপ তৈরির জন্য শিল্পের সব অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত নেয়া। তৃতীয়ত, সরকার, ব্র্যান্ড-ক্রেতা, বিভিন্ন সাপ্লায়ার (টেকনোলজি, মেশিন, এক্সেসরিজ সরবরাহকারী), শিল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা।
ফারুক হাসান বলেছেন ‘সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে বিজিএমইএ ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি করতে পারবে, ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের যে ৬.২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তা ১৪ শতাংশ এ উন্নীত করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে পোশাক বাজারের আকার যখন ছোট হচ্ছে তখন বিশ্ব বাজারে আমাদের ব্যবসা বাড়িয়ে পোশাক শিল্পের অবস্থান সংহত রাখার অভিপ্রায়ে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে বর্ণাঢ্যভাবে উপস্থাপন করার প্রয়াস ছিল এই মেঘা ইভেন্টের মুল উদ্দেশ্য।’
ইভেন্টের ‘পাওয়ার্ড বাই পার্টনার ’এপিক গ্রুপকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ব্রান্ডিং করে প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে বিজিএমই সবসময় দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী।