মিষ্টির দামেও ময়দা চিনি-তেলের উত্তাপ

মিষ্টি তৈরির এমন কোনো উপকরণ নেই যার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিনি, ময়দা, ছানা, দুধসহ মিষ্টির বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ার উত্তাপ লেগেছে মিষ্টির গায়েও। কেজিতে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মিষ্টির দাম। এদিকে মিষ্টির দাম নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। অনেকেই ভাবছেন দু-একজন দোকানি বাড়তি দাম নিচ্ছেন কিন্তু তা নয়, প্রতিটি মিষ্টির দোকানের একই অবস্থা। বিক্রেতারা বলছেন, উপকরণের দাম বাড়ায় বাধ্য হয়েই বাড়াতে হয়েছে মিষ্টির দাম। জেলা শহরের বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রসকদম, পাতা প্যারা, দমমিষ্টি, পোস্তকদম, তিলকদম, কাটাভোগ, স্পেশাল প্যারা, ছানা পোলাওসহ অন্যান্য মিষ্টির দাম প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের আলাউদ্দিন সুইটসের শো-রুমে রসমালাই, সন্দেশের মতো উন্নতমানের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। রসগোল্লা, স্পঞ্জ রসগোল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ডালিম হোসেন বলেন, তেল, আটা, চিনিসহ সব উপকরণেরই দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কিছুটা দাম বাড়াতে হয়েছে। সেই সাথে কারিগরদেরও বেতন বাড়াতে হয়েছে। তাই মিষ্টির দাম কিছুটা বেশি। নবাব মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সানাউল আলী বলেন, প্রকারভেদে মিষ্টির দাম ৪০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ রসগোল্লা, কালোজাম, রসকদমসহ অন্যান্য মিষ্টিগুলোর দাম বেড়েছে। আরও এক বিক্রেতা জানান, পোস্তকদম, স্পেশাল প্যারা, ছানার মন্ডা, রাঘোবসাই, গাজরের সন্দেসের মতো উন্নতমানের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এছাড়া জ¦ালানির সামগ্রীর দাম বাড়ায় দাম সমন্বয় করে বিক্রি করা হচ্ছে।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪

মিষ্টির দামেও ময়দা চিনি-তেলের উত্তাপ

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

মিষ্টি তৈরির এমন কোনো উপকরণ নেই যার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চিনি, ময়দা, ছানা, দুধসহ মিষ্টির বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ার উত্তাপ লেগেছে মিষ্টির গায়েও। কেজিতে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মিষ্টির দাম। এদিকে মিষ্টির দাম নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। অনেকেই ভাবছেন দু-একজন দোকানি বাড়তি দাম নিচ্ছেন কিন্তু তা নয়, প্রতিটি মিষ্টির দোকানের একই অবস্থা। বিক্রেতারা বলছেন, উপকরণের দাম বাড়ায় বাধ্য হয়েই বাড়াতে হয়েছে মিষ্টির দাম। জেলা শহরের বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রসকদম, পাতা প্যারা, দমমিষ্টি, পোস্তকদম, তিলকদম, কাটাভোগ, স্পেশাল প্যারা, ছানা পোলাওসহ অন্যান্য মিষ্টির দাম প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের আলাউদ্দিন সুইটসের শো-রুমে রসমালাই, সন্দেশের মতো উন্নতমানের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। রসগোল্লা, স্পঞ্জ রসগোল্লাসহ অন্যান্য মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ডালিম হোসেন বলেন, তেল, আটা, চিনিসহ সব উপকরণেরই দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কিছুটা দাম বাড়াতে হয়েছে। সেই সাথে কারিগরদেরও বেতন বাড়াতে হয়েছে। তাই মিষ্টির দাম কিছুটা বেশি। নবাব মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সানাউল আলী বলেন, প্রকারভেদে মিষ্টির দাম ৪০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ রসগোল্লা, কালোজাম, রসকদমসহ অন্যান্য মিষ্টিগুলোর দাম বেড়েছে। আরও এক বিক্রেতা জানান, পোস্তকদম, স্পেশাল প্যারা, ছানার মন্ডা, রাঘোবসাই, গাজরের সন্দেসের মতো উন্নতমানের মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এছাড়া জ¦ালানির সামগ্রীর দাম বাড়ায় দাম সমন্বয় করে বিক্রি করা হচ্ছে।