প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও বিএনপির টার্গেট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনা নিশ্চিহ্ন করতে চায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তরে জ্বালা ধরেছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, ইন্ডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করেছেন। তার ছেলে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা করে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা করেছে।
গতকাল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে দুপুর সোয়া ২টায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলের সহযোগী এই সংগঠনের সম্মেলন মঞ্চে আসেন দুপুর তিনটার কিছু সময় আগে। এ সময় ওবায়দুল কাদের মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকা ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে, মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্যই আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার। তিনি নারী জাতির গর্ব। শেখ হাসিনা আছেন বলে বাবার সঙ্গে মায়ের নাম লেখা হয়। প্রসাশনসহ সর্বত্র নারীরা আছেন। এটি শেখ হাসিনার অবদান।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রূপকার ও আওয়ামী লীগের সাহসের ঠিকানা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বিদেশে ছিলেন বলেই বেঁচে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বেঁচে না থাকলে আজ দেশের অবস্থা কী হতো? এত উন্নয়ন অগ্রগতি কখনো হতো না।’
গতকাল সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের সেøাগান দিতে দেখা যায় সম্মেলনে। এই দুই পদের বিপরীতে প্রায় ৪০ জন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ম জাতীয় জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ মার্চ। সে সময় সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পান সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম।
রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও বিএনপির টার্গেট উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শেখ হাসিনা নিশ্চিহ্ন করতে চায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে তাদের অন্তরে জ্বালা ধরেছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন, ইন্ডেমনিটি দিয়ে বিচার বন্ধ করেছেন। তার ছেলে তারেক জিয়া ২১ আগস্ট গ্রনেড হামলা করে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা করেছে।
গতকাল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে দুপুর সোয়া ২টায় কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলের সহযোগী এই সংগঠনের সম্মেলন মঞ্চে আসেন দুপুর তিনটার কিছু সময় আগে। এ সময় ওবায়দুল কাদের মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকা ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি। তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন-অর্জনকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে, মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্যই আরেকবার দরকার, শেখ হাসিনা সরকার। তিনি নারী জাতির গর্ব। শেখ হাসিনা আছেন বলে বাবার সঙ্গে মায়ের নাম লেখা হয়। প্রসাশনসহ সর্বত্র নারীরা আছেন। এটি শেখ হাসিনার অবদান।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রূপকার ও আওয়ামী লীগের সাহসের ঠিকানা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বিদেশে ছিলেন বলেই বেঁচে গেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বেঁচে না থাকলে আজ দেশের অবস্থা কী হতো? এত উন্নয়ন অগ্রগতি কখনো হতো না।’
গতকাল সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের অনুসারীদের নানা ধরনের সেøাগান দিতে দেখা যায় সম্মেলনে। এই দুই পদের বিপরীতে প্রায় ৪০ জন তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ম জাতীয় জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৪ মার্চ। সে সময় সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পান সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম।