জঙ্গি ছিনতাই : তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা প্রধান ও একাধিক মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক (মেজর জিয়া) কৌশলে লুকিয়ে আছেন, তাই ধরা যাচ্ছে না। গতকাল দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে। খুব দ্রুতই পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের লোকেশন পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কোন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তিনি বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যারা সহযোগিতা করেছিল তাদের মধ্যে এক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। আশা করি, আমরা খুব শীঘ্রই বাকি জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

গত নয় বছর ধরেই আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা বলে মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে ধরা হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। সে যে সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা তার কৌশলে আড়ালে-আবডালে অবস্থান করছেন। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি বা কৌশল ব্যবহার করে জঙ্গিরাও সেই জিনিসগুলোকে ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। তবে আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জিয়ার অবস্থান কি এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৌশলে প্রতিনিয়তই জঙ্গি মেজর জিয়া তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করছি, আবার সে পরিবর্তন করে ফেলছেন। তবে আশা করছি, খুব শীঘ্রই থাকে ধরা সম্ভব হবে।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২ , ১২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ৩১ রবিউস সানি ১৪৪৪

জঙ্গি ছিনতাই : তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখা প্রধান ও একাধিক মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক (মেজর জিয়া) কৌশলে লুকিয়ে আছেন, তাই ধরা যাচ্ছে না। গতকাল দ্বিতীয় শেখ কামাল সার্ক স্নকার চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২২ এর উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে। খুব দ্রুতই পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের লোকেশন পাওয়া যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনও কোন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তিনি বলেন, আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় যারা সহযোগিতা করেছিল তাদের মধ্যে এক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। আশা করি, আমরা খুব শীঘ্রই বাকি জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।

গত নয় বছর ধরেই আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের নাম শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। এটি কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা বলে মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে ধরা হচ্ছে না এটা ঠিক নয়। সে যে সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা তার কৌশলে আড়ালে-আবডালে অবস্থান করছেন। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা যেসব আধুনিক যন্ত্রপাতি বা কৌশল ব্যবহার করে জঙ্গিরাও সেই জিনিসগুলোকে ধারণ করে। এসব ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। তবে আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জিয়ার অবস্থান কি এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৌশলে প্রতিনিয়তই জঙ্গি মেজর জিয়া তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন। আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করছি, আবার সে পরিবর্তন করে ফেলছেন। তবে আশা করছি, খুব শীঘ্রই থাকে ধরা সম্ভব হবে।